Wednesday, May 28, 2025

14>মা দুর্গার নানান রূপ ও 108 নাম ::----

 

মা দুর্গার  নানান রূপ ও 108 নাম  ::----



দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপের পূজা প্রচলিত, বিশেষ করে নবরাত্রির সময়, এবং
12 মাসে বারো রূপে পুঁজিত হন মা দুর্গা।

নবরাত্রির সময় নয়টি রূপকে নবদুর্গা নামেও ডাকা হয়।
এর বাইরেও, দশমহাবিদ্যা নামে দেবী দুর্গার আরও দশটি রূপের পূজা হয়।
এই রূপগুলি প্রত্যেকটিকে আলাদা আলাদা সময়ে পূজা করা হয়।

★★নবদুর্গা:----
নবরাত্রির সময় এই নয়টি রূপে দেবী দুর্গার পূজা করা হয়। এই রূপগুলি হল - ●1>শৈলপুত্রী, ●2>ব্রহ্মচারিণী, ●3>চন্দ্রঘণ্টা, ●>4কুষ্মাণ্ডা,
●5>স্কন্দমাতা, ●6>কাত্যায়নী, ●7>কালরাত্রি, ●8>মহাগৌরী এবং ●9>সিদ্ধিদাত্রী.
===================
★★দশমহাবিদ্যা:-----
এই দশটি রূপ হলো -----
●1>কালী, ●2>তারা, ●3>ত্রিপুরা সুন্দরী, ●4>ভুবনেশ্বরী, ●5>ভৈরবী, ●6>চিন্নামস্তা, ●7>ধূমাবতী, ●8>বগালামুখী, ●9>মাতঙ্গী এবং ●10>কমলা.
অন্যান্য রূপ:
দেবী দুর্গার অনেক রূপের কথা প্রচলিত। যেমন, ★ভদ্রকালী, ★চণ্ডিকা ইত্যাদি.

এছাড়াও দেবীর
"বার মাসে বার রূপ" বলতে দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপের পূজা ও আরাধনা করা হয়।
====================

★★বারো মাসে মা দুর্গার বারো রূপে দেবীবরণ ও পূজা হয়।

●1> বৈশাখ মাস–এই মাসের আরাধ্যা দেবী হলেন গন্ধেশ্বরী।
বাংলা বছরের প্রথম মাস হল বৈশাখ। এই মাসের আরাধ্যা দেবী হলেন গন্ধেশ্বরী। এই দেবীর আরাধনা করেন মুলত গন্ধবণিকরা। কথিত আছে এই দেবীর আরাধনায় রমরমিয়ে বেড়েছেতাদের ব্যবসা। বেড়েছে গন্ধদ্রব্যের প্রাচুর্য।

●2> জ্যৈষ্ঠ মাস–এই মাসের আরাধ্যা দেবী হলেন ফলহারিণী।
জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণী নামেই দেবী পূজিত হন। দেবীর এই রূপকে কর্মফল হরণকারিণী নামেও পরিচিত। এই দেবীর আরাধনার ফলেকর্মফল থেকে নিজেদের রক্ষা করা যায় বলে মনে করেছেন অনেকে।

●3> আষাড় মাস– এই মাসের আরাধ্যা দেবী হলেন "মা কামাক্ষ্যা" ।
অম্বুবাচী তিথিতেই মহাধুমধামের সঙ্গে পূজিত হন দেবী কামাক্ষ্যা। তিনিই হলেন উর্বরতার দেবী।

●4> শ্রাবণ মাস–দেবী শাকম্ভরী।
শ্রাবণ মাসে দেবী পূজিত হন শাকম্ভরী রূপে। অনেকে মনে করেন এই দেবীর কৃপাতেই মাঠঘাট ভরে ওঠে শাকসব্জিতে। যদিওআদিশক্তির এই রূপের পুজো এখন বিরল

●5> ভাদ্র মাস– দেবী পার্বতী।
এই মাসের আরাধ্যা দেবী হলেন দেবী পার্বতী। কথিত আছে এই মাসেই ঘটেছিল মহাদেব এবং পার্বতীর প্রথম মিলন।

●6> আশ্বিন মাস– দেবী দুর্গা।
এই মাসেই হয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব দুর্গাপূজা।রামায়ণে বর্ণিত অকালবোধনে রামচন্দ্র দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন । তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তি ঘটেছে দেবীর মূর্তিরও। এখন দেবী পূজিত হন মহিষাসুরমর্দিনী এবং চার সন্তানের জননী রূপে।

●7> কার্তিক মাস– দেবী জগদ্ধাত্রী।
এই মাসে আদিশক্তিপূজিত হন জগদ্ধাত্রী রূপে। কথিত আছে – একবার চার দেবতা ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু ও চন্দ্র খুব অহংকারী হয়ে উঠেছিলেন। তারা ভুলে গিয়েছিলেন মহাশক্তির শক্তিতেই তারা বলীয়ান। তখন দেবী জগদ্ধাত্রী রূপে তাদের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন। জগতের রক্ষাকারিণী দেবী হলেন দেবী জগদ্ধাত্রী।

●8> অগ্রহায়ণ মাস–দেবী কাত্যায়নী।
অগ্রহায়ণ মাসে কাত্যায়নী দেবীর পুজো হয়ে থাকে। এইদেবীকে বিবাহ এবং সন্তানকামনা পূরণকারিনী দেবী। পুরাণ অনুযায়ী, ব্রজের গোপিণীরা কৃষ্ণকে স্বামীরূপে পাওয়ার ইচ্ছায় এই দেবীর পুজো করতেন মাঘ মাসে। কিন্তু বাংলার নবদ্বীপের রাসযাত্রায় অগ্রহায়ণ মাসেই কাত্যায়নী দেবীর পুজোর প্রচলন আছে।

●9> পৌষ মাস– দেবী পৌষকালী।
এই মাসে পৌষকালীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। আদিশক্তির এই রূপকে বলা হয় মোক্ষদানকারিণী। পৌষকালীর পুজোয় দেবীকে পৌষ মাসের অন্যতম সবজি মুলো নিবেদন করা হয়ে থাকে।

●10> মাঘ মাস– দেবী রটন্তীকালী।
এ মাসেও দেবী কালীর আরাধনা করা হয়। মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীতে রটন্তীকালীর পুজো করা হয়। দেবীর এই রূপকে গৃহশক্তির রক্ষাকারিণীও বলা হয়ে থাকে। দেবীর আরাধনায় সাংসারিক জীবন সুখের হয় বলেই মনে করেন অনেকে।

●11> ফাল্গুন মাস–দেবী সঙ্কটনাশিনী।
আদিশক্তি এইমাসে সঙ্কটনাশিনী রূপে পূজিত হন। জীবনসঙ্কট , রোগব্যধি এবং অন্যান্য বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য এই দেবীর আরাধনা করাহয়।

●12> চৈত্র মাস– দেবী বাসন্তী বা দেবীঅন্নপূর্ণা।
এই মাসে ধরিত্রীকে শস্যপূর্ণ করতে দেবী বাসন্তীর আরাধনা করা হয়। অনেকে চৈত্র মাসে আরাধ্যা দেবীকে অন্নপূর্ণা রূপেও পুজো করে থাকেন।
===========================

★দেবী দুর্গার108 নাম মাহাত্ম্য (সংক্ষেপে)লিখতেহবে।

দেবী দুর্গা হলেন বিশ্বজগতের মা।
জনপ্রিয় জগৎ জননী দেবী, দুর্গার অনেক অবতার  রয়েছে: কালী, ভগবতী, ভবানী, অম্বিকা, ললিতা, গৌরী, কন্দলিনী, জাভা, রাজেশ্বরী এবং আরও অনেক কিছু। এই সকল দেবীই বিভিন্ন রূপে আবির্ভূত হতে পারেন।

দুর্গা যখন নিজের রূপে আবির্ভূত হন, তখন তিনি  নয়টি পদের একটি রূপে আবির্ভূত হন । তারা হলেন ●1>স্কন্দমাতা, ●2>কুসুমন্দা, ●3>শৈলপুত্রী, ●4>কালরাত্রি, ●5>ব্রহ্মচারিণী, ●6>মহাগৌরী, ●7>কাত্যায়নী, ●8>চন্দ্রঘন্টা এবং ●9>সিদ্ধিদাত্রী।

দুর্গার ১০৮টি নাম তাঁর জটিল প্রকৃতির প্রমাণ হিসেবে কাজ করে, যা তাঁর অসংখ্য গুণাবলী, রূপ ও ঐতিহ্যের বর্ননা করে এবং ১০৮ সংখ্যার আধ্যাত্মিক তাৎপর্য তুলে ধরে। দুর্গার প্রতিটি নাম তাঁর ঐশ্বরিক প্রকৃতি, গুণাবলী এবং কর্মের একটি ভিন্ন দিককে ধারণ করে।

দুর্গার ১০৮টি নামের ইতিহাস::---
ভগবান শিব দেবী দুর্গার প্রতি তাঁর ভক্তি প্রকাশের জন্য এবং তাঁকে খুশি করার জন্য তাঁর ১০৮টি নাম বলেছিলেন ।

এই নামগুলি পুরাণে পাওয়া যায়, যা পবিত্র হিন্দু সাহিত্যের একটি বিশাল সংগ্রহ, যাকে বলা হয় ​দেবী মাহাত্ম্যম বা দেবীমাহাত্ম্যম ( দেবীর মহিমা ), যা দেবী দুর্গার যুদ্ধ এবং রাক্ষস রাজা মহিষাসুরের উপর শেষ পর্যন্ত বিজয়ের গল্প বর্ণনা
করে।
প্রাচীন ভারতীয় ঋষি মার্কণ্ডেয় কর্তৃক সংস্কৃত ভাষায় প্রায় ৪০০-৫০০ খ্রিস্টাব্দে রচিত, এই হিন্দু ধর্মগ্রন্থটি দুর্গা সপ্তশত বা কেবল চণ্ডী নামেও পরিচিত ।

নবরাত্রী এবং দুর্গাপূজার উৎসবে , ভক্তরা দেবীর ১০৮টি নামে প্রার্থনা করেন।

দেবী দুর্গার ১০৮ টি নাম
( ১) সতী,=="সতী" দক্ষের কন্যা ও 
                  শিবপত্নী ,পতিব্রতা নারী।
( ২) সাধ্বী=তপস্বী,পবিত্র নারী।
( ৩) ভবপ্রীতা=অনুভূতির দীপ্তি
( ৪) ভবানী==জীবনদাতা', 'প্রকৃতির শক্তি'
                     বা সৃজনশীল শক্তির উৎস'

( ৫)ভবমোচনী,

( ৬) আর্য্যা,=দেবী
( ৭) দুর্গা,
( ৮) জয়া,

( ৯)আদ্যা =আদিম বাস্তবতা।

( ১০) ত্রিনেত্রা,
( ১১) শূলধারিণী,
( ১২)পিনাকধারিণী,
( ১৩ ) চিত্রা,
( ১৪) চন্দ্রঘণ্টা,
( ১৫)মহাতপা,
( ১৬ ) মনঃ,
( ১৭) বুদ্ধি,

( ১৮ ) অহঙ্কার==যিনি গর্বে পূর্ন।

( ১৯)চিত্তরূপা,
( ২০ ) চিতা,
( ২১ ) চিতি,
( ২২)সর্বমন্ত্রময়ী,
( ২৩ ) নিত্যা,
( ২৪) সত্যানন্দস্বরূপিণী,
( ২৫) অনন্তা==অসীম অপরিমেয়।
( ২৬) ভাবিনী==বিশ্বজগতের মাতা।

( ২৭) ভাব্যা=
( ২৮) ভব্যা

( ২৯) অভব্যা,=ভয়ঙ্করী।

( ৩০) সদাগতি,
( ৩১ ) শাম্ভবী,
( ৩২)দেবমাতা,
( ৩৩ ) চিন্তা,
( ৩৪ ) রত্নপ্রিয়া,
( ৩৫)সর্ববিদ্যা,
( ৩৬ ) দক্ষকন্যা,
( ৩৭)দক্ষযজ্ঞবিনাশিনী,

( ৩৮ ) অপর্ণা==জযিনি উপবাসের সময় পাতাও খাওয়া থেকে বিরত থাকেন।

( ৩৯)অনেকবর্ণা==যার একাধিক বর্ণ
                             আছে।
( ৪০) পাটলা,
( ৪১ ) পাটলাবতী,
( ৪২)পট্টাম্বরপরিধানা,
( ৪৩) কলমঞ্জীররঞ্জিনী,
( ৪৪)অমেয়বিক্রমা,
( ৪৫ ) ক্রূরা,
( ৪৬ ) সুন্দরী,
( ৪৭)সুরসুন্দরী,
( ৪৮ ) বনদুর্গা,
( ৪৯ ) মাতঙ্গী,
( ৫০)মতঙ্গমুনিপূজিতা,
( ৫১ ) ব্রাহ্মী,
( ৫২) মাহেশ্বরী,

( ৫৩) ঐন্দ্রী,=যিনি ইন্দ্রকে শক্তি দেন।

( ৫৪) কৌমারী,
( ৫৫) বৈষ্ণবী,
( ৫৬)চামুণ্ডা,
( ৫৭ ) বারাহী,
( ৫৮ ) লক্ষ্মী,
( ৫৯)পুরুষাকৃতি,
( ৬০ ) বিমলা,
( ৬১ ) উৎকর্ষিণী,
( ৬২)জ্ঞানা,
( ৬৩ ) ক্রিয়া,
( ৬৪ ) সত্যা,
( ৬৫ ) বুদ্ধিদা,

( ৬৬)বহুলা== যার বিভিন্ন রূপ ও প্রকাশ
                       রয়েছে।
( ৬৭ ) বহুলপ্রেমা==যিনি সকলের প্রিয়।

( ৬৮) সর্ববাহনবাহনা,
( ৬৯)নিশুম্ভনিশুম্ভহননী,
( ৭০ ) মহিষাসুরমর্দিনী,
( ৭১)মধুকৈটভহন্ত্রী,
( ৭২) চণ্ডমুণ্ডবিনাশিনী,
( ৭৩)সর্বাসুরবিনাশা,
( ৭৪ ) সর্বদানবঘাতিনী,
( ৭৫)সর্বশাস্ত্রময়ী,
( ৭৬) সত্যা,
( ৭৭ ) সর্বাস্ত্রধারিণী,

( ৭৮) অনেকশস্ত্রহস্তা==যিনি অনেক অস্ত্র
                                  ধারণ করেন।

( ৭৯) অনেকাস্ত্রধারিণী,
( ৮০) কুমারী,
( ৮১ ) কন্যা,
( ৮২) কৈশোরী,
( ৮৩) যুবতী
( ৮৪) যতি,

( ৮৫ ) অপ্রৌঢ়া==যিনি কখনও বৃদ্ধ
                            হয়না।

( ৮৬ ) প্রৌঢ়া,
( ৮৭)বৃদ্ধমাতা,
( ৮৮) বলপ্রদা,
( ৮৯ ) মহোদরী,
( ৯০)মুক্তকেশী,
( ৯১) ঘোররূপা,
( ৯২ ) মহাবলা,
( ৯৩)অগ্নিজ্বালা==যিনি আগুন ছড়াতে
                                সক্ষম
( ৯৪ ) রৌদ্রমুখী,
( ৯৫) কালরাত্রি,
( ৯৬) তপস্বিনী,
( ৯৭ ) নারায়ণী,
( ৯৮ ) ভদ্রকালী,
( ৯৯)বিষ্ণুমায়া,
( ১০০ ) জলোদরী,
( ১০১ ) শিবদূতী,
( ১০২ )করালী,
★( ১০৩ ) অনন্তা,
( ১০৪ ) পরমেশ্বরী,
( ১০৫ )কাত্যায়নী,
( ১০৬ ) সাবিত্রী,
( ১০৭ ) প্রত্যক্ষা এবং
( ১০৮ ) ব্রহ্মবাদিনী।
(জয় মা দূর্গা)
=========================

Tuesday, May 6, 2025

13>|| রটন্তী কালী পূজা ||

            13>|| রটন্তী কালী পূজা ||

                       <---আদ্যনাথ--->


ভক্ত বাঞ্ছা কল্পতরু, 

জয় শ্রী রাধা কৃষ্ণ নাম শরনম।

হরে মুরারে শ্রীকৃষ্ণ নাম শরনম কেবলম।


      শ্রী শ্রী রটন্তী কালী পূজা


সমস্ত কালীপুজো অমাবস্যা তিথিতে হলেও রটন্তী কালীপুজো চতুর্দশী তিথিতে হওয়ার পিছনে একটা পৌরাণিক গল্প রয়েছে। ‘রটন্তী’ শব্দের মধ্যে রয়েছে ‘রটে’ যাওয়া কথাটি। রটে যাওয়া অর্থাৎ মুখে মুখে প্রচারিত হওয়া। কিন্তু কি রটেছিল সেটা জানতে আমাদের ফিরে যেতে হবে রাধা কৃষ্ণের প্রেমের কাহিনীতে।


কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি যখন বেজে ওঠে শ্রীরাধা আর সংসারে মন দিতে পারেন না। সংসার-লোকলাজ সবকিছু ত্যাগ করে তিনি ছুটে যান শ্রীকৃষ্ণের কাছে। শ্রীরাধার শাশুড়ি এবং ননদ জটিলা এবং কুটিলা তাঁরা এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন বহুবার কিন্তু কখনই শ্রীরাধার স্বামী আয়ান ঘোষ কে তা বিশ্বাস করাতে পারেননি। মাঘ মাসের ঠান্ডা তার ওপর কৃষ্ণাচতুর্দশী হওয়ায় রাতটি ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার। এমন সময়ে কৃষ্ণের বাঁশি বেজে ওঠে আর সেই বাঁশির আওয়াজ শুনে শ্রীরাধিকা বাড়ি ছাড়েন। হাতেনাতে ধরার জন্য তাঁর পিছু নেন জটিলা-কুটিলা। তাঁরা কুঞ্জবনে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে শ্রীরাধার মিলিত হওয়ার দৃশ্য চাক্ষুষ করে দ্রুত বাড়ি ফিরে আয়ান ঘোষকে টানতে টানতে নিয়ে যান কুঞ্জবনে। উদ্দেশ্য আয়ানকে বিশ্বাস করাতেই হবে শ্রীরাধিকার এই গোপন প্রেমের কাহিনী। আয়ান ঘোষ ছিলেন শক্তির উপাসক, কালীর পূজারী। এদিকে শ্রীরাধিকা ভয় পেয়েছেন, কী করবেন তিনি? এবার শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে আশ্বস্ত করলেন। আয়ান ঘোষ কুঞ্জবনে পৌঁছে দেখলেন তাঁর আরাধ্যা মা কালী গাছের তলায় বসে রয়েছেন আর নিজের কোলে তাঁর পা টি রেখে সেবা করছেন শ্রীরাধিকা। দেখে আপ্লুত হলেন আয়ান। তাঁর সাক্ষাৎ কালী দর্শন হল।


তিনি স্বচক্ষে দেখলেন যে কালীর সাধনা তিনি এতদিন ধরে করে এসেছেন, কী অনায়াসে শ্রীরাধিকা তাঁর পদসেবা করছেন। আর এই বার্তায় আয়ান ঘোষ এবার ছড়িয়ে দিলেন দিকে দিকে। এই কথাটাই রটে গেল যে তিনি কালীর দর্শন পেয়েছেন। শ্রীকৃষ্ণও এর মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন কৃষ্ণ এবং কালী অভেদ। মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে কালীর দর্শন পাওয়ায় ওইদিন বিশেষভাবে কালীপুজোর প্রচলন হল। আর তার নাম হল রটন্তী কালীপুজো।


শাক্তদের এই বিশেষ দিন শ্রীকৃষ্ণের জীবনের সঙ্গে জুড়ে যাওয়ায় বৈষ্ণবদের কাছেও এটি একটি বিশেষ দিন। আবার এই চতুর্দশী তিথিটি জুড়ে রয়েছে মহাদেবের সঙ্গে। তাই শৈবদের কাছেও এটি একটি বিশেষ দিন। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরেও একইসঙ্গে পুজো হচ্ছে মা ভবতারিণী, রাধাকৃষ্ণ এবং মহাদেবের। 


       জয় মা জয় তারা

জয় মা ভবতারিণী। জয় মা, জয় মা।

   নমঃ শ্রী রামকৃষ্ণ দেবয়ঃ নমঃ

                  ( সংগ্রহীত)

      <--আদ্যনাথ রায় চৌধুরী-->

==========================


12>|| दंतेश्‍वरी मंदिर –

 12>|| दंतेश्‍वरी मंदिर –


दन्तेवाड़ा – एक शक्ति पीठ – यहाँ गिरा था सती का दांत - 

छत्तीसगढ़ के बस्तर क्षेत्र की हसीन वादियों में स्तिथ है, दन्तेवाड़ा का प्रसिद्ध दंतेश्‍वरी मंदिर। देवी पुराण में शक्ति पीठों की संख्या 51 बताई गई है जबकि तन्त्रचूडामणि में 52 शक्तिपीठ बताए गए हैं। जबकि कई अन्य ग्रंथों में यह संख्या 108 तक बताई गई है। दन्तेवाड़ा को हालांकि देवी पुराण के 51 शक्ति पीठों में शामिल नहीं किया गया है लेकिन इसे देवी का 52 वा शक्ति पीठ माना जाता है। मान्यता है की यहाँ पर सती का दांत गिरा था इसलिए इस जगह का नाम दंतेवाड़ा और माता क़ा नाम दंतेश्वरी देवी पड़ा। 51 शक्ति पीठों की जानकारी और शक्ति पीठों के निर्माण कि कहानी आप हमारे पिछले लेख 51 शक्ति पीठ में पढ़ सकते है। दंतेश्‍वरी मंदिर शंखिनी और डंकिनी नदीयों के संगम पर स्तिथ हैं। दंतेश्‍वरी देवी को बस्तर क्षेत्र की कुलदेवी का दर्ज़ा प्राप्त है। इस मंदिर की एक खासियत यह है की माता के दर्शन करने के लिए आपको लुंगी या धोति पहनकर ही मंदीर में जाना होगा। मंदिर में सिले हुए वस्त्र पहन कर जानें की मनाही है।

मंदिर के निर्माण की कथा :
दन्तेवाड़ा शक्ति पीठ में माँ दन्तेश्वरी के मंदीर का निर्माण कब व कैसे हूआ इसकि क़हानी कुछ इस तरह है। ऐसा माना जाता है कि बस्‍तर के पहले काकातिया राजा अन्‍नम देव वारंगल से यहां आए थे। उन्‍हें दंतेवश्‍वरी मैय्या का वरदान मिला था। कहा जाता है कि अन्‍नम देव को माता ने वर दिया था कि जहां तक वे जाएंगे, उनका राज वहां तक फैलेगा। शर्त ये थी कि राजा को पीछे मुड़कर नहीं देखना था और मैय्या उनके पीछे-पीछे जहां तक जाती, वहां तक की ज़मीन पर उनका राज हो जाता। अन्‍नम देव के रूकते ही मैय्या भी रूक जाने वाली थी।

अन्‍नम देव ने चलना शुरू किया और वे कई दिन और रात चलते रहे। वे चलते-चलते शंखिनी और डंकिनी नंदियों के संगम पर पहुंचे। यहां उन्‍होंने नदी पार करने के बाद माता के पीछे आते समय उनकी पायल की आवाज़ महसूस नहीं की। सो वे वहीं रूक गए और माता के रूक जाने की आशंका से उन्‍होंने पीछे पलटकर देखा। माता तब नदी पार कर रही थी। राजा के रूकते ही मैय्या भी रूक गई और उन्‍होंने आगे जाने से इनकार कर दिया। दरअसल नदी के जल में डूबे पैरों में बंधी पायल की आवाज़ पानी के कारण नहीं आ रही थी और राजा इस भ्रम में कि पायल की आवाज़ नहीं आ रही है, शायद मैय्या नहीं आ रही है सोचकर पीछे पलट गए।

वचन के अनुसार मैय्या के लिए राजा ने शंखिनी-डंकिनी नदी के संगम पर एक सुंदर घर यानि मंदिर बनवा दिया। तब से मैय्या वहीं स्‍थापित है। दंतेश्वरी मंदिर के पास ही शंखिनी और डंकिन नदी के संगम पर माँ दंतेश्वरी के चरणों के चिन्ह मौजूद है और यहां सच्चे मन से की गई मनोकामनाएं अवश्य पूर्ण होती है।

अदभुत है मंदिर :
दंतेवाड़ा में माँ दंतेश्वरी की षट्भुजी वाले काले ग्रेनाइट की मूर्ति अद्वितीय है। छह भुजाओं में दाएं हाथ में शंख, खड्ग, त्रिशुल और बाएं हाथ में घंटी, पद्य और राक्षस के बाल मांई धारण किए हुए है। यह मूर्ति नक्काशीयुक्त है और ऊपरी भाग में नरसिंह अवतार का स्वरुप है। माई के सिर के ऊपर छत्र है, जो चांदी से निर्मित है। वस्त्र आभूषण से अलंकृत है। द्वार पर दो द्वारपाल दाएं-बाएं खड़े हैं जो चार हाथ युक्त हैं। बाएं हाथ सर्प और दाएं हाथ गदा लिए द्वारपाल वरद मुद्रा में है। इक्कीस स्तम्भों से युक्त सिंह द्वार के पूर्व दिशा में दो सिंह विराजमान जो काले पत्थर के हैं। यहां भगवान गणेश, विष्णु, शिव आदि की प्रतिमाएं विभिन्न स्थानों में प्रस्थापित है। मंदिर के गर्भ गृह में सिले हुए वस्त्र पहनकर प्रवेश प्रतिबंधित है। मंदिर के मुख्य द्वार के सामने पर्वतीयकालीन गरुड़ स्तम्भ से अड्ढवस्थित है। बत्तीस काष्ठड्ढ स्तम्भों और खपरैल की छत वाले महामण्डप मंदिर के प्रवेश के सिंह द्वार का यह मंदिर वास्तुकला का अनुपम उदाहरण है। मांई जी का प्रतिदिन श्रृंगार के साथ ही मंगल आरती की जाती है।

माँ भुनेश्वरी देवी :
माँ दंतेश्वरी मंदिर के पास ही उनकी छोटी बहन माँ भुनेश्वरी का मंदिर है। माँ भुनेश्वरी को मावली माता, माणिकेश्वरी देवी के नाम से भी जाना जाता है। माँ भुनेश्वरी देवी आंध्रप्रदेश में माँ पेदाम्मा के नाम से विख्यात है और लाखो श्रद्धालु उनके भक्त हैं। छोटी माता भुवनेश्वरी देवी और मांई दंतेश्वरी की आरती एक साथ की जाती है और एक ही समय पर भोग लगाया जाता है। लगभग चार फीट ऊंची माँ भुवनेश्वरी की अष्टड्ढभुजी प्रतिमा अद्वितीय है। मंदिर के गर्भगृह में नौ ग्रहों की प्रतिमाएं है। वहीं भगवान विष्णु अवतार नरसिंह, माता लक्ष्मी और भगवान गणेश की प्रतिमाएं प्रस्थापित हैं। कहा जाता है कि माणिकेश्वरी मंदिर का निर्माण दसवीं शताब्दी में हुआ।

फाल्गुन में होता है मड़ई उत्सव क्या आयोज़न :
होली से दस दिन पूर्व यहां फाल्गुन मड़ई का आयोजन होता है, जिसमें आदिवासी संस्कृति की विश्वास और परंपरा की झलक दिखाई पड़ती है। नौ दिनों तक चलने वाले फाल्गुन मड़ई में आदिवासी संस्कृति की अलग-अलग रस्मों की अदायगी होती है। मड़ई में ग्राम देवी-देवताओं की ध्वजा, छत्तर और ध्वजा दण्ड पुजारियों के साथ शामिल होते हैं। करीब 250 से भी ज्यादा देवी-देवताओं के साथ मांई की डोली प्रतिदिन नगर भ्रमण कर नारायण मंदिर तक जाती है और लौटकर पुनरू मंदिर आती है। इस दौरान नाच मंडली की रस्म होती है, जिसमें बंजारा समुदाय द्वारा किए जाने वाला लमान नाचा के साथ ही भतरी नाच और फाग गीत गाया जाता है। मांई जी की डोली के साथ ही फाल्गुन नवमीं, दशमी, एकादशी और द्वादशी को लमहा मार, कोड़ही मार, चीतल मार और गौर मार की रस्म होती है। मड़ई के अंतिम दिन सामूहिक नृत्य में सैकड़ों युवक-युवती शामिल होते हैं और रात भर इसका आनंद लेते हैं। फाल्गुन मड़ई में दंतेश्वरी मंदिर में बस्तर अंचल के लाखों लोगों की भागीदारी होती है।

फाल्गुन मड़ई उत्सव 

==================================================

11>|| करणी माता मंदिर,

 11>|| करणी माता मंदिर,


  देशनोक (Karni Mata Temple , Deshnok) – इस मंदिर में रहते है 20,000 चूहे, चूहों का झूठा प्रसाद मिलता है भक्तों को

यदि आपके घर में आपको एक भी चूहा नज़र आ जाए तो आप बेचैन हो उठेंगे। आप उसको अपने घर से भगाने की तमाम तरकीबे लगाएंगे क्योकि चूहों को प्लेग जैसी कई भयानक बीमारियों का कारण माना जाता है। लेकिन क्या आपको पता है की हमारे देश भारत में माता का एक ऐसा मंदिर भी है जहाँ पर 20000 चूहे रहते है और मंदिर में आने वालो भक्तो को चूहों का झूठा किया हुआ प्रसाद ही मिलता है।

आश्चर्य की बात यह है की इतने चूहे होने के बाद भी मंदिर में बिल्कुल भी बदबू नहीं है, आज तक कोई भी बीमारी नहीं फैली है यहाँ तक की चूहों का झूठा प्रसाद खाने से कोई भी भक्त बीमार नहीं हुआ है। इतना ही नहीं जब आज से कुछ दशको पूर्व पुरे भारत में प्लेग फैला था तब भी इस मंदिर में भक्तो का मेला लगा रहता था और वो चूहों का झूठा किया हुआ प्रसाद ही खाते थे। यह है राजस्थान के ऐतिहासिक नगर बीकानेर से लगभग 30 किलो मीटर दूर देशनोक में स्तिथ करणी माता का मंदिर जिसे चूहों वाली माता, चूहों वाला मंदिर और मूषक मंदिर के नाम से भी जाना जाता है।
माना जाता है माँ जगदम्बा का साक्षात अवतार :
करणी माता, जिन्हे की भक्त माँ जगदम्बा का अवतार मानते है, का जन्म 1387 में एक चारण परिवार में हुआ था। उनका बचपन का नाम रिघुबाई था। रिघुबाई की शादी साठिका गाँव के किपोजी चारण से हुई थी लेकिन शादी के कुछ समय बाद ही उनका मन सांसारिक जीवन से ऊब गया इसलिए उन्होंने किपोजी चारण की शादी अपनी छोटी बहन गुलाब से करवाकर खुद को माता की भक्ति और लोगों की सेवा में लगा दिया। जनकल्याण, अलौकिक कार्य और चमत्कारिक शक्तियों के कारण रिघु बाई को करणी माता के नाम से स्थानीय लोग पूजने लगे। वर्तमान में जहाँ यह मंदिर स्तिथ है वहां पर एक गुफा में करणी माता अपनी इष्ट देवी की पूजा किया करती थी। यह गुफा आज भी मंदिर परिसर में स्तिथ है। कहते है करनी माता 151 वर्ष जिन्दा रहकर 23 मार्च 1538 को ज्योतिर्लिन हुई थी। उनके ज्योतिर्लिं होने के पश्चात भक्तों ने उनकी मूर्ति की स्थापना कर के उनकी पूजा शुरू कर दी जो की तब से अब तक निरंतर जारी है।

राजा गंगा सिंह ने करवाया था मंदिर का निर्माण :
करणी माता बीकानेर राजघराने की कुलदेवी है। कहते है की उनके ही आशीर्वाद से बीकानेर और जोधपुर रियासत की स्थापना हुई थी। करणी माता के वर्तमान मंदिर का निर्माण बीकानेर रियासत के महाराजा गंगा सिंह ने बीसवी शताब्दी के शुरुआत में करवाया था। इस मंदिर में चूहों के अलावा, संगमरमर के मुख्य द्वार पर की गई उत्कृष्ट कारीगरी, मुख्य द्वार पर लगे चांदी के बड़े बड़े किवाड़, माता के सोने के छत्र और चूहों के प्रसाद के लिए रखी चांदी की बहुत बड़ी परात भी मुख्य आकर्षण है।

यदि हम चूहों की बात करे तो मंदिर के अंदर चूहों का एक छत्र राज है। मदिर के अंदर प्रवेश करते ही हर जगह चूहे ही चूहे नज़र आते है। चूहों की अधिकता का अंदाजा इसी बात से लगाया जा सकता है की मंदिर के अंदर मुख्य प्रतिमा तक पहुंचने के लिए आपको अपने पैर घसीटते हुए जाना पड़ता है। क्योकि यदि आप पैर उठाकर रखते है तो उसके नीचे आकर चूहे घायल हो सकते है जो की अशुभ माना जाता है। इस मंदिर में करीब बीस हज़ार काले चूहों के साथ कुछ सफ़ेद चूहे भी रहते है। इस चूहों को ज्यादा पवित्र माना जाता है। मान्यता है की यदि आपको सफ़ेद चूहा दिखाई दे गया तो आपकी मनोकामना अवश्य पूर्ण होगी।

इस मंदिरो के चूहों की एक विशेषता और है की मंदिर में सुबह 5 बजे होने वाली मंगला आरती और शाम को 7 बजे होने वाली संध्या आरती के वक़्त अधिकांश चूहे अपने बिलो से बाहर आ जाते है। इन दो वक़्त चूहों की सबसे ज्यादा धामा चौकड़ी होती है। यहां पर रहने वाले चूहों को काबा कहा जाता कहां जाता है। माँ को चढ़ाये जाने वाले प्रसाद को पहले चूहे खाते है फिर उसे बाटा जाता है। चील, गिद्ध और दूसरे जानवरो से इन चूहों की रक्षा के लिए मंदिर में खुले स्थानो पर बारीक जाली लगी हुई है।

करणी माता के बेटे माने जाते है चूहे :
करणी माता मंदिर में रहने वाले चूहे माँ की संतान माने जाते है करनी माता की कथा के अनुसार एक बार करणी माता का सौतेला पुत्र ( उसकी बहन गुलाब और उसके पति का पुत्र ) लक्ष्मण, कोलायत में स्तिथ कपिल सरोवर में पानी पीने की कोशिश में डूब कर मर गया। जब करणी माता को यह पता चला तो उन्होंने, मृत्यु के देवता याम को उसे पुनः जीवित करने की प्राथना की। पहले तो यम राज़ ने मन किया पर बाद में उन्होंने विवश होकर उसे चूहे के रूप में पुनर्जीवित कर दिया।

हालॉकि बीकानेर के लोक गीतों में इन चूहों की एक अलग कहानी भी बताई जाती है जिसके अनुसार एक बार 20000 सैनिकों की एक सेना देशनोक पर आकर्मण करने आई जिन्हे माता ने अपने प्रताप से चूहे बना दिया और अपनी सेवा में रख लिया।

================================================================

Monday, May 22, 2023

10>|| ফলহারিণী কালী পূজা ||

10>।। গৃহস্থ বাড়িতে ফলহরিণী কালীপুজো করার - সহজ পদ্ধতি ।।

             ( সংগ্রহীত)

   


     ফলহারিণী কালীপুজো সকল গৃহস্থ বাড়িতেই করা যায়। এই পূজা বড় আকারে যেমন করা যায়, আবার সংক্ষিপ্তভাবে অর্থাৎ ছোট আকারেও করা যায়।

       সংক্ষিপ্তভাবে পঞ্চোপচারে - ফলহারিণী কালীপুজো করার পদ্ধতি::---

 

★★(১) ভগবান শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণপরমহংস দেব তাঁর পত্নী শ্রীশ্রী"মা সারদা দেবী"কে এই ফলোহারিনী কালীপুজোর দিন রাতে - ষোড়শী রূপে পূজা করেছিলেন।

     তাই *সারদামায়ের ছবিতে  অথবা দক্ষিণা কালীমায়ের ছবিতে* - আপনারা এই ফলোহারিণী কালীপুজো করতে পারবেন।

★★(২)* অমাবস্যা তিথি শুরু হওয়ার পর ফলহারিণী কালী পূজা শুরু করতে হয়। তাই অমাবস্যা তিথি শুরু হওয়ার ঘন্টাখানেক আগে - স্নান করে, শুদ্ধ পরিষ্কার বস্ত্র পরে, ঠাকুর ঘরে গিয়ে - পূজা শুরু করার আগে পূজার সব উপকরণ সাজিয়ে নিতে হবে।

★★(৩)* পূজা শুরু করার আগে - সারদা মায়ের ফটো অথবা কালীমায়ের ফটো - পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে, একটি মালা পরিয়ে, ফুল দিয়ে ভালো করে সাজিয়ে দিতে হবে।


★★(৪) পূজার উপকরণ* -> 

     তিন রকম বা পাঁচ রকমের গোটা ফল, মিষ্টি, লাল সাদা বিভিন্ন রকের ফুল, ৫ টা বেলপাতা, ৩ টা তুলসী পাতা, ৫ টা দূর্বা, অল্প আতপ চাল, সাদা চন্দন, লাল চন্দন, দূর্বা, অল্প গঙ্গাজল, ধূপকাঠি, ধূপদানি ১টা, একটা প্রদীপ, একটা আসন, একটা ঘন্টা, একটা পুষ্পপত্র, তিনটি থালা, ৪টা ছোট বাটি, একটি গ্লাস, অল্প ঘী ও একটি দেশলাই।

★★(৫)* একটি পুষ্পপত্রের মধ্যে ছোট-বড় বিভিন্ন রকমের ফুল, বেলপাতা, দূর্বা, আর চারটি ছোট  বাটির মধ্যে - সাদা চন্দন, লাল চন্দন, আতপ চাল, গঙ্গাজল সাজিয়ে নেবেন। আর আরেকটি থালার মধ্যে ধুপকাঠি ও ধূপদানি রেখে দেবেন এবং ঘি দিয়ে প্রদীপটা জ্বালিয়ে দেবেন।

 

★★পূজা পদ্ধতি* :::--

●(১)  উপরেউক্ত দ্রব‍্যগুলো সব ভালোভাবে গুছিয়ে নেওয়ার পর - মালা ও ফুল দিয়ে সাজানো শ্রীমাসারদা দেবী বা কালী মায়ের ছবির নিচে অর্থাৎ পায়ে একটি অর্ঘ্য দিয়ে - ছবির সামনে অর্থাৎ ছবির থেকে  দু-হাত দূরে আসন পেতে বসতে হবে। পূজা শুরু করার আগে তিনবার শঙ্খ  বাজিয়ে নিতে হবে।

●(২)  আসনে বসে গঙ্গা জলে হাত ধুয়ে - দুটি ধুপকাঠি ধরিয়ে দিতে হবে এবং মাকে প্রণাম করে - গুরুদেওয়া মন্ত্র ১০৮ বার জপ করতে হবে। জপের পর পূজা শুরু করতে হবে।


★★★পঞ্চোপচারে পূজা:::---

●(১) গন্ধ::- পুষ্পপত্রে রাখা ফুল গুলোর মধ্যে থেকে একটি ছোট সাদা ফুল নিয়ে তার মধ্যে সাদা চন্দন মাখিয়ে - 

★"ওঁ ঐঁ হ্রীং এস গন্ধ ফলহারিণী কালীকা দেবৈ নমঃ"- 

এই মন্ত্র বলে সামনে রাখা মায়ের ছবিতে অর্থাৎ মায়ের চরণে দিতে হবে।


●(২) পুষ্প::--  পুষ্পপত্র থেকে পুষ্প অর্থাৎ বিভিন্ন রকম ফুল নিয়ে - লাল ও সাদা চন্দন মাখিয়ে -> 

★"ওঁ ঐঁ হ্রীং এষ সচন্দন পুস্প ফলোহারিনী কালীকা দেবৈ নমঃ"

- এই মন্ত্র বলে মায়ের চরণে দিতে হবে।


●(৩) বিল্বপত্র::--- পুষ্পপত্র থেকে বেল পাতা নিয়ে সেই বেলপাতাতে - সাদা ও লাল চন্দন মাখিয়ে ->  

★"ওঁ ঐঁ হ্রীং এষ সচন্দন বিল্বপত্র ফলহারিনী কালীকা দেবৈ নমঃ"- 

এই মন্ত্র বলে মায়ের চরণে দিতে হবে।


●(৪) ধুপ::---  তিনটি ধূপকাঠি একসাথে  জ্বালিয়ে - ডান হাতে ধূপকাঠি নিয়ে এবং বাম হাতে ঘণ্টা বাজাতে বাজাতে -> 

★"ওঁ ঐঁ হ্রীং এষ ধুপ ফলাহারিণী কালীকা দেবৈ নমঃ"- 

এই মন্ত্র বলতে বলতে তারপর  ধূপদানিতে রেখে দিতে হবে।


 ●(৫) দীপ::-- দীপ অর্থাৎ জ্বলন্ত প্রদীপ ডান হাতে নিয়ে, বাম হাতে ঘন্টা বাজাতে বাজাতে -> 

★"ওঁ ঐঁ হ্রীং এষ দীপ ফলোহারিনী কালীকা দেবৈ নমঃ"- 

এই মন্ত্র বলে মায়ের সামনে ঘুরিয়ে  রেখে দিতে হবে।


●(৬) নৈবেদ্য:::--- একটি থালাতে তিন রকম বা পাঁচ রকম ★গোটা ফল★( এই পুজোতে গোটা ফল অবশ্যই দিতে হয়), আরেকটি থালাতে বিভিন্ন রকম মিষ্টি ও এক গ্লাস জল মায়ের ছবির সামনে সাজিয়ে দিতে হবে। তারপর সেই নৈবেদ্যের উপর অর্থাৎ ফল, মিষ্টি ও জলের গ্লাসের মধ্যে তুলসী পাতা দিতে হবে। এরপর পুষ্পপত্র থেকে হাতে ছোট সাদা ফুল নিয়ে -

 ★"ওঁ ঐঁ হ্রীং এষ সোপকরণ ফলম্ মিষ্টাদি নৈবেদম্ ফলহারিনী কালিকা দেবৈ নিবেদয়ামি"- 

এই মন্ত্র বলে ছোট সাদা ফুল নিয়ে গঙ্গা জলে স্পর্শ করে - ফল ও মিষ্টির উপর দিতে হবে।


     তারপর হাতজোড় করে সেই - ফল, মিষ্টি - নৈবেদ্য মাকে গ্রহণ করার জন্য প্রার্থনা করতে হবে এবং যথাসম্ভব জপ করতে হবে।

●(৭) পুষ্পাঞ্জলি:::--  পুষ্পপত্র থেকে বেলপাতা, দূর্বা, বিভিন্ন রকম ফুল হাতে নিয়ে - তার মধ্যে চন্দন মাখিয়ে - মায়ের দিকে তাকিয়ে হাতজোড় করে -> 

★"ওঁ ঐঁ হ্রীং এষ সচন্দন পুষ্প বিল্ব পত্রাঞ্জলি ফলহারিণী কালিকা দেবৈ বৌষট" - 

এই মন্ত্র বলে মায়ের চরণে দিতে হবে। এইভাবে মন্ত্র বলে - একবার অথবা তিনবার পুষ্পাঞ্জলি দিতে হবে।


●(৮) ক্ষমা প্রার্থনা:::-- জেনে বা অজান্তে এই পূজার মধ্যে বা পূজা করতে গিয়ে - যদি কোনরকম ভুলত্রুটি হয়ে থাকে - সেই কারণে হাতজোড় করে - 

★"শরণাগত দিনার্ত, পরিত্রাণ পরায়ণে।

সর্বসার্তি হরে দেবী, নারায়ণি নমস্তুতে।।"

 

  - এই মন্ত্র বলে মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়।


●(৯) কর্মফল সমর্পণ:::-- ডান হাতে একটু গঙ্গা জল নিয়ে - মায়ের দিকে তাকিয়ে বলতে হবে -> 

★"ওঁ ঐঁ হ্রীং ফলহারিণী কালিকা দেবৈ স্বাহা - এতৎ সর্বম কর্মফলং ফলহারিনী কালীকা দেবৈ অর্প নমস্তু"- 

এই মন্ত্র বলে মায়ের ছবির সামনে মেঝেতে ডান হাত থেকে  গঙ্গা জল ফেলতে হবে।


●(১০) প্রণাম মন্ত্র::--- সবশেষে হাতজোড় করে - 

★"ওম্ সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যে, শিবে সর্বার্থসাধিকে।

শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী, নারায়নী নমস্তুতে।।"

   - এই মন্ত্র বলার পর আসন থেকে উঠে মাকে প্রণাম করতে হবে।।   (সমাপ্ত)

       ============-


ফলহারিণী কালী পুজোর দিনক্ষণ::--


দেবী মা কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো আরাধনা সর্বজনবিদিত। 

জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে ফলহারিণী কালী পুজো হয়। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক পৌরাণিক গল্প। 


(ফলহারিণী কালী পুজো ২০২৩-র নির্ঘণ্ট 

 ১৮ মে (বাংলায় ৩ জ্যৈষ্ঠ), বৃহস্পতিবার, এবারের ফলহারিণী কালী পুজোর দিন পড়েছিল। ১৮ মে, রা ৯/১৩/৩৬ মিনিট থেকে ১৯ মে, রা ৮/৪৩/২৩ মিনিট পর্যন্ত থাকবে অমাবস্যা তিথি।


কেন পালন হয় ফলহারিণী কালীপুজো?


মা কালী জীবের কর্মফল অনুসারে ফল প্রদান করছেন। তিনিই নিজের মধ্যে সমস্ত কর্মফলকে ধারণ করেন। এই মাতৃরূপা মহাশক্তি প্রসন্না হলে জীবের দুঃখ ও দুর্দশা থেকে মুক্তি মেলে। সেই সঙ্গে শারীরিক, মানসিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ হয়।


শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণপরমহংস দেব ফলহারিণী কালী পুজোর দিনই স্ত্রী সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন জগৎ কল্যাণের জন্য। এদিন শ্রীমা সারদাকে ষোড়শীরূপে পুজো করেছিলেন বলে আজও রামকৃষ্ণমঠ ও আশ্রমে এই পুজো 'ষোড়শী' পুজো নামে পরিচিত। 

                "" সংকলিত""

     <----আদ্যনাথ রায় চৌধুরী----->

===========================



Friday, February 15, 2019

9>--- " আদ্যামা "------

  9>------ " আদ্যামা "------ 
প্রতিমা দর্শন ----------
তিন সোপানের  শিক্ষা

---------প্রেম ------------
----জ্ঞান ও কর্ম -------
-----------গুরু-----------

মন্দিরের ভিতরে তিনটি বিভাগ,
সোপান শ্রেণীর আকারে সজ্জিত ।

প্রথম বিভাগে বেদির ওপর বসে আছেন
স্বয়ং পরমহংসদেব।
নিচে বেদির গায়ে লেখা রয়েছে ----গুরু ।

মধ্যম বিভাগে বেদির ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন
আদ্যামা ।
তলায় লেখা রয়েছে --- জ্ঞান ও কর্ম ।

সর্বোচ্চ বেদিতে প্রণবের মধ্যে রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি। পদমুলে বেদি গাত্রে উজ্জ্বল অক্ষরে উৎকীর্ণ ---- প্রেম।
_____________________________

" শ্রী রামকৃষ্ণের স্বপ্নাদেশে  শ্রী মদ অন্নদা
আদ্যা মুক্তি লাভ করেছিলেন।"


 চট্টগ্রামের  অন্নদা চরন ভট্টাচার্য ।
কলকাতার ঠিকানা আমহার্স্ট স্ট্রিটের বলাই সিংহ লেন, সিদ্ধেশ্বর বসুর বাড়ি।

অন্নদা র সঙ্গে যাঁরা এসেছেন তাঁরাও ত এই
ইতিহাসের স্মরনীয় কুশীলব।
তাঁরা ছিলেন শচীন্দ্র নাথ মজুমদার, সত্যকিঙ্কর রায়,আর শচীন বাবু।
---------------------
কালীঘাটের নকুলেশ্বর শিবের মন্দির থেকে
আড়িয়াদহের দক্ষিণেশ্বর শিবের মধ্যবর্তী
স্থানটি কালীস্থান বা কালীক্ষেত্র।

মন্দিরের দিনে ভোগের ব্যবস্থা
তিন দেবতার সাড়ে বারো সের, সাড়ে বাইশ সের, আর সাড়ে বত্রিশ সের চালের ভোগ হয়।
পঞ্চব্যঞ্জনে সেই ভোগ উৎসর্গ করে আশ্রমের লোকজন ও দীন দুঃখীকে প্রসাদ দেওয়া হয়।

এবং সাথে নিত্য পরমান্ন ভোগ হয়,
পাঁচ পো,আড়াই সের, আর সাড়ে তিন সেরদুধের পরমান্ন ভোগ নিত্য হয়।

শয়ন আরতির আগে একটি
আমৃতভোগ দিতে হয়।
পাঁচ পো ঘি, আড়াই পো কিসমিস, পাঁচ ছটাক বাদাম, পেস্তা, দারুচিনি,তেজপাতা, লবঙ্গ,আর সত পো চিনি দিয়ে আড়াই সের
উৎ কৃষ্ট সুগন্ধি চালের ভোগ প্রস্তুত করে জাফরান দিয়ে রং করে নিতে হয়।
----------------------------
বৎসরের 52দিন সাধারণের মন্দির দর্শনের
জন্য===সারা দিন খোলা থাকে।

শুক্ল পক্ষের নবমী ---------12 দিন
কৃষ্ণপক্ষের একাদশী;----12 দিন
ঝুলন পূর্ণমা -------------------1 দিন
রাস‌ পূর্ণিমা ---------------------1 দিন
দোলপূর্ণিমা-----------------1 দিন
লক্ষ্মীপূর্ণিমা,----------------1 দিন
মহালয়া অমাবস্যা----------1 দিন
দীপাবলী অমাবস্যা---------1দিন
জন্মাষ্টমী -------------------------1 দিন
রধাষ্টমি - -------------------------1 দিন
শ্রী পঞ্চমী--------------------1 দিন
নগ পঞ্চমী-------------------1 দিন
সংক্রান্তির ---------------------12 দিন
শারদীয়া দুর্গাপূজা-র
     সপ্তমী অষ্টমী, ও দশমী --3 দিন
বাসন্তী পূজার --
      সপ্তমী অষ্টমী, ও দশমী --3 দিন
                     ------------------------------------
                        মোট -----------52 দিন ।
==========================
রামকৃষ্ণ -- বীজ।
মহীরুহ --- স্বামী বিবেকানন্দ।




Thursday, March 24, 2016

8> माँ दुर्गा जी के 108 नाम + माँ शाकम्भरी देवी के तीन शक्तिपीठ

8>||*माँ दुर्गा जी के 108 नाम***( 1 to 4 )

1>----------ईश्वर के अस्तित्व को नकारा नही जा सकता है।
                 माँ दुर्गा जी के 108 नाम 
2>----------माँ शाकम्भरी देवी (देश भर में मां शाकंभरी देवी के 
                  तीन शक्तिपीठ)
3>----------दूसरा स्थान राजस्थान में ही सांभर जिले के समीप 
                  शाकंभर के नाम से स्थित है-
4>-----------तीसरा मां शाकंभरी का मंदिर स्थान बेहट, सहारनपुर, 
                   उत्तरप्रदेश शिवालिक पर्वतमाला के घने जंगल में –
========================================================================


1>ईश्वर के अस्तित्व को नकारा नही जा सकता है।

भारतीय संस्कृति में मानव जीवन के लक्ष्य भौतिक सुख तथा आध्यात्मिक आनंद की प्राप्ति के लिए अनेक देवी देवताओं की पूजा का विधान है जिनमें माँ दुर्गाशक्तिकी उपासना प्रमुख हैं। माँ दुर्गा शक्ति की उपासना को उतना ही प्राचीन माना जाता है , जितना शिववांङ्मय में सर्वप्राचीन साहित्य अपौरुषेय वेद को। यही कारण है कि देवी कहती हैं- 'मैं रुद्रों एवं वसुओं के रूप में विचरण करती हूं।

माँ दुर्गा शक्ति की उपासना से जीव का कल्याण होता है। माँ दुर्गा शक्ति सभी जीवों की रक्षा करने वाली है। सृष्‍टि का संहार और पालन करने की अपार शक्ति उनके पास है। माँ अपने भक्तों के लिए सदैव भक्तों ने हर प्रकार की पूजा और विधान से मां दुर्गा को प्रसन्न करने के जतन किए। लेकिन अगर

आप व्यस्तताओं के चलते ‍विधिवत आराधना ना कर सकें तो मात्र 108 नाम के जाप करें

दुर्गा जी के 108 नाम

महारानी जग कल्याणी तेरी वाहन कमाल है शेर की सवारी माँ तुम्हारी बे मिसाल है

ॐ अस्य श्रीदुर्गासप्तश्लोकीस्तोत्रमन्त्रस्य नारायण ॠषिः, अनुष्टुप

छन्दः, श्रीमहाकाली-महालक्ष्मी-महासरस्वत्यो देवताः,

सप्तश्लोकी दुर्गापाठे विनियोगः ।

1-ॐज्ञानिनामपि चेतांसि देवी भगवती हि सा। बलादाकृष्य मोहाय महामाया प्रयच्छति ॥ १ ॥

2 - दुर्गे स्मृता हरसि भीतिमशेषजन्तोः स्वस्थैः स्मृता मतिमतीव शुभां ददासि ।

दारिद्र्यदुःखभयहारिणि का त्वदन्या सर्वोपकारकरणाय सदार्द्रचित्ता ॥ २ ॥

3 - सर्वमङ्गलमाङ्गल्ये शिवे सर्वार्थसाधिके।शरण्ये त्र्यंम्बके गौरि नारायणि नमोस्तु ते ॥ ३ ॥ 4 - शरणागतदीनार्तपरित्राणे । सर्वस्यार्तिहरे देवि नारायणि नमोस्तु ते ॥ ४ ॥

5 - सर्वस्वरुपे सर्वेशे सर्वशक्तिसमन्विते ।भयेभ्यस्त्राहि नो देवि दुर्गे देवि नमोस्तु ते ॥ ५ ॥

6 - रोगानशेषानपहंसि तुष्टा रुष्टा तु कामान् सकलानभीष्टान् । त्वामाश्रितानां न विपन्नराणां

7 - त्वामाश्रिता ह्याश्रयतां प्र्यन्ति ॥ ६ ॥सर्वबाधाप्रश्मनं त्रैलोक्यस्याखिलेश्र्वरि ।एवमेव त्वया कार्यमस्मद्वैरिविनाशनम् ॥ ७ ॥

देहि सौभाग्यं आरोग्यं देहि में परमं सुखम्‌।

रूपं देहि जयं देहि यशो देहि द्विषो जहि॥

1-सती-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 2-वैष्णवी-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -   3-चामुंडा
4-साध्वी-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  5-वाराही-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - - 6-भवानी
7-भवप्रीता-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  8-लक्ष्मी-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  9-भवमोचनी
10-पुरूषाकृति-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  11-आर्या-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 12-विमला
13-दुर्गा-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  14-उत्कर्षिणी-  -  -  -  -  -  -  -  -  - 15-जया
16-ज्ञाना-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 17-आद्या-  -  --  -  -  -  -  -  -  -  -   18-शूलधारिणी
19-बुद्धिदा-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 20-पिनाकधारिणी-  -  -  -  -  -  -  -  21-क्रिया
22-त्रिनेत्रा-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  23-नित्या-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  24-चंद्रघंटा
25-सर्ववाहनवाहना-  -  -  -  -  -  -  -  26-बहुला -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -27-चित्रा
28-निशुम्भशुम्भहननी-  -  -  -  -  -  -  29-मन:-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -   30-महिषासुरमर्दिनि
31-शक्ति-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -   32-बहुलप्रेमा-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  33-महातपा
34-मधुर्कटभहंत्री -  -  -  -  -  -  -  -  - 35-अहंकारा-  -  -  -  -  -  -  -  -  -   36-चण्डमुण्डविनाशिनि
37-चित्तरूपा-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 38-सर्वअसुरविनाशिनि-  -  -  -  -  -  39-चिता
40-सर्वदानघातिनी-  -  -  -  -  -  -  -   41-चिति-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - - 42-सर्वशास्त्रमयी
43-सर्वमंत्रमयी-  -  -  -  -  -  -  -  -  - 44-सत्ता -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -45-सर्वअस्त्रधारिणी
46-सत्यानंदस्वरुपिणी-  -  -  -  -  -  - 47-अनेकशस्त्रहस्ता-  -  -  -  -  -  -  -48-अनन्ता
49-अनेकास्त्रधारिणी-  -  -  -  -  -  -  -50-भाविनि-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -51-कुमारी
52-भाव्या -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  53-एककन्या -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  54-भव्या
55-कैशोरी -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -56-अभव्या -  -  -  -  -  -  -  -  -  -   - 57-युवति
58-सदागति -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 59-यति:-  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 60-शाँभवि
 61-अप्रौढ़ा -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -62-देव माता -  -  -  -  -  -  -  -  -  -   63-प्रौढा़
64-चिंता -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 65-वृद्धमाता -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -66-रत्नप्रिया
67-बलप्रदा -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -68-सर्वविद्या -  -  -  -  -  -  -  -    -  -  69-महोदरी
70-दक्षकन्या--  --  --  --  --  --  --  -- 71-मुक्तकेशी--  --  --  --  --  --  --  -72-दक्षयज्ञविनाशिनी
73-घोररूपा -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 74-अपर्णा -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 75-महाबला
76-अनेकवर्णा -  -  -  -  -  -  -  -  -  - -77-अग्निज्वाला -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 78-पाटला
79-रुद्रमुखी -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -80-पाटलावती -  -  -  -  -  -  -  -  - -  81-कालरात्रि
82-पट्टाम्बरपरिधाना--  --  --  --  --  -- 83-तपस्विनी--  --  --  --  --  --  --  -- 84-कलमंजिररंजिनी
 85-नारायणी--  --  --  --  --  --  --  --  86-अमेय विक्रमा--  --  --  --  --  --  -87-भद्रकाली
88-क्रूरा --  --  --  --  --  --  --  --  --   89-विष्णुमाया--  --  --  --  --  --  --  --90-सुंदरी
91-जलोदरी----  --  --  --  --  --  --  --92-सुरासुंदरी--  --  --  --  --  --  --  --93-शिवदूती
94-वनदुर्गा -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 95-कराली -  -  -  -  -  -  -  -  - -  -  - 96-मांतंगी
97-अनंता -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -98-मतंगमुनिपूजिता -  -  -  -  -  -  -  -99-परमेश्वरी
100-ब्राह्मी -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  101-कात्यायनी -  -  -  -  -  -  -  -  -  - 102-माहेश्वरी
103-सावित्री -  -  -  -  -  -    -  -  -  -  -104-ऎंद्री -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -  -105-प्रत्यक्षा
106-कौमारी -  -  -  -  -  -  -  -   -  -  - 107-ब्रह्मवादिनी -  -  -  -  -  -  -  -  -  -108-बुद्धिबुद्ध

इससे भी माता प्रसन्न होकर आशीर्वाद देती है। भक्तों के रोगों और शोकों का नाश होता है तथा उसे आयु, यश, बल और आरोग्य प्राप्त होता है। माँ जगत् की प्राणाधार हैं और अपने भक्तों की रक्षा के लिए आश्चर्यजनक प्रमाण प्रकट किया करती हैं।

भक्त इसलिए करते हैं ताकि उनका जीवन सफल हो सके माँ दुर्गा शक्ति अपने भक्तों की सभी प्रकार की बाधाओं एवं संकटों से उबारने वाली हैं और इनकी कृपा से समस्त पाप और इनकी मुद्रा सदैव युद्ध के लिए अभिमुख रहने की होती हैं, अत:भक्तों के कष्ट का निवारण ये शीघ्र कर देती हैं । माँ दुर्गा शक्ति के अवतार पराक्रम की असंख्य गाथाएं प्रचलित हैं। देश के प्रत्येक क्षेत्र में माँ दुर्गा शक्ति की पूजा की अलग परम्परा है। सभी भक्त अपनी-अपनी श्रद्धा के अनुसार अलग-अलग देवी-देवताओं की पूजा और उपासना करते है। परंतु इस युग में भगवान शिव और माँ दुर्गा शक्ति के अवतार को सबसे ज़्यादा पूजा जाता है।
================================================

2>माँ शाकम्भरी देवी (देश भर में मां शाकंभरी देवी के तीन शक्तिपीठ)

माँ शाकम्भरी देवी

पहला प्रमुख राजस्थान से सीकर जिले में उदयपुर वाटी के पास सकराय मां के नाम से प्रसिद्ध है

“देवी भागवतम” हिंदू धर्म का एक पवित्र धार्मिक ग्रन्थ है। जो शाकम्बरी देवी की कथा का वर्णन करता है ।


देश भर में मां शाकंभरी के तीन शक्तिपीठ हैं-
1>पहला प्रमुख राजस्थान से सीकर जिले में उदयपुर वाटी के पास सकराय मां के नाम से प्रसिद्ध है।
2>दूसरा स्थान राजस्थान में ही सांभर जिले के समीप शाकंभर के नाम से स्थित है और
3>तीसरा उत्तरप्रदेश में सहारनपुर से 42 किलोमीटर दूर कस्बा बेहट से शाकंभरी देवी का मंदिर 15 किलोमीटर की दूरी पर स्थित है।

राजा रूरू के पुत्र दैत्य दुर्गम द्वारा हिमालय पर्वत पर ब्रह्मा जी तपस्या-
दुर्गम नाम का एक महान्‌ दैत्य था।
उस दुष्टात्मा दानव के पिता राजा रूरू थे। 'देवताओं का बल “वेद” है। वेदों के लुप्त हो जाने पर देवता भी नहीं रहेंगे,इसमें कोई संशय नहीं है। अतः पहले वेदों को ही नष्ट कर देना चाहिये'। यह सोचकर वह दैत्य तपस्या करने के विचार से हिमालय पर्वत पर गया। मन में ब्रह्मा जी का ध्यान करके उसने आसन जमा लिया। वह केवल वायु पीकर रहता था। उसने एक हजार वर्षों तक बड़ी कठिन तपस्या की।

चारों वेदों के परम अधिष्ठाता ब्रह्माजी द्वारा दैत्य दुर्गम को वर दान –
उसके तेज से देवताओं और दानवों सहित सम्पूर्ण प्राणी सन्तप्त हो उठे। तब विकसित कमल के सामन सुन्दर मुख की शोभा वाले चतुर्मुख भगवान ब्रह्मा प्रसन्नतापूर्वक हंस पर बेडकर वर देने के लिये दुर्गम के सम्मुख प्रकट हो गये और बोले - 'तुम्हारा कल्याण हो ! तुम्हारे मन में जो वर पाने की इच्छा हो, मांग लो। आज तुम्हारी तपस्या से सन्तुष्ट होकर मैं यहाँ आया हूँ।' ब्रह्माजी के मुख से यह वाणी सुनकर दुर्गम ने कहा - सुरे,र ! मुझे सम्पूर्ण वेद प्रदान करने की कृपा कीजिये। साथ ही मुझे वह बल दीजिये, जिससे मैं देवताओं को परास्त कर सकूँ।
दुर्गम की यह बात सुनकर चारों वेदों के परम अधिष्ठाता ब्रह्माजी 'ऐसा ही हो' कहते हुए सत्यलोक की ओर चले गये। ब्रह्माजी को समस्त वेद विस्मृत हो गये।

दुर्गम के अत्याचार से धर्म के क्षय ने गंभीर सूखे को जन्म दिया –
दुर्गम नामक एक दानव ने प्रचण्ड तपस्या की और चारों वेदों को प्राप्त कर लिया, ऋषियों की सभी शक्तियां दुर्गम द्वारा शोषित कर ली गई तथा यह आशीर्वाद भी प्राप्त कर लिया कि देवताओं को समर्पित समस्त पूजा उसे प्राप्त होनी चाहिये । जिससे कि वह अविनाशी हो जाये । शक्तिशाली दुर्गम ने लोगों पर अत्याचार करना आरम्भ कर दिया और धर्म के क्षय ने गंभीर सूखे को जन्म दिया और सौ वर्षों तक कोई वर्षा नहीं हुई ।

ऋषि, मुनि और ब्राह्मण लोग भीषण अनिष्टप्रद समय उपस्थित होने पर जगदम्बा की उपासना करने के हिमालय पर्वत पर गये-
इस प्रकार सारे संसार में घोर अनर्थ उत्पन्न करने वाली अत्यन्त भयंकर स्थिति हो गयी। ऋषि, मुनि और ब्राह्मण लोग भीषण अनिष्टप्रद समय उपस्थित होने पर जगदम्बा की उपासना करने के हिमालय पर्वत पर गये, और अपने को सुरक्षित एवं बचाने के लिए हिमालय की कन्दराओं में छिप गए तथा माता देवी को प्रकट करने के लिए कठोर तपस्या की । समाधि, ध्यान और पूजा के द्वारा उन्होंने देवी की स्तुति की। वे निराहार रहते थे। उनका मन एकमात्र भगवती में लगा था। वे बोले - 'सबके भीतर निवास करने वाली देवेश्वरी ! तुम्हारी प्रेरणा के अनुसार ही यह दुष्ट दैत्यसब कुछ करता है। तुम बारम्बार क्या देख रही हो ? तुम जैसा चाहो वैसा ही करने में पूर्ण समर्थ हो। कल्याणी! जगदम्बिके प्रसन्न हो हम तुम्हें प्रणाम करते हैं।''इस प्रकार ब्राह्मणों के प्रार्थना करने पर भगवती पार्वती, जो 'भुवनेश्वरी' एवं महेश्वरी' के नाम से विखयात हैं।,

दूसरा स्थान राजस्थान में ही सांभर जिले के समीप शाकंभर के नाम से स्थित है

माता देवी शाकम्बरी के नाम से जानी गयीं –
ब्रह्मा, विष्णु आदि आदरणीय देवताओं के इस प्रकार स्तवन एवं विविध द्रव्यों के पूजन करने पर भगवती जगदम्बा तुरन्त संतुष्ट हो गयीं। ऋषि, मुनि और ब्राह्मण लोग की समाधि, ध्यान और पूजा के द्वारा उनके संताप के करुण क्रन्दन से विचलित होकर, ईश्वरी- माता देवी-फल, सब्जी, जड़ी-बूटी, अनाज, दाल और पशुओं के खाने योग्य कोमल एवं अनेक रस से सम्पन्न नवीन घास फूस लिए हुए प्रकट हुईं और अपने हाथ से उन्हें खाने के लिये दिये।,शाक का तात्पर्य सब्जी होता है, इस प्रकार माता देवी का नाम उसी दिन से ''शाकम्भरी'' पड गया।

सताक्षी के नाम से पुकारा गया –
जगत्‌ की रक्षा में तत्पर रहने वाली करूण हृदया भगवती अपनी अनन्त आँखों से सहस्रों जलधारायें गिराने लगी। उनके नेत्रों से निकले हुए जल के द्वारा नौ रात तक त्रिलोकी पर महान्‌ वृष्टि होती रही।
वे अनगिनत आँखें भी रखती थीं। इसलिए उन्हें सताक्षी के नाम से पुकारा गया । ऋषियों और लोगों की दुर्दशा को देख कर उनकी अनगिनत आँखों से लगातार नौ दिन एवं रात्रि तक आँसू बहते रहे । यह (आँसू ) एक नदी में परिवर्तित हो गए जिससे सूखे का समापन हो गया ।

शाकम्बरी देवी का दैत्य दुर्गम से युद्ध –
जगत में कोलाहल मच जाने पर दूत के कहने पर दुर्गम नामक स्थान दैत्य स्थिति को समझ गया। उसने अपनी सेना सजायी और अस्त्र शस्त्र से सुसज्जित होकर वह युद्ध के लिये चल पड़ा। उसके पास एक अक्षोहिणी सेना थी। तदनन्तर देवताओं व महात्माओं को जब असुरों की सेना ने घेर लिया था तब करुणामयी मां ने बचाने के लिए ,देवलोक के चारों ओर एक दीवार खड़ी कर दी और स्वयं घेरे से बाहर आकर युद्ध के लिए डट गई तथा दानवों से संसार को मुक्ति दिलाई।
तदनन्तर देवी और दैत्य-दोनों की लड़ाई ठन गयी। धनुष की प्रचण्ड टंकार से दिशाएँ गूँज उठी। भगवती की माया से प्रेरित शक्तियों ने दानवों की बहुत बड़ी सेना नष्ट कर दी। तब सेनाध्यक्ष दुर्गम स्वयं शक्तियों के सामने उपस्थित होकर उनसे युद्ध करने लगा। संसार के ऋषि एवं लोगों को बचाने के लिये, शाकम्बरी देवी ने दैत्य दुर्गम से युद्ध किया।
अब भगवती जगदम्बा और दुर्गम दैत्य इन दोनों में भीषण युद्ध होने लगा।
माँ शाकम्बरी देवी ने अपने शरीर से दस शक्तियाँ उत्पन्न की थी । जिन्होंने युद्ध में देवी शाकम्बरी की सहायता की।
जगदम्बा के पाँच बाण दुर्गम की छाती में जाकर घुस गये। फिर तो रूधिर वमन करता हुआ वह दैत्य भगवती परमेश्वरी के सामने प्राणहीन होकर गिर पड़ा।
माँ शाकम्बरी देवी ने अंततः अपने भाले से दैत्य दुर्गम को मार डाला ।

वेदों की सभी शक्तियां शाकम्बरी देवी के शरीर में प्रवेश – तब वेदों का ज्ञान और ऋषियों की सभी शक्तियां जो दुर्गम द्वारा शोषित कर ली गई थीं, दानव दुर्गम को मारने से सभी शक्तियां सूर्यों के समान चमकदार सुनहरे प्रकाश में परिवर्तित हो गयीं और शाकम्बरी देवी के शरीर में प्रवेश कर गयीं ।

माता देवी या ईश्वरी का नाम दुर्गा हुआ –
देवी ने प्रसन्नतापूर्वक उस राक्षस से वेदों को त्राण दिलाकर देवताओं को सौंप दिया। वे बोलीं कि मेरे इस उत्तम महात्म्य का निरन्तर पाठ करना चाहिए। मैं उससे प्रसन्न होकर सदैव तुम्हारे समस्त संकट दूर करती रहूँगी।
शाकम्बरी देवी ने सभी वेद और शक्तियां देवताओं को वापस कर दिया। तब माता देवी या ईश्वरी का नाम “दुर्गा” हुआ क्योंकि उन्होंने दानव दुर्गम को मारा था ।
शाकम्बरी नवरात्रि का उत्सव –
पौष शुक्ल अष्टमी से आरम्भ होकर पौष की पूर्णिमा को समाप्त होता है ।
यह राजस्थान, मध्य प्रदेश, हिमांचल प्रदेश, कर्नाटक और तमिलनाडु में मनाया जाता है । भारत के इन राज्यों के मन्दिरों में विशाल आयोजन सर्वोच्च माता की आराधना हेतु होता है जो अपने बच्चों को भोजन उपलब्ध कराती है । सब देखते हुए माता (दुर्गा) जानतीं हैं कि क्या और कब उनके बच्चों की आवश्यकता है । जब उनके बच्चे रोते हैं, वे अपने अनाज, दाल,सब्जी, एवं फलों के उपहारों सहित दौड़ी चली आतीं हैं। यह उत्सव प्रक्रति माता तथा सर्वोच्च माता की कृतज्ञता का एक आयोजन होता है ।

तीसरा उत्तरप्रदेश में सहारनपुर से 42 किलोमीटर दूर कस्बा बेहट से शाकंभरी देवी का मंदिर 15 किलोमीटर की दूरी पर स्थित है

देवगण बोले- परिवर्तनशील जगत की एकमात्र कारण भगवती परमेश्वरी! शाकम्भरी! शतलोचने! तुम्ळें शतशः नमस्कार है। सम्पूर्ण उपनिषदों से प्रशंसित तथा दुर्गम नामक दैत्य की संहारिणी एवं पंचकोश में रहने वाली कल्याण-स्वरूपिणी भगवती महेश्वर! तुम्हें नमस्कार है।
हरी श्री शाकम्भरी अम्बा जी की आरती कीजो ।

ऐसा अदभुत रुप हृदय धर लीजो,
शताक्षी दयालु की आरती कीजो ।।

तुम परिपूर्ण आदि भावानी माँ,
सब घट तुम आप बखानी माँ ।।

शाकम्भर अम्बाजी की आरती कीजो
तुम्ही हो शाकम्भर, तुम ही हो शताक्षी माँ
शिवमूर्ति माया प्रकाशी माँ, श्री शाकम्भर
नित जो नर नारी अम्बे आरती गावे माँ
इच्छा पूरण कीजो, शाकम्भर दर्शन पावे माँ,
श्री शाकम्भर ...

जो नर आरती पढे पढावे माँ
जो नर आरती सुने सुनावे माँ
बसे बैकुण्ड शाकम्भर दर्शन पावे, श्री शाकम्भर....
वर्ष भर में चार नवरात्रि मानी गई है, आश्विन माह के शुक्ल पक्ष में शारदीय नवरात्रि, चैत्र शुक्ल पक्ष में आने वाली चैत्र नवरात्रि, तृतीय और चतुर्थ नवरात्रि माघ और आषाढ़ माह में मनाई जाती है।

पौष माह की शुक्ल पक्ष अष्टमी से पौष पूर्णिमा का समय शाकम्भरी नवरात्री कहलाता है।
प्रत्येक वर्ष में दो मुख्य नवरात्री, चैत्र व शारदीय नवरात्री होते हैं।
जो चैत्र व आश्विन मास की प्रतिपदा से नवमी तक होते हैं ।
इसके अलावा माघ व आषाढ़ मास मे दो गुप्त नवरात्री भी प्रतिपदा से नवमी तक होते हैं।
परन्तु शाकम्भरी नवरात्रि को अष्टमी से पूर्णिमा तक मनाते हैं।
तंत्र-मंत्र के साधकों को अपनी सिद्धि के लिए यह नवरात्रि खास माना जाता है।
तंत्र-मंत्र के साधकों को अपनी सिद्धि के लिए खास माने जाने वाली शाकंभरी नवरात्रि मनाई जाती है।
लड़कियों का विवाह जल्दी कराती है यह देवी स्तुति
देवी दुर्गा की स्तुति केवल शक्ति के लिए नहीं की जाती है। मां दुर्गा पार्वती के रूप में लड़कियों को अच्छा वर भी दिलाती है और विवाह में आ रही बाधा को दूर भी करती है। कहा जाता है कि सीता और रुक्मणि दोनों ने पार्वती का पूजन किया था और इससे ही उन्हें राम और कृष्ण जैसे पति मिले। तुलसीदास ने रामचरितमानस में इसका उल्लेख भी किया है। सीता ने पार्वती का पूजन किया था, स्तुति की थी। इसके बाद ही उन्हें राम के दर्शन हुए थे। वही स्तुति रामचरितमानस में मिलती है। कई विद्वानों ने इस स्तुति को सिद्ध माना है। अगर कुंवारी लड़की रोजाना नियम से पार्वती पूजन कर इस स्तुति का पाठ करे तो उसे भी मनचाहा वर मिलता है।

स्तुति
जय जय गिरिबरराज किसोरी। जय महेस मुख चंद चकोरी॥
जय गजबदन षडानन माता। जगत जननि दामिनि दुति गाता॥
नहिं तब आदि मध्य अवसाना। अमित प्रभाउ बेदु नहिं जाना॥
भव भव बिभव पराभव कारिनि। बिस्व बिमोहनि स्वबस बिहारिनि॥
सेवत तोहि सुलभ फल चारी। बरदायनी पुरारि पिआरी॥
देबि पूजि पद कमल तुम्हारे। सुर नर मुनि सब होहिं सुखारे॥
मोर मनोरथु जानहु नीकें। बसहु सदा उर पुर सबही कें॥
अर्थ - हे श्रेष्ठ पर्वतों के राजा हिमालय की पुत्री पार्वती! आपकी जय हो, जय हो, हे महादेवजी के मुख रूपी चंद्रमा की ओर टकटकी लगाकर और छ: मुखवाले स्वामी कार्तिकेयजी की माता! हे जगजननी! हे बिजली की-सी कांतियुत शरीर वाली! आपकी जय हो। आपका न आदि है, न मध्य है और न अंत है। आपके असीम प्रभाव को वेद भी नहीं जानते। आप संसार को उत्पन्न, पालन और नाश करने वाली हैं। विश्व को मोहित करने वाली और स्वतंत्र रूप से विहार करने वाली हैं। हे भक्तों को मुंहमांगा वर देने वाली! हे त्रिपुर के शत्रु शिवजी की प्रिय पत्नी! आपकी सेवा करने से चारों फल सुलभ हो जाते हैं। हे देवी! आपके चरण कमलों की पूजा करके देवता, मनुष्य और मुनि सभी सुखी हो जाते हैं। मेरे मनोरथ को आप भली भांति जानती हैं योंकि आप सदा सबके हृदय रूपी नगरी में निवास करती हैं।

माँ शाकम्भरी देवी मन्दिर
ऐसी मान्यता है कि माँ शाकम्भरी मानव के कल्याण के लिये धरती पर आयी थी।
मां शाकंभरी के तीन शक्तिपीठों की, नौ देवियों में से एक हैं मां शाकंभरी देवी।
मां शाकंभरी धन-धान्य का आशीर्वाद देती हैं। इनकी अराधना से घर हमेशा शाक यानी अन्न के भंडार से भरा रहता है।

देश भर में मां शाकंभरी के तीन शक्तिपीठ हैं।
पहला प्रमुख राजस्थान से सीकर जिले में उदयपुर वाटी के पास सकराय मां के नाम से प्रसिद्ध है।
दूसरा स्थान राजस्थान में ही सांभर जिले के समीप शाकंभर के नाम से स्थित है और
तीसरा स्थान उत्तरप्रदेश के मेरठ के पास सहारनपुर में 40 किलोमीटर की दूर पर स्थित है।
1-पहला प्रमुख श्री शाकम्भरी माता मन्दिर, गाँव सकराय सीकर (राजस्थान)

सीकर जिले में उदयपुर वाटी के पास सकराय मां

पहला प्रमुख राजस्थान से सीकर जिले में उदयपुर वाटी के पास सकराय मां के नाम से प्रसिद्ध है।
कहा जाता है कि महाभारत काल में पांडव अपने भाइयों व परिजनों का युद्ध में वध (गोत्र हत्या) के पाप से मुक्ति पाने के लिए अरावली की पहाडिय़ों में रुके। युधिष्ठिर ने पूजा अर्चना के लिए देवी मां शर्करा की स्थापना की थी। वही अब शाकंभरी तीर्थ है।
श्री शाकम्भरी माता गाँव सकराय यह आस्था केन्द्र सुरम्य घाटियों के बीच बना शेखावटी प्रदेश के सीकर जिले में यह मंदिर स्थित है। यह मंदिर सीकर से 56 किमी. दूर अरावली की हरी वादीयों में बसा है। झुंझनूँ जिले के उदयपुरवाटी के समीप है। यह मंदिर उदयपुरवाटी गाँव से 16 किमी. पर है। यहाँ के आम्रकुंज, स्वच्छ जल का झरना आने वाले व्यक्ति का मन मोहित करते हैं। इस शक्तिपीठ पर आरंभ से ही नाथ संप्रदाय वर्चस्व रहा है जो आज तक भी है। यहाँ देवी शंकरा, गणपति तथा धन स्वामी कुबेर की प्राचीन प्रतिमाएँ स्थापित हैं। यह मंदिर खंडेलवाल वैश्यों की कुल देवी के मंदिर के रूप में विख्यात है। इसमें लगे शिलालेख के अनुसार मंदिर के मंडप आदि बनाने में धूसर और धर्कट के खंडेलवाल वैश्यों सामूहिक रूप से धन इकट्ठा किया था। विक्रम संवत 749 के एक शिलालेख प्रथम छंद में गणपति,द्वितीय छंद में नृत्यरत चंद्रिका एवं तृतीय छंद में धनदाता कुबेर की भावपूर्ण स्तुति लिखी गई है।

इस मंदिर का निर्माण सातवीं शताब्दी में किया गया था। भारत के आठशक्ति पीठों में से यह एक है। यह भव्य मंदिर विभिन्न प्रकार के वृक्षों से घिरा है तथा कई प्रकार के औषधि वृक्ष भी इस शांत मालकेतु घाटी (अरावली पर्वत) में पाये जाते हैं। शंकर गंगा नदी बारिश के दिनों में इस मंदिर के पास से बहती है। भक्तों को पवित्र स्नान करने हेतु कई घाट बनवाये गये हैं। इस मंदिर के आसपास अन्य महत्वपूर्ण धार्मिक स्थलों में जटा शंकर मंदिर तथा श्री आत्म मुनि आश्रम शामिल है। भक्तगण सालभर इस मंदिर में आते रहते हैं, लेकिन हिंदु कॅलेंड़र के अनुसार महिने के आठवे, नौवें तथा दसवें दिन देवी भगवती की विशेष प्रार्थना के होते हैं। नवरात्रों के दौरान नौ दिन का उत्सव यहाँ होता है।
इस तीर्थ का उल्लेख महाभारत, वनपर्व के तीर्थयात्रा प्रसंग में इस श्लोक के मध्यान से किया गया है। श्लोक:
"ततो गच्छेत् राजेन्द्र देव्याः स्थानं सुदुर्लभम,
शाकम्भरीति विख्याता त्रिषु लोकेषु विश्रुता।"

उपाय: धन धान्य कि पूर्ती हेतु देवी शाकंभरी कि पंचो-उपचार पूजन करने के बाद देवी के चित्र पर लौकी का भोग लगाएं।


मंत्र:--
 ततोऽहमखिलंलोकमात्मदेहसमुद्भवै:।
भरिष्यामिसुरा: शाकैरावृष्टे:प्राणाधारकै:।
(शाकम्भरी) सकरायमाता मंदिर के शिलालेख
शाकंभरी देवी के नाम का उल्लेख महाभारत, वन पर्व के तीर्थयात्रा-प्रसंग में है -
’ततो गच्छेत राजेन्द्र देव्या: स्थानं सुदुर्लभम,
शाकम्भरीति विख्याता त्रिषु लोकेषु विश्रुता’ वन.८४,१३.

इसके पश्चात शाकंभरी देवी के नाम का कारण इस प्रकार बताया गया है -
’दिव्यं वर्षसहस्रं हि शाकेन किल सुव्रता,
आहारं सकृत्वती मसि मासि नराधिप,
ऋषयोअभ्यागता स्तत्र देव्या भक्त्या तपोधना:,
आतिथ्यं च कृतं तेषा शाकेन किल भारत तत:
शाकम्भरीत्येवनाम तस्या: प्रतिष्ठितम’ वन. ८४,१४-१५-१६

नोट - यह विवरण मुख्यत: रतन लाल मिश्र की पुस्तक शेखावाटी का नवीन इतिहास, मंडावा, १९९८, पृ.३११ से ३१९ से अध्ययन हेतु लिया गया है.
अरावली की एक उपत्यका के रम्य प्राकृतिक परिवेश में स्थित शाकम्भरी (सकरायमाता) के मंदिर में तीन प्राचीन शिलालेख उपलब्ध हैं.

प्रथम शिलालेख मंदिर के एक द्वार पर लगा है जो सबसे प्राचीन है, यह एपिग्राफिया इंडिका (Epigraphia Indica) के वोल्यूम सताईस पृष्ठ २७-३३ पर प्रकाशित हुआ है। इसका समय विक्रम संवत ६९९ माना गया है। इस पर ऐसियाटिक सोसाइटी वेस्टर्न सर्किल की १९३४ की रिपोर्ट में भी विचार हो चुका है। डॉ. भंडारकर इसकी तिथि ८७९ वि. तथा श्री ओझा ७४९ वि. मानते हैं ,रतन लाल मिश्र लिखते हैं कि, खंडेला में जो शाकम्भरी से पास ही है वोद्द के पुत्र आदित्य नाग ने अर्द्धनारीश्वर का मंदिर बनाया था।

सीकर जिले में उदयपुर वाटी के पास सकराय मां

इसकी तिथि डॉ. डी.सी. सरकार ने ८६४ वि. मानी थी. आदित्य नाग ने खंडेला में अपना मंदिर बनाया था और सकराय में शाकम्भरी मंदिर के मंडप निर्माण के लिए अन्य दस गोष्ठियों के साथ सम्मिलित हुआ।यह मान्यता साधार लगती है,इस आधार पर डॉ. डी.सी. सरकार द्वारा सुझाई गयी तिथि वि. ८७९ स्वीकार करने योग्य है।

शाकम्भरी देवी के स्थान पर लगे संवत ८७९ के शिलालेख से ज्ञात होता है की ११ वणिकों ने एक संघ बनाकर एक अतीव सुन्दर मंडप शंकरादेवी के मंदिर के आगे बनाया. इन लोगों के नाम मदन (धूसर वंश) गर्ग, गनादित्य (धर्कट वंश) देवल, शंकर, आदित्यनाग आदि. सकराय प्रथम शिलालेख का


मूल पाठ

१. ॐ रनदरदनदारनद्रुतसुमेरुरेनुद्भुतम सुगन्धि
मदिरामद-प्रभुदतालिझंकारितम (तम्) अनेक रनदुंदुभिध्वनि विभिन्न गंडस्थलं
महागनपतेर्मुखम् दिशतु भूरि भद्रानि व: (१) नृत्यनत्यास सांगहारम चरनभार परिखोभिता
क्षमातलाया: प्रभष्टेन्दु प्रभायाम निशि विसृत नखोद्योत भिन्नान्धकारा ये लीलोद्वोलिताग्रां
विदधति वितताम्भोज पूजाइव शासते हस्ताम् संपदा वो ददातु विदलित द्वेषिनश्चंडिकाया:
(२) मधुमद्जनु दृष्टि, स्पष्टनीलोत्पलाभों मुकुटमणि मयूखै: रंजति: पीतवास: जलधर:
इव विद्युच्छक्र चापानुविद्धो भवतु धनदनामों बुद्धिदां व: सुयक्ष:।
(३) आसीद धर्म परायनेति महती प्रोद्दाम कीत्युज्जवले । वंशे धूसर संज्ञके गुनवतो ख्यातो यशोवर्द्धन: यस्या स्ताखिल दोष्ण उन्नत भुज: पुत्रो:भवत संत्यवाग्। राम: श्रेष्टिवरो वभूव च यतो श्रेष्टि सुतो मंडन: ।
(४) आसीच्च मालिनी प्रकाश यशसि श्री मत्युदारे धरक्कट नाम्नी प्रतिदिनं शक्रर्धि
विस्पर्धिनी। उच्चै मोदित मादरन् निजकुलं येनोदयं गच्छता। श्रेष्ठि: मंडन नामक:
संभवच्छ्रेष्ठि यतो मद्वन: ।।
५) तस्यापि अभूत सुत: श्रेष्ठि गर्गो धर्म परयण:. कुलीन:
शील संपन्न: सततं प्रियदर्शन: .,
(६) श्रेष्ठिमंड
नाख्य: प्रभूतम प्राप्नोत्यर्थम् गर्गा नामा च लक्षमीम् । यो श्रेष्ठित्वं सर्वसत्वानुकंपा
सम्यक् कुर्वाणों नितवन्तौ समाप्तिम् ।।
(७) तथा भट्टीयक श्चासीद् वनिग् धर्कट
वंशज:। सुनुस्तस्यापि अभूत धीमान् वर्द्धन: ख्यात सद्गुण:।
(८) तस्य पुत्रौ महात्मानौ
सत्य शौचार्जवान्वितौ वभुवतु गर्गना
दित्य देवलाख्यावनन्दितौ।।
(९) तथा वनिकच्छिवश्चासीत तत् पुत्रों जितेन्द्रिय:।
शंकरों विष्णु वाकस्य तथासीत् तनय: शुचि:।।
(१०) आदित्यवर्द्धन सुतो मंडुवाको:
भवत सुधि:। वोद्दस्य आदित्य नामाख्य: पुत्रासीद् महदुयुति:
(११) भद्राख्यो नद्धकस्या:भूत्
पुत्रों मतिमताम्बर: । तथा द्दो
७. (तन) संज्ञश्च ज्यूलस्या: भावत सूत: ..
(१२) शंकर: सौन्धराख्यस्य
सुनुरासीदकल्मष: । शुश्रुषानन्य मनसा पित्रो येनासकृत कृत: ।।
(१३) तैर्यम् गोष्टिकै:
भूत्वा सुरानामंडपोत्तम: कारित: शंकरादेव्या: पुरत: पुण्यवृद्धये.
(१४) संवत ६९९
द्विराषाढ सुदि
सकराय दूसरा शिलालेख का (Sakrai Inscription2)
दूसरा शिलालेख मंदिर के पार्श्व भाग पर लगा है.
श्री ओझा इसे १०५६ वि.स. का मानते हैं।
मूल पाठ
१. (१०५) ६ श्रावण वदि। श्री शंकरादेव्याया मह (:)
२. राज श्री दुल्लह राजन्य राज्ये दुसाध्य
३. (शिव) हरिसुत तस्यैव भातृव्यज श्री
४. (सिद्धरा)ज ताभ्यां मंडपं कारापितं। कर्म्मका
५. (र आ) हिल सिंहटसुत: देव्यापादंक् नित्य प्र
६. (णमति) (बहु) रूपसुत: देवरूपेन


श्री शाकम्भरी माता मन्दिर, गाँव सकराय सीकर (राजस्थान)

भावार्थ संवत १०५६ श्रावण बदी १ को शंकरादेवी का मंडप महाराज श्री दुल्लहराज के राज्य में दुसाध्य शिवहारी के पुत्र एवं उसके भतीजे सिद्धराज ने बनाया। कर्मकार का नाम आहिल था। जो सिंहट का पुत्र था, जो देवी के चरणों में नित्य प्रणाम करता है। प्रशस्ति खोदी बहुरूप के पुत्र देवरूप ने।

सकराय तीसरा शिलालेख का वि.स.१०५५

शाकम्भरी देवी के स्थान पर लगे संवत ८७९ के शिलालेख

तीसरा शिलालेख वि.स.१०५५ का है।

इसका उल्लेख रायल ऐसियाटिक सोसाइटी की रिपोर्ट के साथ ही एपिग्राफिया इंडिका (Epigraphia Indica) वो. ३८,भाग ७, पृ. ३२३,२४२ में भी इसका संपादन हुआ है। इस शिलालेख में प्राचीन प्रथा के अनुसार प्रथम दो अंक छोड़ दिए हैं और केवल ५५ का अंकन है। संपादक ने प्रथम दो अंकों को १० मानकर शिलालेख की तिथि १०५५ बताई है। इस सम्बन्ध में डॉ. दशरथ शर्मा मानते हैं कि विग्रहराज का उत्तराधिकारी दुर्लाभराज द्वितीय सं. १०५३ में राज्य कर रहा था इसलिए सकराय शिलालेख में उल्लिखित विग्रहराज की पहचान विग्रहराज तृतीय से करनी चाहिए ओर विलुप्त अंकों को १० की अपेक्षा ११ माना जाना चाहिए।
इस के अतिरिक्त एक और तथ्य भी प्रासांगिक प्रतीत होता है जो शिलालेख के काल निर्धारण में सहायक होगा,विग्रहराज की मृत्यु का ठीक समय हमें ज्ञात नहीं है। विग्रहराज द्वितीय के समय का हर्ष-शिलालेख १०३० वि. का ज्ञात है। दुर्लाभराज १०५५ में गद्दी पर बैठ गया था। उस समय तक विग्रहराज की मृत्यु हो चुकी थी। नर्मदा विग्रहराज की पुत्री थी जिसका विवाह वत्सराज के साथ हुआ था। उसके गोविन्दराज नामक पुत्र हुआ था, उसकी पत्नी देयिका थी,गोविन्दराज-देयिका की पुत्री देयिनी थी जिसने शाकम्भरी के मंदिर का जीर्णोद्धार या पुनर्निर्माण करवाया था।


इस प्रकार विग्रहराज, गोविन्दराज और देयिनी ये तीन पीढियां व्यतीत हो चुकी थीं। देयिनी ने संभवत: अपनी वृद्धावस्था में माता-पिता तथा स्वयं की पुन्यवृद्धि के लिए पितृग्रह में रहते हुए यह मंदिर बनवाया था (पितृमातृभ्याम आत्मन: पुण्य वृद्धये) । इस प्रकार विग्रहराज से लेकर देयिनी द्वारा मंदिर निर्माण के काल तक प्राय: १०० वर्ष का समय व्यतीत हो चुका होगा। इस आधार पर शिलालेख की तिथि वि . १०५५ नहीं होकर वि. ११५५ मानना संगत प्रतीत होती है. [
शाकंभरी देवी के १०५५ वि. (११५५ वि.) के शिला लेख से ज्ञात होता है कि देवी का मंदिर जो ईंटों का बना था कालांतर में टूट फूट गया था। देयिनी ने इसका जीर्णोद्धार करवाया और द्रोणक नामक गाँव अर्पित किया. (शाकंभरी शिलालेख श्लोक-१६)
मूल पाठ
जयतिमुनि मनुजगीत: स(रभस) म् निरद्दारितारि राया (यौ) या: (य:) (१)
कृन् (न) द्... रु...नूपुर-मुखर: स (लसतम्म) लम् छन्न: प...
२. ...क्षमैरिव स्फ़ुरद विकटपन्नगा मलयपाद्श्रीरिव। सुरत्नकटको ज्व(ज्ज्व)
लो सुरगिरेश तति सन्निभा प्र...मृदाश्र (य) (२)
३. ...हितानीक: शक्तिर्मान विवुधारित हृत श्रीमद् विग्रहराजो भूच्चाहमानो गुहोपम:(३)
४. ....सद्धतवन्शे प्रभव: सद्वागुरा तस्यु नर्म्मदा (४) श्री बच्छराज
नृपते: प्रहतारितस्य सामन्त चक्राकरराजहंसी. साजीजनद् विजित शत्रु जनोर्जितम् श्री गोविन्दराज (राज)...
५.राजालोकम (कम्)। (५) हेलादलद विकट कुंभ कवाट मुक्त:
मुक्ताफलोच्चालितविस्फ़ुरितअंतरिक्षम्। येन क्वनन् मुदुजाल प्रचलालि मालामालोडितम् श (स)
६. लीलान (लान्)।। (६) देवं कर्मरतानित्यम् विनतानाम वरप्रदा: राजनीश्रीदेयिका,
कान्ता तस्याभूद् देवतोपमा।। (७) को दानेनपूरित: प्रतिदिशम् कस्याश्रयोनोवत: को ।
७. निवृतिम कस्याच्छ्रय नोद्धता। इत्येवं त्रिदेशेश्वरस्य भवने जेगीयते यश्शिचरम्
चित्रम् चा(रण) चक्रकै: विरचितम् चन्द्रावदातंयश: ।। (८) अस्ति उन्नते: सुरगृहै:(ना)
८. ना विधैद्विज वनिगवर वेश्मजालै:। सत श्रेष्ठि संसत महाजन सन्निवेशम श्री
पूर्णतल्लकपुरम् प्रथितम पृथ्वीव्याम (व्याम्)। (९) श्रेष्ठि जाज्जक जयमात्रयो: (र) र्पितम्
९. इदम् देवद्रोन्या-रम्य प्रदीप पंर्यतं लता व्यालोल पल्लवम्। कोकिला कुल
संघुष्ठं, मल्ली माला निषेविताम्।। (१०) पवनापात संभ्रान्त किन्नरा:
१०. तम् (तम) शिखालि (न्दी) केका कुलितम् हरि हारीत नादितम (तम्)। (११)
वृहदाद्रोण्याश्रितम् श्रीमत् सिद्धगधर्व संस्तुतम्। शोधम् श्री शंकरादेव्या: पुरा केनापि
कारितम (तम्)। (१२) विदीर्ण कूटशिखर (रम्)
११. तितेष्ठकम् . देव्यास्तद् मन्दिरं जातं कालयोगाच्चला चलम् (लम्) तयोंन्नियोगे
देयिन्या: स्थाने (घोसायी) तदायतनम् भूय: कारितम् रुचिमत्तरम (रम्) ।। (१४) जीवितम का...
१२. संपदातितरलास्तरंगवत् यौवनानिसुचिरंनदेहिनाम् । इति एत्य जागतोहि अनित्याम् ।। (१५)
१३. यस्याश्च पितृ मातृभ्याम् आत्मन: पुण्यवृद्धये....
ग्रामो द्रोनक संज्ञकश्च न्ययात्रेदापित:।। (१६) यावत् क्षितीह क्षितिधर: क्षणदाकरश्च
यावत् क्षिनोति तिमिरम् रवि अंशुजालै:-वृंदेनृतमतामगनमुखर नृपुर राव रम्यम्।। (१७)
१४. ....द् मकरन्दविसर्पि विन्दुमत् भ्रमद्भ्रमर संज्ञ विवृद्धराव काले
विलोलपा... रूम.... देवालयम्.... हितरुचिमद् विचित्रम्।। (१८)
१५. शकरसुनुना पूर्वा विरचिता हीऐषा। वराहेनाल्प मेधसा उत्कीर्णा सूत्रधार
सिलागनेन वोद्दक पुत्रेन संसंवत्सर ५५ माघ सुदि.
=======================================
3>-दूसरा स्थान राजस्थान में ही सांभर जिले के समीप शाकंभर के नाम से स्थित है-

जिले के सांभर कस्बे में अवस्थित

शाकम्भरी देवी अशाकम्भरी देवी का प्राचीन शक्तिपीठ जयपुर जिले के सांभर कस्बे में अवस्थित है। शाकम्भरी माता सांभर की अधिष्ठात्रीदेवी है और इस शक्तिपीठ से ही इस कस्बे ने अपना यह नाम पाया। सांभर पर चौहान राजवंश का शताब्दियों तक असधिपत्य रहा। 12वि शती के अन्तिम चरण में सांभर के प्रदेश में चौहानों का राज्य था। -
यहाँ सांभर झील शाकंभरी देवी के नाम पर प्रसिद्ध है।
महाकाव्य महाभारत के अनुसार यह क्षेत्र असुर राज वृषपर्व के साम्राज्य का एक भाग था और यहाँ पर असुरों के कुलगुरु शुक्राचार्य निवास करते थे।
इसी स्थान पर शुक्राचार्य की पुत्री देवयानी का विवाह नरेश ययाति के साथ सम्पन्न हुआ था। “देवयानी” को समर्पित एक मंदिर झील के पास स्थित है। यहाँ “शाकम्भरी देवी” को समर्पित एक मंदिर भी उपस्थित है।

एक अन्य हिंदू मान्यता के अनुसार, शाकम्भरी देवी जो कि चौहान राजपूतों की रक्षक देवी हैं, सांभर प्रदेश के लोग इस वन संपदा को लेकर होने वाले संभावित झगड़ों के लेकर चिंतित हो गये थे। देवी ने यहां स्थित इस वन को बहुमूल्य धातुओं के एक मैदान में परिवर्तित कर दिया था। और इसे एक वरदान के स्थान पर श्राप समझने लगे। लोगों ने देवी से अपना वरदान वापस लेने की प्रार्थना की तो देवी ने सारी चांदी को नमक में परिवर्तित कर दिया।

सांभर, पौराणिक, ऐतिहासिक, पुरातात्विक और धार्मिक महत्तव का एक सांस्कृतिक पहचान रही है शाकम्भरी देवी के मंदिर की अतिक्ति पौराणिक राजा ययाति की दोनों रानियों देपयानी और शर्मिष्ठा के नाम पर एक विशाल सरोवर व कुण्ड अद्यावधि वहां विद्यमान है जो इस क्षेत्र के प्रमुख तीर्थस्थलों के रूप में विख्यात है। वर्तमान में देवनानी के नाम से प्रसिद्ध इस तीर्थ का लोक में बड़ा माहात्म्य है जिसकी सूचक यह कहावत है “देवदानी” सब तीर्थो की नानी।

चौहान काल में सांभर और उसका निकटवर्ती क्षेत्र सपादलक्ष (सवा लाख की जनसंख्या सवा लाख गांवों या सवा लाख की राजस्व वसूली क्षेत्र) कहलाता था।

ज्ञात इतिहास के अनुसार चौहान वंश शासक वासुदेव ने सातवीं शताब्दी ईं में सांभर झील और सांभर नगर की स्थापना शाकम्भरी देवी के मंदिर के पास में की। सांभर सातवीं शताब्दी ई. तक अर्थात्‌ वासुदेवी के राज्यकरल से १११५ ई. उसके वंशज अजयराज द्वारा अजयमेरू दुर्ग या अजमेर की स्थापना कर अधिक सुरक्षित समझकर वहां राजधानी स्थानांतरित करने तक शाकम्भरी इस यशस्वी चौहान राजवंश की राजधानी रही। सांभर की अधिष्ठात्री और चौहान राजवंश की कुलदेवी शाकम्भरी माता का प्रसिद्ध मंदिर सांभर से लगभग 15 कि.मी. दूर अवस्थित है।

सांभर के पास जिस पर्वतीय स्थान में शाकम्भरी देवी का मंदिर है वह स्थान कुछ वर्षों पहले तक जंगल की तरह था और घाटी देवी की बनी कहलाती थी।
समस्त भारत में शाकम्भरी देवी का सर्वाधिक प्राचीन मंदिर यही है जिसके बारे में प्रसिद्ध है कि देवी की प्रतिमा भूमि से स्वतः प्रकट हुई थी। शाकम्भरी देवी की पीठ के रूप में सांभर की प्राचीनता महाभारत काल तक चली जाती है। महाभारत (वन पर्व), शिव पुराण (उमा संहिता) मार्कण्डेय पुराण आदि पौराणिक ग्रन्थों में शाकम्भरी की अवतार कथाओं में शत वार्षिकी अनावृष्टि चिन्तातुर ऋषियोंपर देवी का अनुग्रह शकादि प्रसाद दान द्वारा धरती के भरण पोषण की कथायें उल्लेखनीय है।

वैष्णव पुराण में शाकम्भरी देवी के तीनों रूपों में शताक्षी, शाकम्भरी देवी का शताब्दियों से लोक में बहुत माहात्म्य है। सांभर और उसके निकटवर्ती अंचल में तो उनकी मान्यता है ही साथ ही दूरस्थ प्रदेशों से भी लोग देवी से इच्छित मनोकमना, पूरी होने का आशीर्वाद लेने तथा सुख-समृद्धि की कामना लिए देवी के दर्शन हेतु वहां आते हैं। प्रतिवर्ष भादवा सुदी अष्टमी को शाकम्भरी माता का मेला भरता है। इस अवसर पर सैंकड़ों कह संख्या में श्रद्धालु देवी के दर्शनार्थ वहां आते हैं। चैत्र तथा आसोज के नवरात्रों में यहां विशेष चहल पहल रहती है।

शाकम्भरी देवी के मंदिर के समीप उसी पहाड़ी पर मुगल बादशाह जहांगीर द्वारा सन्‌ १६२७ में एक गुम्बज (छतरी) व पानी के टांके या कुण्ड का निर्माण कराया था, जो अद्यावधि वहां विद्यमान है।आलौकिक शक्ति और माहात्म्य के कारण सैंकड़ों वर्षो से लोक आस्था का केन्द्र है।
==============================================================
4> तीसरा मां शाकंभरी का मंदिर स्थान बेहट, सहारनपुर, उत्तरप्रदेश शिवालिक पर्वतमाला के घने जंगल में –

मां शाकंभरी का मंदिर स्थान बेहट, सहारनपुर, उत्तरप्रदेश

उत्तरप्रदेश में सहारनपुर से 42 किलोमीटर दूर कस्बा बेहट से शाकंभरी देवी का मंदिर 15 किलोमीटर की दूरी पर स्थित है।
इस सिद्धपीठ में बने माता के पावन भवन में माता शाकंभरी देवी, भीमा देवी, भ्रामरी देवी व शताक्षी देवी की नौ देवियों में से, एक हैं मां शाकंभरी देवी। कल कल छल छल बहती नदी की जल धारा ऊंचे पहाड़ और जंगलों के बीच विराजती हैं माता शाकंभरी। कहा जाता है शाकंभरी देवी लोगों को धन धान्य का आशीर्वाद देती हैं। इनकी अराधना करने वालों का घर हमेशा शाक यानी अन्न के भंडार से भरा रहता है।
कैसे पहुंचे-

आप देश के किसी भी कोने से सहरानपुर रेल या बस द्वारा पहुंच सकते हैं। सहारनपुर में बेहट अड्डे से शाकंभरी देवी के लिए बसें हर थोड़ी देर पर मिलती हैं। 42 किलोमीटर का रास्ता तकरीबन डेढ घंटे का है। शाकंभरी देवी के बस स्टाप से मंदिर के लिए एक किलोमीटर का रास्ता पैदल तय करना पड़ता है। मां का मंदिर शिवालिक पर्वतमाला के घने जंगल में नदी के किनारे है। मंदिर तक पहुंचने के लिए शाकंभरी नदी से होकर रास्ता जाता है। थोड़ा रास्ता जंगल से होकर भी है। पथरीली राहों के साथ ही बरसात के दिनों में नदी में पानी भी रहता है। पहाड़ों पर तेज बारिश होने पर नदी में पानी बढ़ जाता है। तब मंदिर जाना मुश्किल है। इसलिए बरसात में दर्शन करने वालों को थोड़ी सावधानी बरतनी चाहिए। माता शाकंभरी के मंदिर के पास प्रसाद की दुकानें और खाने पीने से स्टाल है। मंदिर पास रहने के लिए आश्रम भी है। अगर मंदिर पहुंचने में शाम हो जाए और लौटना मुश्किल हो तो वहीं रूका जा सकता है। मंदिर के पास एक संस्कृत स्कूल और जिला प्रशासन का बनवाया गया रैन बसेरा भी है। शाम को 5.45 बजे के बाद माता शाकंभरी से वापस आने के लिए बसें नहीं मिलतीं। ऐसी हालत में आपको मंदिर के पास ही रूकना पडेगा।
बेहट शाकंभरी देवी का इतिहास

कस्बा बेहट से शाकंभरी देवी का मंदिर 15 किलोमीटर1

कहा जाता है कि यहां सती शीश गिरा था। शाकंभरी देवी के मंदिर में माता शाकंभरी के दाईं ओर भीमा और भ्रामरी और बाईं और शीताक्षी देवी प्रतितिष्ठितहै। भारत की शिवालिक पर्वत श्रेणी में माता श्री शाकंभरी देवी का प्रख्यात तीर्थस्थल है। दुर्गा पुराण में वर्णित 51 शक्तिपीठों में से एक शाकंभरी सिद्धपीठ जिले के शिवालिक वन प्रभाग के आरक्षित वन क्षेत्र में स्थित है। यहां की पहाड़ियों पर पंच महादेव व भगवान विष्णु के प्राचीन मंदिर भी स्थित हैं। इस पावन तीर्थ के आसपास गौतम ऋषि की गुफा, बाण गंगा व प्रेतसीला आदि पवित्र स्थल स्थापित हैं। यहां वर्ष में तीन मेले लगते हैं, जिसमें शारदीय नवरात्र मेला अहम है।शिवालिक घाटी में माता शाकंभरी आदि शक्ति के रूप में विराजमान हैं। गर्भगृह में माता शाकंभरी, भीमा, भ्रांबरी व शताक्षी देवियों की प्रतिमाएं स्थापित हैं। मान्यता है कि सिद्धपीठ पर शीश नवाने वाले भक्त सर्व सुख संपन्न हो जाते हैं। यह भी मान्यता है कि मां भगवती सूक्ष्म शरीर में इसी स्थान पर वास करती हैं। जब भक्तगण श्रद्धा पूर्व मां की आराधना करते हैं तो करुणामयी मां शाकंभरी स्थूल शरीर में प्रकट होकर भक्तों के कष्ट हरती हैं।
भूरादेव मंदिर –
देवताओं ने माता से वेदों की प्राप्ति की, ताकि सृष्टि का संचालन सुचारु रूप से चल सके। अंबे भवानी की जय-जयकार सुनकर मां का एक परम भक्त भूरादेव भी अपने पांच साथियों चंगल, मंगल, रोड़ा, झोड़ा व मानसिंह सहित वहां आ पहुंचा। उसने भी माता की अराधना गाई। अब मां ने देवताओं से पूछा कि वे कैसे उनका कल्याण करें ! इस प्रकार मां के नेतृत्व में देवताओं ने फिर से राक्षसों पर आक्रमण कर दिया। युद्ध भूमि में भूरादेव और उसके साथियों ने दानवों में खलबली मचा दी। इस बीच दानवों के सेनापति शुम्भ निशुम्भ का भी संहार हो गया। ऐसा होने पर रक्तबीज नामक दैत्य ने मारकाट मचाते हुए भूरादेव व कई देवताओं का वध कर दिया। रक्तबीज के रक्त की जितनी बंूदें धरती पर गिरतीं उतने ही और राक्षस प्रकट हो जाते थे। तब मां ने महाकाली का रूप धर कर घोर गर्जना द्वारा युद्ध भूमि में कंपन उत्पन्न कर दिया। डर के मारे असुर भागने लगे। मां काली ने रक्तबीज को पकड़ कर उसका सिर धड़ से अलग कर दिया। उसके रक्त को धरती पर गिरने से पूर्व ही मां ने चूस लिया। इस प्रकार रक्तबीज का अंत हो गया। जनश्रुति यह है कि, अब शेर पर सवार होकर मां युध्द भूमि का निरीक्षण करने लगीं। तभी मां को भूरादेव का शव दिखाई दिया। मां ने संजीवनी विद्या के प्रयोग से उसे जीवित कर दिया तथा उसकी वीरता व भक्ति से प्रसन्न होकर उसे वरदान दिया कि जो भी भक्त मेरे दर्शन हेतु आएंगे वे पहले भूरादेव के दर्शन करेंगे। तभी उनकी यात्रा पूर्ण मानी जाएगी। मेरे दर्शन से पूर्व जो भक्त भूरादेव के दर्शन नहीं करेगा,उसकी यात्रा पूर्ण नहीं मानी जाएगी।
इस प्रकार देवताओं को अभयदान देकर मां शाकुम्भरी नाम से यहां स्थापित हो गईं। हरियाणा, उत्तर प्रदेश व आसपास के कई प्रदेशों के निवासियों में माता को कुल देवी के रूप में पूजा जाता है। परिवार के हर शुभ कार्य के समय यहां आकर माता का आशीर्वाद प्राप्त किया जाता है। लोग धन धान्य व अन्य चढ़ावे लेकर यहां मनौतियां मांगने आते हैं। उनका अटूट विश्वास है कि माता उनके परिवार को भरपूर प्यार व खुशहाली प्रदान करेंगी। हर मास की अष्टमी व चौदस को श्रद्धालु यहां आते हैं। स्थान-स्थान पर भोजन बनाकर माता के भंडारे लगाए जाते हैं। माता के मंदिर के इर्द-गिर्द कई अन्य मंदिर भी हैं। मुख्य मंदिर से एक किमी पहले भूरादेव मंदिर है, जहां श्रद्धालु प्रथम पूजा करते हैं। मुख्य मंदिर के निकट वीर खेत के नाम से प्रसिद्ध मैदान है। इसके बारे में मान्यता है कि माता शक्ति ने यहां महासुर दुर्गम सहित कई दैत्यों का वध किया था, तभी मां जगद्जननी दुर्गा कहलाई।
सिद्धपीठ परिक्षेत्र में पहाडि़यों पर एक ओर छिन्नमस्ता देवी व कुछ फर्लाग दूर माता रक्तिदंतिका देवी के भव्य मंदिर हैं। इस पंचकोसी क्षेत्र में पांच स्वयं भू: शिवलिंग हैं, जिसके दर्शन मात्र से ही चारों धाम की यात्रा का पुण्य प्राप्त होने की मान्यता है।
इतिहास में भी रहा बेहट शाकंभरी का महत्व
सिद्धपीठ धार्मिक ही नहीं एतिहासिक रूप से भी महत्वपूर्ण है। चंद्रगुप्त व चाणक्य भी सेना के गठन के लिए यहां आए थे। इस सिद्धपीठ की तमाम व्यवस्थाएं जसमोर रियासत घराना करता है। इस घराना का संबंध कलिंग राज्य से बताया जाता है। इसके अनुसार माता शाकंभरी उनकी कुलदेवी है। मंदिर की व्यवस्था पहले राणा इंद्रसिंह व उसके बाद उनके पुत्र राणा कुलवीर सिंह तथा उनके देहांत के बाद उनकी पत्नी धर्मपत्नी रानी देवलता व पुत्र कुंवर आदित्य प्रताप राणा, कुंवर सानिध्य प्रताप राणा व कुंवर आतुल्य प्रताप राणा संभाल रहे हैं।
आस्था को संजोए बेहट, शंकराचार्य आश्रम -
सिद्धपीठ परिक्षेत्र में द्वारिका एवं ज्योर्ति पीठाधीश्वर जगद्गुरू शंकराचार्य स्वामी स्वरूपानंद सरस्वती जी महाराज का आश्रम यहां शोभा बढ़ाता है। आश्रम में श्रद्धालुओं के ठहरने व भंडारे आदि की सुविधा के लिए करीब 150 कमरे बने हैं। आश्रम व्यवस्थापक संत संघर्ष समिति के राष्ट्रीय अध्यक्ष महंत भैरवतंत्राचार्य श्री सहजानंद जी ब्रह्मचारी श्रद्धालुओं की सेवा-सुश्रुषा की देखरेख करते हैं। यहां सभ्यता, संस्कृति एवं धार्मिक आस्था का संचार करता संस्कृत विद्यालय है।
=====================================================================