Wednesday, May 28, 2025

14>মা দুর্গার নানান রূপ ও 108 নাম ::----

 

মা দুর্গার  নানান রূপ ও 108 নাম  ::----



দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপের পূজা প্রচলিত, বিশেষ করে নবরাত্রির সময়, এবং
12 মাসে বারো রূপে পুঁজিত হন মা দুর্গা।

নবরাত্রির সময় নয়টি রূপকে নবদুর্গা নামেও ডাকা হয়।
এর বাইরেও, দশমহাবিদ্যা নামে দেবী দুর্গার আরও দশটি রূপের পূজা হয়।
এই রূপগুলি প্রত্যেকটিকে আলাদা আলাদা সময়ে পূজা করা হয়।

★★নবদুর্গা:----
নবরাত্রির সময় এই নয়টি রূপে দেবী দুর্গার পূজা করা হয়। এই রূপগুলি হল - ●1>শৈলপুত্রী, ●2>ব্রহ্মচারিণী, ●3>চন্দ্রঘণ্টা, ●>4কুষ্মাণ্ডা,
●5>স্কন্দমাতা, ●6>কাত্যায়নী, ●7>কালরাত্রি, ●8>মহাগৌরী এবং ●9>সিদ্ধিদাত্রী.
===================
★★দশমহাবিদ্যা:-----
এই দশটি রূপ হলো -----
●1>কালী, ●2>তারা, ●3>ত্রিপুরা সুন্দরী, ●4>ভুবনেশ্বরী, ●5>ভৈরবী, ●6>চিন্নামস্তা, ●7>ধূমাবতী, ●8>বগালামুখী, ●9>মাতঙ্গী এবং ●10>কমলা.
অন্যান্য রূপ:
দেবী দুর্গার অনেক রূপের কথা প্রচলিত। যেমন, ★ভদ্রকালী, ★চণ্ডিকা ইত্যাদি.

এছাড়াও দেবীর
"বার মাসে বার রূপ" বলতে দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপের পূজা ও আরাধনা করা হয়।
====================

★★বারো মাসে মা দুর্গার বারো রূপে দেবীবরণ ও পূজা হয়।

●1> বৈশাখ মাস–এই মাসের আরাধ্যা দেবী হলেন গন্ধেশ্বরী।
বাংলা বছরের প্রথম মাস হল বৈশাখ। এই মাসের আরাধ্যা দেবী হলেন গন্ধেশ্বরী। এই দেবীর আরাধনা করেন মুলত গন্ধবণিকরা। কথিত আছে এই দেবীর আরাধনায় রমরমিয়ে বেড়েছেতাদের ব্যবসা। বেড়েছে গন্ধদ্রব্যের প্রাচুর্য।

●2> জ্যৈষ্ঠ মাস–এই মাসের আরাধ্যা দেবী হলেন ফলহারিণী।
জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণী নামেই দেবী পূজিত হন। দেবীর এই রূপকে কর্মফল হরণকারিণী নামেও পরিচিত। এই দেবীর আরাধনার ফলেকর্মফল থেকে নিজেদের রক্ষা করা যায় বলে মনে করেছেন অনেকে।

●3> আষাড় মাস– এই মাসের আরাধ্যা দেবী হলেন "মা কামাক্ষ্যা" ।
অম্বুবাচী তিথিতেই মহাধুমধামের সঙ্গে পূজিত হন দেবী কামাক্ষ্যা। তিনিই হলেন উর্বরতার দেবী।

●4> শ্রাবণ মাস–দেবী শাকম্ভরী।
শ্রাবণ মাসে দেবী পূজিত হন শাকম্ভরী রূপে। অনেকে মনে করেন এই দেবীর কৃপাতেই মাঠঘাট ভরে ওঠে শাকসব্জিতে। যদিওআদিশক্তির এই রূপের পুজো এখন বিরল

●5> ভাদ্র মাস– দেবী পার্বতী।
এই মাসের আরাধ্যা দেবী হলেন দেবী পার্বতী। কথিত আছে এই মাসেই ঘটেছিল মহাদেব এবং পার্বতীর প্রথম মিলন।

●6> আশ্বিন মাস– দেবী দুর্গা।
এই মাসেই হয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব দুর্গাপূজা।রামায়ণে বর্ণিত অকালবোধনে রামচন্দ্র দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন । তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তি ঘটেছে দেবীর মূর্তিরও। এখন দেবী পূজিত হন মহিষাসুরমর্দিনী এবং চার সন্তানের জননী রূপে।

●7> কার্তিক মাস– দেবী জগদ্ধাত্রী।
এই মাসে আদিশক্তিপূজিত হন জগদ্ধাত্রী রূপে। কথিত আছে – একবার চার দেবতা ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু ও চন্দ্র খুব অহংকারী হয়ে উঠেছিলেন। তারা ভুলে গিয়েছিলেন মহাশক্তির শক্তিতেই তারা বলীয়ান। তখন দেবী জগদ্ধাত্রী রূপে তাদের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন। জগতের রক্ষাকারিণী দেবী হলেন দেবী জগদ্ধাত্রী।

●8> অগ্রহায়ণ মাস–দেবী কাত্যায়নী।
অগ্রহায়ণ মাসে কাত্যায়নী দেবীর পুজো হয়ে থাকে। এইদেবীকে বিবাহ এবং সন্তানকামনা পূরণকারিনী দেবী। পুরাণ অনুযায়ী, ব্রজের গোপিণীরা কৃষ্ণকে স্বামীরূপে পাওয়ার ইচ্ছায় এই দেবীর পুজো করতেন মাঘ মাসে। কিন্তু বাংলার নবদ্বীপের রাসযাত্রায় অগ্রহায়ণ মাসেই কাত্যায়নী দেবীর পুজোর প্রচলন আছে।

●9> পৌষ মাস– দেবী পৌষকালী।
এই মাসে পৌষকালীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। আদিশক্তির এই রূপকে বলা হয় মোক্ষদানকারিণী। পৌষকালীর পুজোয় দেবীকে পৌষ মাসের অন্যতম সবজি মুলো নিবেদন করা হয়ে থাকে।

●10> মাঘ মাস– দেবী রটন্তীকালী।
এ মাসেও দেবী কালীর আরাধনা করা হয়। মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীতে রটন্তীকালীর পুজো করা হয়। দেবীর এই রূপকে গৃহশক্তির রক্ষাকারিণীও বলা হয়ে থাকে। দেবীর আরাধনায় সাংসারিক জীবন সুখের হয় বলেই মনে করেন অনেকে।

●11> ফাল্গুন মাস–দেবী সঙ্কটনাশিনী।
আদিশক্তি এইমাসে সঙ্কটনাশিনী রূপে পূজিত হন। জীবনসঙ্কট , রোগব্যধি এবং অন্যান্য বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য এই দেবীর আরাধনা করাহয়।

●12> চৈত্র মাস– দেবী বাসন্তী বা দেবীঅন্নপূর্ণা।
এই মাসে ধরিত্রীকে শস্যপূর্ণ করতে দেবী বাসন্তীর আরাধনা করা হয়। অনেকে চৈত্র মাসে আরাধ্যা দেবীকে অন্নপূর্ণা রূপেও পুজো করে থাকেন।
===========================

★দেবী দুর্গার108 নাম মাহাত্ম্য (সংক্ষেপে)লিখতেহবে।

দেবী দুর্গা হলেন বিশ্বজগতের মা।
জনপ্রিয় জগৎ জননী দেবী, দুর্গার অনেক অবতার  রয়েছে: কালী, ভগবতী, ভবানী, অম্বিকা, ললিতা, গৌরী, কন্দলিনী, জাভা, রাজেশ্বরী এবং আরও অনেক কিছু। এই সকল দেবীই বিভিন্ন রূপে আবির্ভূত হতে পারেন।

দুর্গা যখন নিজের রূপে আবির্ভূত হন, তখন তিনি  নয়টি পদের একটি রূপে আবির্ভূত হন । তারা হলেন ●1>স্কন্দমাতা, ●2>কুসুমন্দা, ●3>শৈলপুত্রী, ●4>কালরাত্রি, ●5>ব্রহ্মচারিণী, ●6>মহাগৌরী, ●7>কাত্যায়নী, ●8>চন্দ্রঘন্টা এবং ●9>সিদ্ধিদাত্রী।

দুর্গার ১০৮টি নাম তাঁর জটিল প্রকৃতির প্রমাণ হিসেবে কাজ করে, যা তাঁর অসংখ্য গুণাবলী, রূপ ও ঐতিহ্যের বর্ননা করে এবং ১০৮ সংখ্যার আধ্যাত্মিক তাৎপর্য তুলে ধরে। দুর্গার প্রতিটি নাম তাঁর ঐশ্বরিক প্রকৃতি, গুণাবলী এবং কর্মের একটি ভিন্ন দিককে ধারণ করে।

দুর্গার ১০৮টি নামের ইতিহাস::---
ভগবান শিব দেবী দুর্গার প্রতি তাঁর ভক্তি প্রকাশের জন্য এবং তাঁকে খুশি করার জন্য তাঁর ১০৮টি নাম বলেছিলেন ।

এই নামগুলি পুরাণে পাওয়া যায়, যা পবিত্র হিন্দু সাহিত্যের একটি বিশাল সংগ্রহ, যাকে বলা হয় ​দেবী মাহাত্ম্যম বা দেবীমাহাত্ম্যম ( দেবীর মহিমা ), যা দেবী দুর্গার যুদ্ধ এবং রাক্ষস রাজা মহিষাসুরের উপর শেষ পর্যন্ত বিজয়ের গল্প বর্ণনা
করে।
প্রাচীন ভারতীয় ঋষি মার্কণ্ডেয় কর্তৃক সংস্কৃত ভাষায় প্রায় ৪০০-৫০০ খ্রিস্টাব্দে রচিত, এই হিন্দু ধর্মগ্রন্থটি দুর্গা সপ্তশত বা কেবল চণ্ডী নামেও পরিচিত ।

নবরাত্রী এবং দুর্গাপূজার উৎসবে , ভক্তরা দেবীর ১০৮টি নামে প্রার্থনা করেন।

দেবী দুর্গার ১০৮ টি নাম
( ১) সতী,=="সতী" দক্ষের কন্যা ও 
                  শিবপত্নী ,পতিব্রতা নারী।
( ২) সাধ্বী=তপস্বী,পবিত্র নারী।
( ৩) ভবপ্রীতা=অনুভূতির দীপ্তি
( ৪) ভবানী==জীবনদাতা', 'প্রকৃতির শক্তি'
                     বা সৃজনশীল শক্তির উৎস'

( ৫)ভবমোচনী,

( ৬) আর্য্যা,=দেবী
( ৭) দুর্গা,
( ৮) জয়া,

( ৯)আদ্যা =আদিম বাস্তবতা।

( ১০) ত্রিনেত্রা,
( ১১) শূলধারিণী,
( ১২)পিনাকধারিণী,
( ১৩ ) চিত্রা,
( ১৪) চন্দ্রঘণ্টা,
( ১৫)মহাতপা,
( ১৬ ) মনঃ,
( ১৭) বুদ্ধি,

( ১৮ ) অহঙ্কার==যিনি গর্বে পূর্ন।

( ১৯)চিত্তরূপা,
( ২০ ) চিতা,
( ২১ ) চিতি,
( ২২)সর্বমন্ত্রময়ী,
( ২৩ ) নিত্যা,
( ২৪) সত্যানন্দস্বরূপিণী,
( ২৫) অনন্তা==অসীম অপরিমেয়।
( ২৬) ভাবিনী==বিশ্বজগতের মাতা।

( ২৭) ভাব্যা=
( ২৮) ভব্যা

( ২৯) অভব্যা,=ভয়ঙ্করী।

( ৩০) সদাগতি,
( ৩১ ) শাম্ভবী,
( ৩২)দেবমাতা,
( ৩৩ ) চিন্তা,
( ৩৪ ) রত্নপ্রিয়া,
( ৩৫)সর্ববিদ্যা,
( ৩৬ ) দক্ষকন্যা,
( ৩৭)দক্ষযজ্ঞবিনাশিনী,

( ৩৮ ) অপর্ণা==জযিনি উপবাসের সময় পাতাও খাওয়া থেকে বিরত থাকেন।

( ৩৯)অনেকবর্ণা==যার একাধিক বর্ণ
                             আছে।
( ৪০) পাটলা,
( ৪১ ) পাটলাবতী,
( ৪২)পট্টাম্বরপরিধানা,
( ৪৩) কলমঞ্জীররঞ্জিনী,
( ৪৪)অমেয়বিক্রমা,
( ৪৫ ) ক্রূরা,
( ৪৬ ) সুন্দরী,
( ৪৭)সুরসুন্দরী,
( ৪৮ ) বনদুর্গা,
( ৪৯ ) মাতঙ্গী,
( ৫০)মতঙ্গমুনিপূজিতা,
( ৫১ ) ব্রাহ্মী,
( ৫২) মাহেশ্বরী,

( ৫৩) ঐন্দ্রী,=যিনি ইন্দ্রকে শক্তি দেন।

( ৫৪) কৌমারী,
( ৫৫) বৈষ্ণবী,
( ৫৬)চামুণ্ডা,
( ৫৭ ) বারাহী,
( ৫৮ ) লক্ষ্মী,
( ৫৯)পুরুষাকৃতি,
( ৬০ ) বিমলা,
( ৬১ ) উৎকর্ষিণী,
( ৬২)জ্ঞানা,
( ৬৩ ) ক্রিয়া,
( ৬৪ ) সত্যা,
( ৬৫ ) বুদ্ধিদা,

( ৬৬)বহুলা== যার বিভিন্ন রূপ ও প্রকাশ
                       রয়েছে।
( ৬৭ ) বহুলপ্রেমা==যিনি সকলের প্রিয়।

( ৬৮) সর্ববাহনবাহনা,
( ৬৯)নিশুম্ভনিশুম্ভহননী,
( ৭০ ) মহিষাসুরমর্দিনী,
( ৭১)মধুকৈটভহন্ত্রী,
( ৭২) চণ্ডমুণ্ডবিনাশিনী,
( ৭৩)সর্বাসুরবিনাশা,
( ৭৪ ) সর্বদানবঘাতিনী,
( ৭৫)সর্বশাস্ত্রময়ী,
( ৭৬) সত্যা,
( ৭৭ ) সর্বাস্ত্রধারিণী,

( ৭৮) অনেকশস্ত্রহস্তা==যিনি অনেক অস্ত্র
                                  ধারণ করেন।

( ৭৯) অনেকাস্ত্রধারিণী,
( ৮০) কুমারী,
( ৮১ ) কন্যা,
( ৮২) কৈশোরী,
( ৮৩) যুবতী
( ৮৪) যতি,

( ৮৫ ) অপ্রৌঢ়া==যিনি কখনও বৃদ্ধ
                            হয়না।

( ৮৬ ) প্রৌঢ়া,
( ৮৭)বৃদ্ধমাতা,
( ৮৮) বলপ্রদা,
( ৮৯ ) মহোদরী,
( ৯০)মুক্তকেশী,
( ৯১) ঘোররূপা,
( ৯২ ) মহাবলা,
( ৯৩)অগ্নিজ্বালা==যিনি আগুন ছড়াতে
                                সক্ষম
( ৯৪ ) রৌদ্রমুখী,
( ৯৫) কালরাত্রি,
( ৯৬) তপস্বিনী,
( ৯৭ ) নারায়ণী,
( ৯৮ ) ভদ্রকালী,
( ৯৯)বিষ্ণুমায়া,
( ১০০ ) জলোদরী,
( ১০১ ) শিবদূতী,
( ১০২ )করালী,
★( ১০৩ ) অনন্তা,
( ১০৪ ) পরমেশ্বরী,
( ১০৫ )কাত্যায়নী,
( ১০৬ ) সাবিত্রী,
( ১০৭ ) প্রত্যক্ষা এবং
( ১০৮ ) ব্রহ্মবাদিনী।
(জয় মা দূর্গা)
=========================

Tuesday, May 6, 2025

13>|| রটন্তী কালী পূজা ||

            13>|| রটন্তী কালী পূজা ||

                       <---আদ্যনাথ--->


ভক্ত বাঞ্ছা কল্পতরু, 

জয় শ্রী রাধা কৃষ্ণ নাম শরনম।

হরে মুরারে শ্রীকৃষ্ণ নাম শরনম কেবলম।


      শ্রী শ্রী রটন্তী কালী পূজা


সমস্ত কালীপুজো অমাবস্যা তিথিতে হলেও রটন্তী কালীপুজো চতুর্দশী তিথিতে হওয়ার পিছনে একটা পৌরাণিক গল্প রয়েছে। ‘রটন্তী’ শব্দের মধ্যে রয়েছে ‘রটে’ যাওয়া কথাটি। রটে যাওয়া অর্থাৎ মুখে মুখে প্রচারিত হওয়া। কিন্তু কি রটেছিল সেটা জানতে আমাদের ফিরে যেতে হবে রাধা কৃষ্ণের প্রেমের কাহিনীতে।


কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি যখন বেজে ওঠে শ্রীরাধা আর সংসারে মন দিতে পারেন না। সংসার-লোকলাজ সবকিছু ত্যাগ করে তিনি ছুটে যান শ্রীকৃষ্ণের কাছে। শ্রীরাধার শাশুড়ি এবং ননদ জটিলা এবং কুটিলা তাঁরা এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন বহুবার কিন্তু কখনই শ্রীরাধার স্বামী আয়ান ঘোষ কে তা বিশ্বাস করাতে পারেননি। মাঘ মাসের ঠান্ডা তার ওপর কৃষ্ণাচতুর্দশী হওয়ায় রাতটি ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার। এমন সময়ে কৃষ্ণের বাঁশি বেজে ওঠে আর সেই বাঁশির আওয়াজ শুনে শ্রীরাধিকা বাড়ি ছাড়েন। হাতেনাতে ধরার জন্য তাঁর পিছু নেন জটিলা-কুটিলা। তাঁরা কুঞ্জবনে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে শ্রীরাধার মিলিত হওয়ার দৃশ্য চাক্ষুষ করে দ্রুত বাড়ি ফিরে আয়ান ঘোষকে টানতে টানতে নিয়ে যান কুঞ্জবনে। উদ্দেশ্য আয়ানকে বিশ্বাস করাতেই হবে শ্রীরাধিকার এই গোপন প্রেমের কাহিনী। আয়ান ঘোষ ছিলেন শক্তির উপাসক, কালীর পূজারী। এদিকে শ্রীরাধিকা ভয় পেয়েছেন, কী করবেন তিনি? এবার শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে আশ্বস্ত করলেন। আয়ান ঘোষ কুঞ্জবনে পৌঁছে দেখলেন তাঁর আরাধ্যা মা কালী গাছের তলায় বসে রয়েছেন আর নিজের কোলে তাঁর পা টি রেখে সেবা করছেন শ্রীরাধিকা। দেখে আপ্লুত হলেন আয়ান। তাঁর সাক্ষাৎ কালী দর্শন হল।


তিনি স্বচক্ষে দেখলেন যে কালীর সাধনা তিনি এতদিন ধরে করে এসেছেন, কী অনায়াসে শ্রীরাধিকা তাঁর পদসেবা করছেন। আর এই বার্তায় আয়ান ঘোষ এবার ছড়িয়ে দিলেন দিকে দিকে। এই কথাটাই রটে গেল যে তিনি কালীর দর্শন পেয়েছেন। শ্রীকৃষ্ণও এর মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন কৃষ্ণ এবং কালী অভেদ। মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে কালীর দর্শন পাওয়ায় ওইদিন বিশেষভাবে কালীপুজোর প্রচলন হল। আর তার নাম হল রটন্তী কালীপুজো।


শাক্তদের এই বিশেষ দিন শ্রীকৃষ্ণের জীবনের সঙ্গে জুড়ে যাওয়ায় বৈষ্ণবদের কাছেও এটি একটি বিশেষ দিন। আবার এই চতুর্দশী তিথিটি জুড়ে রয়েছে মহাদেবের সঙ্গে। তাই শৈবদের কাছেও এটি একটি বিশেষ দিন। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরেও একইসঙ্গে পুজো হচ্ছে মা ভবতারিণী, রাধাকৃষ্ণ এবং মহাদেবের। 


       জয় মা জয় তারা

জয় মা ভবতারিণী। জয় মা, জয় মা।

   নমঃ শ্রী রামকৃষ্ণ দেবয়ঃ নমঃ

                  ( সংগ্রহীত)

      <--আদ্যনাথ রায় চৌধুরী-->

==========================


12>|| दंतेश्‍वरी मंदिर –

 12>|| दंतेश्‍वरी मंदिर –


दन्तेवाड़ा – एक शक्ति पीठ – यहाँ गिरा था सती का दांत - 

छत्तीसगढ़ के बस्तर क्षेत्र की हसीन वादियों में स्तिथ है, दन्तेवाड़ा का प्रसिद्ध दंतेश्‍वरी मंदिर। देवी पुराण में शक्ति पीठों की संख्या 51 बताई गई है जबकि तन्त्रचूडामणि में 52 शक्तिपीठ बताए गए हैं। जबकि कई अन्य ग्रंथों में यह संख्या 108 तक बताई गई है। दन्तेवाड़ा को हालांकि देवी पुराण के 51 शक्ति पीठों में शामिल नहीं किया गया है लेकिन इसे देवी का 52 वा शक्ति पीठ माना जाता है। मान्यता है की यहाँ पर सती का दांत गिरा था इसलिए इस जगह का नाम दंतेवाड़ा और माता क़ा नाम दंतेश्वरी देवी पड़ा। 51 शक्ति पीठों की जानकारी और शक्ति पीठों के निर्माण कि कहानी आप हमारे पिछले लेख 51 शक्ति पीठ में पढ़ सकते है। दंतेश्‍वरी मंदिर शंखिनी और डंकिनी नदीयों के संगम पर स्तिथ हैं। दंतेश्‍वरी देवी को बस्तर क्षेत्र की कुलदेवी का दर्ज़ा प्राप्त है। इस मंदिर की एक खासियत यह है की माता के दर्शन करने के लिए आपको लुंगी या धोति पहनकर ही मंदीर में जाना होगा। मंदिर में सिले हुए वस्त्र पहन कर जानें की मनाही है।

मंदिर के निर्माण की कथा :
दन्तेवाड़ा शक्ति पीठ में माँ दन्तेश्वरी के मंदीर का निर्माण कब व कैसे हूआ इसकि क़हानी कुछ इस तरह है। ऐसा माना जाता है कि बस्‍तर के पहले काकातिया राजा अन्‍नम देव वारंगल से यहां आए थे। उन्‍हें दंतेवश्‍वरी मैय्या का वरदान मिला था। कहा जाता है कि अन्‍नम देव को माता ने वर दिया था कि जहां तक वे जाएंगे, उनका राज वहां तक फैलेगा। शर्त ये थी कि राजा को पीछे मुड़कर नहीं देखना था और मैय्या उनके पीछे-पीछे जहां तक जाती, वहां तक की ज़मीन पर उनका राज हो जाता। अन्‍नम देव के रूकते ही मैय्या भी रूक जाने वाली थी।

अन्‍नम देव ने चलना शुरू किया और वे कई दिन और रात चलते रहे। वे चलते-चलते शंखिनी और डंकिनी नंदियों के संगम पर पहुंचे। यहां उन्‍होंने नदी पार करने के बाद माता के पीछे आते समय उनकी पायल की आवाज़ महसूस नहीं की। सो वे वहीं रूक गए और माता के रूक जाने की आशंका से उन्‍होंने पीछे पलटकर देखा। माता तब नदी पार कर रही थी। राजा के रूकते ही मैय्या भी रूक गई और उन्‍होंने आगे जाने से इनकार कर दिया। दरअसल नदी के जल में डूबे पैरों में बंधी पायल की आवाज़ पानी के कारण नहीं आ रही थी और राजा इस भ्रम में कि पायल की आवाज़ नहीं आ रही है, शायद मैय्या नहीं आ रही है सोचकर पीछे पलट गए।

वचन के अनुसार मैय्या के लिए राजा ने शंखिनी-डंकिनी नदी के संगम पर एक सुंदर घर यानि मंदिर बनवा दिया। तब से मैय्या वहीं स्‍थापित है। दंतेश्वरी मंदिर के पास ही शंखिनी और डंकिन नदी के संगम पर माँ दंतेश्वरी के चरणों के चिन्ह मौजूद है और यहां सच्चे मन से की गई मनोकामनाएं अवश्य पूर्ण होती है।

अदभुत है मंदिर :
दंतेवाड़ा में माँ दंतेश्वरी की षट्भुजी वाले काले ग्रेनाइट की मूर्ति अद्वितीय है। छह भुजाओं में दाएं हाथ में शंख, खड्ग, त्रिशुल और बाएं हाथ में घंटी, पद्य और राक्षस के बाल मांई धारण किए हुए है। यह मूर्ति नक्काशीयुक्त है और ऊपरी भाग में नरसिंह अवतार का स्वरुप है। माई के सिर के ऊपर छत्र है, जो चांदी से निर्मित है। वस्त्र आभूषण से अलंकृत है। द्वार पर दो द्वारपाल दाएं-बाएं खड़े हैं जो चार हाथ युक्त हैं। बाएं हाथ सर्प और दाएं हाथ गदा लिए द्वारपाल वरद मुद्रा में है। इक्कीस स्तम्भों से युक्त सिंह द्वार के पूर्व दिशा में दो सिंह विराजमान जो काले पत्थर के हैं। यहां भगवान गणेश, विष्णु, शिव आदि की प्रतिमाएं विभिन्न स्थानों में प्रस्थापित है। मंदिर के गर्भ गृह में सिले हुए वस्त्र पहनकर प्रवेश प्रतिबंधित है। मंदिर के मुख्य द्वार के सामने पर्वतीयकालीन गरुड़ स्तम्भ से अड्ढवस्थित है। बत्तीस काष्ठड्ढ स्तम्भों और खपरैल की छत वाले महामण्डप मंदिर के प्रवेश के सिंह द्वार का यह मंदिर वास्तुकला का अनुपम उदाहरण है। मांई जी का प्रतिदिन श्रृंगार के साथ ही मंगल आरती की जाती है।

माँ भुनेश्वरी देवी :
माँ दंतेश्वरी मंदिर के पास ही उनकी छोटी बहन माँ भुनेश्वरी का मंदिर है। माँ भुनेश्वरी को मावली माता, माणिकेश्वरी देवी के नाम से भी जाना जाता है। माँ भुनेश्वरी देवी आंध्रप्रदेश में माँ पेदाम्मा के नाम से विख्यात है और लाखो श्रद्धालु उनके भक्त हैं। छोटी माता भुवनेश्वरी देवी और मांई दंतेश्वरी की आरती एक साथ की जाती है और एक ही समय पर भोग लगाया जाता है। लगभग चार फीट ऊंची माँ भुवनेश्वरी की अष्टड्ढभुजी प्रतिमा अद्वितीय है। मंदिर के गर्भगृह में नौ ग्रहों की प्रतिमाएं है। वहीं भगवान विष्णु अवतार नरसिंह, माता लक्ष्मी और भगवान गणेश की प्रतिमाएं प्रस्थापित हैं। कहा जाता है कि माणिकेश्वरी मंदिर का निर्माण दसवीं शताब्दी में हुआ।

फाल्गुन में होता है मड़ई उत्सव क्या आयोज़न :
होली से दस दिन पूर्व यहां फाल्गुन मड़ई का आयोजन होता है, जिसमें आदिवासी संस्कृति की विश्वास और परंपरा की झलक दिखाई पड़ती है। नौ दिनों तक चलने वाले फाल्गुन मड़ई में आदिवासी संस्कृति की अलग-अलग रस्मों की अदायगी होती है। मड़ई में ग्राम देवी-देवताओं की ध्वजा, छत्तर और ध्वजा दण्ड पुजारियों के साथ शामिल होते हैं। करीब 250 से भी ज्यादा देवी-देवताओं के साथ मांई की डोली प्रतिदिन नगर भ्रमण कर नारायण मंदिर तक जाती है और लौटकर पुनरू मंदिर आती है। इस दौरान नाच मंडली की रस्म होती है, जिसमें बंजारा समुदाय द्वारा किए जाने वाला लमान नाचा के साथ ही भतरी नाच और फाग गीत गाया जाता है। मांई जी की डोली के साथ ही फाल्गुन नवमीं, दशमी, एकादशी और द्वादशी को लमहा मार, कोड़ही मार, चीतल मार और गौर मार की रस्म होती है। मड़ई के अंतिम दिन सामूहिक नृत्य में सैकड़ों युवक-युवती शामिल होते हैं और रात भर इसका आनंद लेते हैं। फाल्गुन मड़ई में दंतेश्वरी मंदिर में बस्तर अंचल के लाखों लोगों की भागीदारी होती है।

फाल्गुन मड़ई उत्सव 

==================================================

11>|| करणी माता मंदिर,

 11>|| करणी माता मंदिर,


  देशनोक (Karni Mata Temple , Deshnok) – इस मंदिर में रहते है 20,000 चूहे, चूहों का झूठा प्रसाद मिलता है भक्तों को

यदि आपके घर में आपको एक भी चूहा नज़र आ जाए तो आप बेचैन हो उठेंगे। आप उसको अपने घर से भगाने की तमाम तरकीबे लगाएंगे क्योकि चूहों को प्लेग जैसी कई भयानक बीमारियों का कारण माना जाता है। लेकिन क्या आपको पता है की हमारे देश भारत में माता का एक ऐसा मंदिर भी है जहाँ पर 20000 चूहे रहते है और मंदिर में आने वालो भक्तो को चूहों का झूठा किया हुआ प्रसाद ही मिलता है।

आश्चर्य की बात यह है की इतने चूहे होने के बाद भी मंदिर में बिल्कुल भी बदबू नहीं है, आज तक कोई भी बीमारी नहीं फैली है यहाँ तक की चूहों का झूठा प्रसाद खाने से कोई भी भक्त बीमार नहीं हुआ है। इतना ही नहीं जब आज से कुछ दशको पूर्व पुरे भारत में प्लेग फैला था तब भी इस मंदिर में भक्तो का मेला लगा रहता था और वो चूहों का झूठा किया हुआ प्रसाद ही खाते थे। यह है राजस्थान के ऐतिहासिक नगर बीकानेर से लगभग 30 किलो मीटर दूर देशनोक में स्तिथ करणी माता का मंदिर जिसे चूहों वाली माता, चूहों वाला मंदिर और मूषक मंदिर के नाम से भी जाना जाता है।
माना जाता है माँ जगदम्बा का साक्षात अवतार :
करणी माता, जिन्हे की भक्त माँ जगदम्बा का अवतार मानते है, का जन्म 1387 में एक चारण परिवार में हुआ था। उनका बचपन का नाम रिघुबाई था। रिघुबाई की शादी साठिका गाँव के किपोजी चारण से हुई थी लेकिन शादी के कुछ समय बाद ही उनका मन सांसारिक जीवन से ऊब गया इसलिए उन्होंने किपोजी चारण की शादी अपनी छोटी बहन गुलाब से करवाकर खुद को माता की भक्ति और लोगों की सेवा में लगा दिया। जनकल्याण, अलौकिक कार्य और चमत्कारिक शक्तियों के कारण रिघु बाई को करणी माता के नाम से स्थानीय लोग पूजने लगे। वर्तमान में जहाँ यह मंदिर स्तिथ है वहां पर एक गुफा में करणी माता अपनी इष्ट देवी की पूजा किया करती थी। यह गुफा आज भी मंदिर परिसर में स्तिथ है। कहते है करनी माता 151 वर्ष जिन्दा रहकर 23 मार्च 1538 को ज्योतिर्लिन हुई थी। उनके ज्योतिर्लिं होने के पश्चात भक्तों ने उनकी मूर्ति की स्थापना कर के उनकी पूजा शुरू कर दी जो की तब से अब तक निरंतर जारी है।

राजा गंगा सिंह ने करवाया था मंदिर का निर्माण :
करणी माता बीकानेर राजघराने की कुलदेवी है। कहते है की उनके ही आशीर्वाद से बीकानेर और जोधपुर रियासत की स्थापना हुई थी। करणी माता के वर्तमान मंदिर का निर्माण बीकानेर रियासत के महाराजा गंगा सिंह ने बीसवी शताब्दी के शुरुआत में करवाया था। इस मंदिर में चूहों के अलावा, संगमरमर के मुख्य द्वार पर की गई उत्कृष्ट कारीगरी, मुख्य द्वार पर लगे चांदी के बड़े बड़े किवाड़, माता के सोने के छत्र और चूहों के प्रसाद के लिए रखी चांदी की बहुत बड़ी परात भी मुख्य आकर्षण है।

यदि हम चूहों की बात करे तो मंदिर के अंदर चूहों का एक छत्र राज है। मदिर के अंदर प्रवेश करते ही हर जगह चूहे ही चूहे नज़र आते है। चूहों की अधिकता का अंदाजा इसी बात से लगाया जा सकता है की मंदिर के अंदर मुख्य प्रतिमा तक पहुंचने के लिए आपको अपने पैर घसीटते हुए जाना पड़ता है। क्योकि यदि आप पैर उठाकर रखते है तो उसके नीचे आकर चूहे घायल हो सकते है जो की अशुभ माना जाता है। इस मंदिर में करीब बीस हज़ार काले चूहों के साथ कुछ सफ़ेद चूहे भी रहते है। इस चूहों को ज्यादा पवित्र माना जाता है। मान्यता है की यदि आपको सफ़ेद चूहा दिखाई दे गया तो आपकी मनोकामना अवश्य पूर्ण होगी।

इस मंदिरो के चूहों की एक विशेषता और है की मंदिर में सुबह 5 बजे होने वाली मंगला आरती और शाम को 7 बजे होने वाली संध्या आरती के वक़्त अधिकांश चूहे अपने बिलो से बाहर आ जाते है। इन दो वक़्त चूहों की सबसे ज्यादा धामा चौकड़ी होती है। यहां पर रहने वाले चूहों को काबा कहा जाता कहां जाता है। माँ को चढ़ाये जाने वाले प्रसाद को पहले चूहे खाते है फिर उसे बाटा जाता है। चील, गिद्ध और दूसरे जानवरो से इन चूहों की रक्षा के लिए मंदिर में खुले स्थानो पर बारीक जाली लगी हुई है।

करणी माता के बेटे माने जाते है चूहे :
करणी माता मंदिर में रहने वाले चूहे माँ की संतान माने जाते है करनी माता की कथा के अनुसार एक बार करणी माता का सौतेला पुत्र ( उसकी बहन गुलाब और उसके पति का पुत्र ) लक्ष्मण, कोलायत में स्तिथ कपिल सरोवर में पानी पीने की कोशिश में डूब कर मर गया। जब करणी माता को यह पता चला तो उन्होंने, मृत्यु के देवता याम को उसे पुनः जीवित करने की प्राथना की। पहले तो यम राज़ ने मन किया पर बाद में उन्होंने विवश होकर उसे चूहे के रूप में पुनर्जीवित कर दिया।

हालॉकि बीकानेर के लोक गीतों में इन चूहों की एक अलग कहानी भी बताई जाती है जिसके अनुसार एक बार 20000 सैनिकों की एक सेना देशनोक पर आकर्मण करने आई जिन्हे माता ने अपने प्रताप से चूहे बना दिया और अपनी सेवा में रख लिया।

================================================================