4>শক্তি+মাতৃ=Post=4***কালী ক্ষেত্র কলিকাতা***( 1 to 12 )
1)) কালী ক্ষেত্র কলিকাতা:--
" মা " কালী এবং কলিকাতার সঙ্গে সম্পর্ক নিতান্ত ঘনিষ্ঠ। শক্তিপীঠ কালীঘাট থেকেই কলকাতার গৌরব। চিতু ডাকাত বা রঘু ডাকাতের কালীর গল্প তো সুপরিচিত। কেওড়াতলা , কাশী মিত্র ঘাট কি গড়িয়ায় দেখা মেলে শশ্মানকালীর, এমনকী শিয়ালদহ অঞ্চলে শশ্মানকালীর মন্দিরও আছে। চেতলা এলাকা বহু বিচিত্র ধরনের সর্বজনীন কালীপ্রতিমার জন্য় বিদেশী গবেষকদের ও নজর কেড়েছে। কালীপ্রতিমার স্থায়ী মন্দির নিমতলার আনন্দময়ী , সিদ্ধেশ্বরী , করুণাময়ী , ঠনঠনিয়া, শ্যামবাজারের কালীমন্দির, বউবাজারের, ফিরিঙ্গি কালী কি পুঁটে কালী বিখ্যাত। তন্ত্রসাধক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে প্রতিষ্ঠা করেন অষ্টাদশভুজা গুহ্য়কালীমূর্তি। রামদুলাল সরকার স্ট্রিটে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের
" বসা কালী "এমনই আর এক দুর্লভ রূপ। মতিলাল বন্দ্যোপাধ্যায় বিডন স্ট্রিটে থাকাকালীন জঙ্গলঘেরা জায়গায় হঠাৎ
মাটির কালীমূর্তি দেখতে পান। স্থানীয় মিত্র পরিবার কালী প্রতিষ্ঠা করার জন্য় তাদের জায়গা দান করেন। ফি --বছর কালীপুজোর আট -দশ দিন আগে অঙ্গরাগ হয় একই মাটির প্রতিমায়।
কালীঘাট মন্দির টি আদি গঙ্গার তীরে অবস্থিত। পুরাণে পওয়াযায় , দক্ষযজ্ঞের পর বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের আঘাতে দেবীর
দক্ষিণ চরণের অঙ্গুলি পতিত হয়ে এই পীঠস্থান হয়েছে। বিখ্যাত একান্ন ( 51 ) পীঠের অন্যতম এই কালীঘাট।
বহুকাল ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে অনাদ্রিত অবস্থায় বেত, বাঁশ, কচু, লতাপাতা প্রভৃতির জঙ্গলের মধ্যে, আদিগঙ্গা থেকে
উৎপন্ন হ্রদের তীরে প্রস্তর খন্ডরুপী দেবী-অঙ্গ পড়ে ছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এইসব স্থানে ডোম, ধীবর প্রভৃতি
শ্রেনীর,কিছু লোক বাস করতে আরম্ভ করে। ঐ সময় বর্তমান মন্দিররের পূর্বদিকে বনের মধ্যে দিয়ে অপ্রশস্ত একটি পায়ে চলা পথ টালিগঞ্জের দিকে সোজা চলে গিয়েছিল। এখন এই রাস্তাটি "রসা রোড "নামে পরিচিত।
রসা পাগলা একজন বিখ্যাত ডাকাত , তার নাম অনুসারে এই রাস্তার নাম "রসা রোড। "
রাস্তার নিকটবর্তী জঙ্গলের ধরে বিভৎস বামাচারী, কাপালিক, তান্ত্রিক, সন্ন্যাসিগণ সুরাপান করে নরবলি দিয়ে
পাশবিক উপাচারে দেবীর পূজা করত। কিছু কিছু ভক্ত ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের অনুপস্থিতিতে মাঝে মাঝ্র দেবীর পূজা দিতে আসত। তবে তখন দেবীর কোন সুনির্দিষ্ট মন্দির ছিলনা।
এর কয়েকশো বছর আগে শঙ্করাচার্য়ের দশনামী সম্পদায়ের সন্যাসী ব্রহ্মানন্দ গিরি এবং আত্মানন্দ গিরি জঙ্গলাকীর্ণ
হ্রদের কাছে দিব্য় অনুভূতি লাভ করে প্রস্তররুপী দেবীর মুখমন্ডল উদ্ধার করেণ। ঐ সময় কিছু পাথর ও নুড়িও তাঁরা
দেখতে পান। একটি পর্নকুটির নির্মান করে তাঁরা প্রস্তর নির্মিত মুখমন্ডলটি স্থাপনা করে পূজার্চনা, ধ্যান, জপ,করতেন ,
তারপর কালে কত সাধক, সন্নাসী, ভক্ত, প্রেমিক,বানপ্রস্থবাসী, ব্রাহ্মণ, নৈষ্ঠিকব্রহ্মচারী, প্রভৃতি দেবীর সাধনা ও পূজা
করেছেন এবং দেবীর উপলব্ধি করে সিদ্ধ হয়েছেন।
1>--------------কালী ক্ষেত্র কলিকাতা:--
1/2>কালীঘাটের মায়ের মূর্তি
1/ 3>|| কালীঘাটই কালীক্ষেত্র::---
2>--------------বিভিন্ন রুপে কালী মাতা
3>-------------স্ত্রী শক্তির দেবী কমলাকামিনী
4>-------------দেবী ভৈরবী
5>A-----------ছিন্নমস্তাদেবী
5>B-----------|छिन्नमस्ता रहस्||
6>--------------इसी को कहते हैं आनन्द से सच्चिदानन्द की खोज करना !
7>-------------মা তারা
8>-------------ধূমাবতীঃ এক তান্ত্রিক দেবী
বেদ বিশারদ গণপতি মুনি নিম্নলিখিত ভাষায় দেবীর বর্ণনা দিয়েছেন:
গণপতি মুনি, উমা সহস্রম্ ৩৮ , পৃ. ১৩—১৪,
9>------------কল্কির রুপক দেবী মাতঙ্গী
10>----------कालिका माता के 7 रहस्य जानें और सुख पाएं...
11>-----------दस महाविद्याओं में एक का नाम बगुला मुखी है।
12>------------माँ बगलामुखी
11>-----------दस महाविद्याओं में एक का नाम बगुला मुखी है।
12>------------माँ बगलामुखी
*****************************************************************************
শক্তিও মাতৃ আরাধনা
1)) কালী ক্ষেত্র কলিকাতা:--
" মা " কালী এবং কলিকাতার সঙ্গে সম্পর্ক নিতান্ত ঘনিষ্ঠ। শক্তিপীঠ কালীঘাট থেকেই কলকাতার গৌরব। চিতু ডাকাত বা রঘু ডাকাতের কালীর গল্প তো সুপরিচিত। কেওড়াতলা , কাশী মিত্র ঘাট কি গড়িয়ায় দেখা মেলে শশ্মানকালীর, এমনকী শিয়ালদহ অঞ্চলে শশ্মানকালীর মন্দিরও আছে। চেতলা এলাকা বহু বিচিত্র ধরনের সর্বজনীন কালীপ্রতিমার জন্য় বিদেশী গবেষকদের ও নজর কেড়েছে। কালীপ্রতিমার স্থায়ী মন্দির নিমতলার আনন্দময়ী , সিদ্ধেশ্বরী , করুণাময়ী , ঠনঠনিয়া, শ্যামবাজারের কালীমন্দির, বউবাজারের, ফিরিঙ্গি কালী কি পুঁটে কালী বিখ্যাত। তন্ত্রসাধক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে প্রতিষ্ঠা করেন অষ্টাদশভুজা গুহ্য়কালীমূর্তি। রামদুলাল সরকার স্ট্রিটে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের
" বসা কালী "এমনই আর এক দুর্লভ রূপ। মতিলাল বন্দ্যোপাধ্যায় বিডন স্ট্রিটে থাকাকালীন জঙ্গলঘেরা জায়গায় হঠাৎ
মাটির কালীমূর্তি দেখতে পান। স্থানীয় মিত্র পরিবার কালী প্রতিষ্ঠা করার জন্য় তাদের জায়গা দান করেন। ফি --বছর কালীপুজোর আট -দশ দিন আগে অঙ্গরাগ হয় একই মাটির প্রতিমায়।
কালীঘাট মন্দির টি আদি গঙ্গার তীরে অবস্থিত। পুরাণে পওয়াযায় , দক্ষযজ্ঞের পর বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের আঘাতে দেবীর
দক্ষিণ চরণের অঙ্গুলি পতিত হয়ে এই পীঠস্থান হয়েছে। বিখ্যাত একান্ন ( 51 ) পীঠের অন্যতম এই কালীঘাট।
বহুকাল ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে অনাদ্রিত অবস্থায় বেত, বাঁশ, কচু, লতাপাতা প্রভৃতির জঙ্গলের মধ্যে, আদিগঙ্গা থেকে
উৎপন্ন হ্রদের তীরে প্রস্তর খন্ডরুপী দেবী-অঙ্গ পড়ে ছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এইসব স্থানে ডোম, ধীবর প্রভৃতি
শ্রেনীর,কিছু লোক বাস করতে আরম্ভ করে। ঐ সময় বর্তমান মন্দিররের পূর্বদিকে বনের মধ্যে দিয়ে অপ্রশস্ত একটি পায়ে চলা পথ টালিগঞ্জের দিকে সোজা চলে গিয়েছিল। এখন এই রাস্তাটি "রসা রোড "নামে পরিচিত।
রসা পাগলা একজন বিখ্যাত ডাকাত , তার নাম অনুসারে এই রাস্তার নাম "রসা রোড। "
রাস্তার নিকটবর্তী জঙ্গলের ধরে বিভৎস বামাচারী, কাপালিক, তান্ত্রিক, সন্ন্যাসিগণ সুরাপান করে নরবলি দিয়ে
পাশবিক উপাচারে দেবীর পূজা করত। কিছু কিছু ভক্ত ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের অনুপস্থিতিতে মাঝে মাঝ্র দেবীর পূজা দিতে আসত। তবে তখন দেবীর কোন সুনির্দিষ্ট মন্দির ছিলনা।
এর কয়েকশো বছর আগে শঙ্করাচার্য়ের দশনামী সম্পদায়ের সন্যাসী ব্রহ্মানন্দ গিরি এবং আত্মানন্দ গিরি জঙ্গলাকীর্ণ
হ্রদের কাছে দিব্য় অনুভূতি লাভ করে প্রস্তররুপী দেবীর মুখমন্ডল উদ্ধার করেণ। ঐ সময় কিছু পাথর ও নুড়িও তাঁরা
দেখতে পান। একটি পর্নকুটির নির্মান করে তাঁরা প্রস্তর নির্মিত মুখমন্ডলটি স্থাপনা করে পূজার্চনা, ধ্যান, জপ,করতেন ,
তারপর কালে কত সাধক, সন্নাসী, ভক্ত, প্রেমিক,বানপ্রস্থবাসী, ব্রাহ্মণ, নৈষ্ঠিকব্রহ্মচারী, প্রভৃতি দেবীর সাধনা ও পূজা
করেছেন এবং দেবীর উপলব্ধি করে সিদ্ধ হয়েছেন।
____________________;___================
1/2> || কালীঘাটের মায়ের মূর্তি ||
কালী কথা।
কালীঘাট কালীমন্দিরের কষ্টিপাথরের কালীমূর্তিটি অভিনব রীতিতে নির্মিত। মায়ের মাথা সোনার মুকুটে শোভিত। রয়েছে সোনার তৈরি লম্বা জিভ যেটি গড়িয়ে দিয়েছিলেন পাইক পাড়ার রাজা ইন্দ্র চন্দ্র সিংহ এবং রুপোর তৈরি চারটি হাত যা তৈরি করে দিয়েছিলেন খিদিরপুরের গোকুল চন্দ্ৰ ঘোষাল। সেই হাত পরে সোনার করে দিয়েছিলেন কালী চরণ মল্লিক। ১০৮ সোনার মুন্ড মালা দান করেছিলেন ১৭৬৫ সালে পাতিয়ালার মহারাজ রাজা নবকৃষ্ণ। এছাড়া দেবীর মাথার উপরের সোনার ছাতা দান করেছিলেন নেপালের সেনাপতি জঙ্গ বাহাদুর। এছাড়াও আরও কয়েকটি সোনার ও রূপার ছাতা রয়েছে। চারহাতের চারগাছি সুবর্ণ কঙ্কণ চড়কডাঙা নিবাসী কালীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতামহ রামজয় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রদান করেন। মায়ের পদতলে রয়েছেন ১ মন ওজনের রূপার শিব। পেছনে রয়েছে ২৫ কেজি রূপার তৈরি নকশা করা চালচিত্র। উপরের বাম হাতে আছে ২ কেজি ওজনের সোনার খড়্গ। নিচের বাম হাতে আছে ১টি সোনার মুন্ড। ডান দিকের২ হাতে রয়েছে বর ও অভয় মুদ্রা। এইরূপ বহু স্বর্ণালংকার বহু ধনাঢ্য লোকের দ্বারা প্রদানকৃত। ১টি সিন্দুকে সতীর প্রস্তরীভূত অঙ্গটি রক্ষিত আছে; এটি কারোর সম্মুখে বের করা হয় না আর এটি ব্রহ্মবেদীর নিচে রয়েছে।
কালী কথা Kali Katha
(সংগ্রহীত)
<---আদ্যনাথ রায় চৌধুরী--->
===========================
1/3>|| কালীঘাটই কালীক্ষেত্র::---
(আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে সংগ্রহীত তথ্য);:::---
ভূত চতুর্দশীর চতুর্দশ দ্বীপদান ও অমাবস্যা তিথিতে শ্রীশ্রীশ্যমপূজা, উপলক্ষ্যে কালীক্ষেত্রে আজ আলোর উৎসব, বহু কাল থেকে মেনে চলা
নিজের ঐতিহ্য ও উৎসবে মেতে ওঠের মাহেন্দ্রক্ষণ। কালীক্ষেত্র মানে যে কালীঘাট, সকলেই জানেন। কিন্তু এই অর্থ এক দিনে দাঁড়ায়নি। ১৮৭৩ সালে ইন্ডিয়ান অ্যান্টিকোয়ারি পত্রিকায় পদ্মনাভ ঘোষাল লিখেছিলেন, বেহালা থেকে দক্ষিণেশ্বর অবধি বিস্তৃত কলকাতা অতি প্রাচীন শহর। সতীর দেহাংশ এখানে পড়েছিল, তাই এই অঞ্চল কালীক্ষেত্র নামে খ্যাত। কলকাতা নামটি এই কালীক্ষেত্রের অপভ্রংশ। ঠিক কোন জায়গায় সতীর দেহাংশ পড়েছিল, পদ্মনাভ জানাননি। ১৮৯১ সালে মাইকেল মধুসূদন দত্তের হিন্দু কলেজের সহপাঠী গৌরদাস বসাক আবার লন্ডন, বস্টন ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত দ্য ক্যালকাটা রিভিউ-তে জানাচ্ছেন, কালীঘাটই কালীক্ষেত্র। নবাব মহব্বত খান দেবীর সেবার জন্য কলকাতা গ্রামের কিছু জমি দান করেন। সেখান থেকেই শহরের নাম। তাই ১৮৪১ সালের বেঙ্গল অ্যান্ড আগরা গেজ়েটিয়ার-এও দেবী কালীকে উৎসর্গীকৃত গ্রামের নাম কলকাতা।
(বস্তুত, অন্য এক কাহিনিতে পলাশির যুদ্ধের ঢের আগে নবাব আলিবর্দি খান ও নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এক দিন নৌকা সফরে বেরিয়েছেন, সন্ধ্যাবেলায় দেখলেন, জঙ্গলের মাঝে ছোট্ট কুটিরে এক সাধু প্রদীপ জ্বালিয়ে কালীমূর্তির পুজোয় ব্যস্ত। দেবীসেবার জন্য নবাব সেই সাধুকে জমি দান করলেন। কালীঘাটের মন্দির সংক্রান্ত ইতিকথার সামনে বাঙালির হিন্দু বনাম মুসলমান দ্বৈরথের অর্বাচীন প্রকল্প দাঁড়াতে পারবে না।)
দাঁড়াতে পারবে না আরও অনেক বিভেদ বিভাজন। কালীঘাটে দক্ষিণেশ্বরের মতো পঞ্চবটী নেই। বরং নাটমন্দিরের অদূরে আছে ষষ্ঠীতলা। পাশাপাশি দু’টি বেদি, একটি মা ষষ্ঠীর, অন্যটি মনসার। দু’টিই নাকি বৈদান্তিক দশনামী সম্প্রদায়ের দুই সন্ন্যাসীর সমাধিবেদি। একটি চৌরঙ্গি গিরির, অন্যটি জঙ্গল গিরির। গৌরদাস বসাক জানাচ্ছেন, চৌরঙ্গি গিরি কালীপ্রতিমা আবিষ্কার করে শিষ্য জঙ্গল গিরির হাতে সেবার দায়িত্ব দিয়ে গঙ্গাসাগর চলে যান। তাঁর নামেই আজকের চৌরঙ্গি এলাকা। কালীমন্দিরের পুরাকথায় জড়িয়ে থাকলেন দুই বৈদান্তিক সন্ন্যাসীও। এবং সেখানেই শেষ নয়। অধুনা ষষ্ঠী ও মনসা নামের দুই লৌকিক দেবীর থানে পরিবর্তিত তাঁরা। নাটমন্দিরের পিছনেই রাধাকৃষ্ণ মন্দির। ১৮৪৩ সালে তৈরি সেই মন্দিরে আলাদা রান্নাঘরে রোজ নিরামিষ ভোগ রান্না। আবার, ভক্তরা বলিপ্রদত্ত ছাগ বা মেষ নিয়ে হাড়িকাঠতলায় আসেন। দিনের প্রথম বলির মুণ্ড ও কিছু অংশ যায় দুপুরে মা কালীর ভোগ হিসাবে। কোনও সম্প্রদায়গত বিভেদ না রেখে একই মন্দির চত্বরে কালী ও রাধাকৃষ্ণ— এখানেই কালীঘাটের দৈবী মাহাত্ম্য। আজও ভিখারি, যৌনকর্মী, পটুয়াপাড়া বেয়ে মন্দিরের অদূরে সন্ত টেরিজ়ার আশ্রম, চেতলায় মসজিদ, ট্রাম রাস্তা পেরিয়ে গ্রিক অর্থোডক্স গির্জা, রাসবিহারী মোড়ে শিখ গুরুদ্বার, সব মিলিয়ে এই এলাকা প্রায় ক্ষুদ্র ভারত।
কলকাতার জন্মকাহিনিতে কালীক্ষেত্র কালীঘাটের মহিমা ব্রিটিশরা মানবেন কেন? তাঁরা যখন তাঁদের প্রিয় বাণিজ্যনগরী নিয়ে লিখতে বসলেন, সেই সব লেখায় শুধুই জোব চার্নকের স্তুতি। তার আগে কলকাতা নাকি জনমানবহীন অস্বাস্থ্যকর জলা জমি ছিল, কোনও মন্দিরের উল্লেখও তাঁদের লেখায় নেই। ইংরেজি-শিক্ষিত গৌরদাস বসাক, অতুলকৃষ্ণ রায়, প্রাণকৃষ্ণ দত্তরা তখনই কালীঘাট-মাহাত্ম্য লিখতে শুরু করলেন। চার্নক ও ইংরেজের অবদান তাঁরা অস্বীকার করলেন না, কিন্তু কালীঘাট যে ঢের আগে থেকে পুণ্যক্ষেত্র, সেটিই তাঁদের প্রতিপাদ্য। ইংরেজি-শিক্ষিত নব্য ভদ্রলোকেরা মন্দিরকে প্রাধান্য দিলেন ঠিকই, কিন্তু অতুলকৃষ্ণ রায় ও প্রাণকৃষ্ণ দত্তের কালীকাহিনি শুরু হল কলকাতার ভূতাত্ত্বিক গড়ন দিয়ে। নেটিভ শহরের প্রান্তে অবস্থিত মন্দির, অথচ সবাই লিখছেন, কালীক্ষেত্রকে কেন্দ্র করেই শহর। অতঃপর কেউ লিখলেন, এখানে বল্লাল সেনের আমল থেকে জনবসতি। গৌরদাস বসাক জানালেন, এত প্রাচীন নয়, জনবসতির সূত্রপাত শেঠ, বসাকদের আমল থেকে। সূর্যকুমার হালদার আবার তাঁর পূর্বপুরুষদের কথা বলতে গিয়ে কালীক্ষেত্র-দীপিকায় লিখছেন, নবাব আলিবর্দি খান সেনাবাহিনীর হিন্দু হাবিলদারদের ‘হালদার’ পদবিতে ভূষিত করে কালীঘাটে জমিজিরেত দিতেন। তাঁরাই আজকের হালদার সেবায়তদের পূর্বসূরি। হিন্দু মন্দির-কেন্দ্রিক নব্য জাতীয়তাও সে দিন হিন্দু-মুসলমানে বিভেদ করেনি। কোন কাহিনির কতখানি প্রামাণ্য, কতটা নয়, সে অন্য তর্ক। কিন্তু একটা কথা পরিষ্কার। কালীঘাটের মজ্জায় হরেক বিভেদকে তুচ্ছ করে দেওয়ার ঐতিহ্য অন্তঃসলিলা হয়ে আছে। জরুরি ঐতিহ্য।
=============================
2>বিভিন্ন রুপে কালী মাতা
তন্ত্র ও পুরাণে দেবী কালীর একাধিক রূপভেদের কথা পাওয়া যায়। তোড়ল তন্ত্র মতে কালী অষ্টধা বা অষ্টবিধ। যথা – দক্ষিণাকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকা
লী, মহাকালী,ভদ্রকালী, চামুণ্ডাকালী, শ্মশানকালী ও শ্রীকালী। মহাকাল সংহিতা অনুসারে আবার কালী নববিধা। এই তালিকা থেকেই পাওয়া যায় কালকালী, কামকলাকালী, ধনদাকালী ও চণ্ডিকাকালীর নাম।এখানে কালীর বিভিন্ন রুপ সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেওয়া হলঃ
কালীপূজার ইতিহাস
কালীপূজা বা শ্যামাপূজা হিন্দু দেবী কালীর পূজাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত একটি হিন্দু উৎসব। প্রধানত বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে এই উৎসব উপলক্ষ্যে প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষিত হয়। বাংলায় গৃহে বা মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত কালীপ্রতিমার নিত্যপূজা হয়ে থাকে। আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিতে অনুষ্ঠিত সাংবাৎসরিক দীপান্বিতা কালীপূজা বিশেষ জনপ্রিয়। এই দিন আলোকসজ্জা ও আতসবাজির উৎসবের মধ্য দিয়ে সারা রাত্রিব্যাপী কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, দীপান্বিতা কালীপূজার দিনটিতে ভারতের অন্যান্য জায়গায় দীপাবলি উৎসব পালিত হয়। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এই দিন লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত হলেও বাঙালি, অসমীয়া ও ওড়িয়ারা এই দিন কালীপূজা করে থাকেন। এছাড়া মাঘ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে রটন্তী এবং জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে ফলহারিণী কালীপূজাও যথেষ্ট জনপ্রিয়
=============================
3>স্ত্রী শক্তির দেবী কমলাকামিনী
হিন্দু পুরানের দশমহাবিদ্যার অন্যতম দেবী কমলা কামিনী । কমলাকামিনী বরাভয় প্রদায়িনী শুদ্ধ চৈতন্যের দেবী। ভাগ্যদেবী লক্ষ্মীর অন্যরূপ। তান্ত্রিক লক্ষ্মী নামেও তিনি পরিচিত। কমলা মানে হচ্ছে পদ্ম । কমলাকামিনী দেবীর যে রুপ কল্পনা করা হয় তাতে দেখা যায় যে, দেবীকে চারটি বড় হাতি স্নান করাচ্ছেন এবং দেবী পন্মের উপর বসে আছেন । তারচারটি হাত আছে দুই হাতে কামিনী আর অন্য দুই হাত রয়েছে আশির্বাদ দেবার ভংগিতে । দেবীকে মূলত বিশুদ্ধতার প্রতিক হিসাবে দেখানো হয়েছে। কমলার সঙ্গে সমৃদ্ধি ও সম্পদ, উর্বরতা ও ফসল, এবং সৌভাগ্য এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ এবং পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত উপাদান রয়েছে।
কমলা হল প্রথম এবং প্রধান স্ত্রী শক্তি । অনেকে কমলা কে স্ত্রীযোনীর সংগে তুলনা করে থাকেন । সুন্দরের প্রতীক হিসাবে আমরা যে সকল দেবীকে পাই তাদের মধ্যে অন্যতম হল এই কমলা কামিনী দেবী। কোথাও কোথাও তাকে কমলা সুন্দরী ও বলা হয়েছে । বাচ্চাদের কাছে একটি গল্পের মাধ্যমে প্রথম প্রথম যৌনতা সম্পর্কে জানানো হয়ে থাকে আর তা হল ফুলের উপর মৌমাছির পরাগায়ন । এখানে ফুলকে স্ত্রী অংগ আর মৌমাছিকে পুরূষ হিসাবে দেখানো হয় । সেক্ষেত্রে পদ্ম হল একটি ফুল এবং যা দেখতে অনেকটা স্ত্রী যৌনাংগের মত বিধায় এই কমলাকামিনীকে দ্বিতীয় মহামন্ত্র দ্বারা পূজা করা হয়ে থাকে । মনে করা হয় যে শিবের “ওম” এর পরেই “ইম” মন্ত্রের অবস্থান ।
তার সাধনার জন্য হলুদ কাপড় পড়ে আহুতি দিতে হয়। তবেতার মন্দির সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য আমার এই মূহুর্ত পর্যন্ত জানা নাই । তবে তার রুপটি ইউটিউবের এই লিংক এ গিয়ে দেখে আসতে পারেন
===================================
4>দেবী ভৈরবী
ভৈরবী মূলত ভৈরব এর স্ত্রী রুপ। এ রুপটি দেবী কালীর আরেকটি রুপ। কালীর মতই প্রায় একইরকম হিংস্র ও আতংককর দৃষ্টিভঙ্গি বিশিষ্ট্য একটি রুপ।
তাকে সুভংকরী বলা হয় তিনি ভালর জন্য ভাল মা এবং খারাপের জন্য ভয়ংকর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন। তিনি বালা বা ত্রিপুরা ভৈরবী হিসাবেও পরিচিত।
সংগীতে দেবীঃ উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে ঠাট ও রাগ বিশেষ কে ভৈরবী নামে অভিহিত করা হয় মূলত দেবীর নামের সঙ্গে মিল রেখেই।
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে— চৌষট্টি যোগিনীর মধ্যে প্রধানা। ইনি ছিলেন দুর্গার সহচরী ও তাঁরই মত পূজনীয়া। ইনি বিভিন্ন সময়ে দেবীর সহযোগী শক্তি হিসাবে দেবীকে সাহায্য করতেন। দক্ষযজ্ঞে দক্ষ মহাদেবের নিন্দা করলে, সতীর আত্মহত্যা করেন। এরপর মহাদেব দক্ষযজ্ঞ ধ্বংস করেন এবং সতীরে মৃতদেহ নিয়ে তাণ্ডব নৃত্য শুরু করেন। এর ফলে পৃথিবী ধ্বংসের উপক্রম হয়। পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য- বিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্রের দ্বারা সতীর দেহকে ৬৪ খণ্ডেবিভাজিত করেন। সতীদেহের খণ্ডিত অংশ যে সকল পতিত হয়েছিল, সে সকল স্থান পীঠস্থান নামে পরিচিত। এই সকল পীঠস্থানের অধিষ্ঠাত্রী দেবতারা সাধারণ ভাভৈরবীর বে ভৈরব নামে অভিহিত হন। ভৈরবী হলো— ভৈরবের স্ত্রী সত্তার নাম। এই ঠাট ও রাগের নাম পৌরাণিক দৈবসত্তা নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে।
মন্দিরঃ অনেক দক্ষিণ ভারতীয় মন্দিরে বালা ত্রিপুরা দেবী হিসেবে দেবী ভৈরবী পূজিতা হয়। তারবিখ্যাত মন্দির হল পুরীর ভিমলায় অবস্থিত জগন্নাথ মন্দির। ভিমলা মন্দির ভৈরবী মন্দির নামে
================================
5>A== ছিন্নমস্তাদেবী
ছিন্নমস্তা একজন হিন্দু দেবী। তিনি দশমহাবিদ্যার অন্যতমা এবং মহাশক্তির একটি ভীষণা রূপ। ছিন্নমস্তা দেবী ছিন্নমস্তিকা বা প্রচণ্ড চণ্ডিকা নামেও পরিচিতা। তাঁর ভয়ংকর মূর্তিটি দেখে সহজেই তাঁকে চেনা যায়। তিনি এক হাতে থাকে তাঁর নিজের ছিন্ন মুণ্ড, অপর হাতে থাকে একটি কাতরি; দেবীর কবন্ধ থেকে তিনটি রক্তধারা নির্গত হয়ে একটি তাঁর নিজের মুখে এবং অপর দুটি তাঁর দুই সহচরীর মুখে প্রবেশ করে। ছিন্নমস্তা সাধারণত রতিসংগমরত যুগলের দেহের উপর দণ্ডায়মান অবস্থায় কল্পিতা হন।
উৎস
ছিন্নমস্তা আত্মবলিদান ও কুণ্ডলিনী জাগরণের দেবী। তাঁকে একাধারে যৌনসংযম ও যৌনশক্তির প্রতীক মনে করা হয়। অন্যদিকে তিনি একাধারে দিব্যজননীর জীবনদাত্রী ও জীবনহন্তা সত্ত্বারও প্রতীক। তাঁর আত্মবলিদানের কিংবদন্তিটির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর মাতৃসত্ত্বা, যৌন কর্তৃত্ব ও আত্মবিধ্বংসী ক্রোধ। দশমহাবিদ্যার অন্যতমা হলেও এককভাবেও তাঁর পূজা প্রচলিত। উত্তর ভারত ও নেপালে ছিন্নমস্তার একাধিক মন্দির রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর শহরের ছিন্নমস্তা মন্দিরটিও প্রসিদ্ধ। তবে গৃহস্থবাড়িতে তাঁর পূজা করা হয় না। তার কারণ, লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি এক ভীষণা দেবী এবং তাঁর পূজা করা বা দর্শন কামনা করা বিপজ্জনক। কেবলমাত্র তান্ত্রিক, যোগী ও সর্বত্যাগীগণ বীরাচার মতে তাঁর পূজা করে থাকেন।
হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মে ছিন্নমস্তার পূজা প্রচলিত। তিব্বতি বৌদ্ধ দেবী বজ্রযোগিনীর ছিন্নমুণ্ডা রূপটির সঙ্গে দেবী ছিন্নমস্তার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। তিনি দেবী বজ্রযোগিনী বা বজ্রবারাহীর ছিন্নমস্তক মূর্তি।
বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্রে বৌদ্ধ ছিন্নমুণ্ডার একটি জন্মবৃত্তান্ত বর্ণিত হয়েছে। কৃষ্ণাচার্যের শিষ্যা ছিলেন দুই বোন মেখলা ও কনখলা। তাঁরা ছিলেন মহাসিদ্ধা। তাঁরা নিজেদের মাথা কেটে গুরুকে উপহার দেন এবং তারপর নৃত্য করেন। দেবী বজ্রযোগিনী সেই রূপেই সেখানে উপস্থিত হন এবং তাঁদের সঙ্গে নৃত্যে যোগ দেন। অন্য একটি কাহিনি অনুসারে, পদ্মসম্ভবের এক শিষ্যা পূর্বজন্মে ছিলেন রাজকুমারী লক্ষ্মীঙ্করা। রাজশাস্তি গ্রহণ করে তিনি নিজের মাথা কেটে নগর পরিক্রমা করেন। নগরবাসী তাঁকে ছিন্নমুণ্ডা-বজ্রবারাহী রূপে পূজা করে।
গবেষক বি. ভট্টাচার্য বৌদ্ধ সাধনমালা (১১৫৬ খ্রিষ্টাব্দ), হিন্দু ছিন্নমস্তাকল্প ও তন্ত্রসার (সপ্তদশ শতাব্দী) প্রভৃতি গ্রন্থ আলোচনা করে দেখিয়েছেন যে, বৌদ্ধ ছিন্নমুণ্ডা ও হিন্দু ছিন্নমস্তা একই দেবী। কেবলমাত্র দেবী ছিন্নমস্তা নাগযজ্ঞোপবীতধারিণী এবং রতি-কামদেবের উপর দণ্ডায়মানা। বৌদ্ধ সাধনমালা গ্রন্থে তাঁর নাম সর্ববুদ্ধা এবং তাঁর সহচরীদের নাম বজ্রবৈরোচনী ও বজ্রবর্ণনী। হিন্দু তন্ত্রসার গ্রন্থে তাঁর নাম সর্বসিদ্ধি এবং তাঁর সহচরীগণ হলেন ডাকিনী, বৈরোচনী ও বর্ণনী। ছিন্নমস্তাকল্প গ্রন্থে দেবীর নাম সর্ববুদ্ধি এবং তাঁর সহচরীদের নাম বৌদ্ধ গ্রন্থের অনুরূপ। ভট্টাচার্যের মতে, সপ্তম শতাব্দীতে পূজিত বৌদ্ধ ছিন্নমুণ্ডা দেবীই হিন্দু ছিন্নমস্তার উৎস।
তবে ভট্টাচার্যের মতামত বিতর্কিত।শঙ্করনারায়ণন প্রমুখ গবেষক ছিন্নমস্তার বৈদিক (প্রাচীন ভারতীয়) উৎস সন্ধান করেছেন। এস. ভট্টাচার্যের মতে বৈদিক দেবী নিঋতির বৈশিষ্ট্যাবলি পরবর্তীকালে কালী, চামুণ্ডা, করালী ও ছিন্নমস্তার মধ্যে সঞ্চারিত হয়। শাক্ত মহাভাগবত পুরাণ (৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ) ও দেবীভাগবত পুরাণ নামে উপপুরাণ দুটিই প্রথম হিন্দু গ্রন্থ যাতে ছিন্নমস্তার উল্লেখ পাওয়া যায়। বারনার্ড বলেছেন, উৎস যাই হোক না কেন, একথা স্পষ্ট যে খ্রিষ্টীয় নবম শতাব্দীতে ছিন্নমস্তা বা ছিন্নমুণ্ডার পূজা প্রচলিত ছিল এবং মহাসিদ্ধারা তাঁর পূজা করতেন। ভ্যান কুইজ ছিন্নমুণ্ডা ছাড়ায় তান্ত্রিক দেবী বারাহী ও চামুণ্ডার মধ্যেও ছিন্নমস্তার কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন।
ডেভিড কিংসলে ছিন্নমস্তার বৌদ্ধ উৎসের তত্ত্বটি মেনে নিলেও, অন্যান্য প্রভাবের কথাও বলেছেন। তাঁর মতে, মহাবিদ্যার ধারণাটি সম্ভবত খ্রিষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর পূর্ববর্তী নয়।যে সকল প্রাচীন হিন্দু দেবীর মূর্তি নগ্ন ও কবন্ধের আকারে কল্পিত হত, তাঁরা ছিন্নমস্তার বিবর্তনে কিছু ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই সকল দেবীর যৌন অঙ্গের প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার জন্য এঁদের কবন্ধ আকারে কল্পনা করা হত। এই জন্য এঁদের যৌনশক্তির প্রতীক মনে করা হয়। তবে এই তত্ত্ব স্বমস্তক ছিন্ন করার বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে না।কুচক্রী যুদ্ধদেবী কোটাভী ও দক্ষিণ ভারতীয় মৃগয়া দেবী কোরাভাই ছিন্নমস্তার রূপকল্পনায় অনুপ্রেরণার কাজ করে থাকবেন। কোটাভীকে কোথাও কোথাও মাতৃকা রূপে কল্পনা করা হয়েছে। তিনি নগ্না, বিস্রস্ত বসনা এবং ভীষণা। বিষ্ণু পুরাণ ও ভাগবত পুরাণে একাধিক স্থানে তাঁকে বিষ্ণুর শত্রু রূপে কল্পনা করা হয়েছে। ভীষণা দেবী কোরাভাইও যুদ্ধ ও বিজয়ের দেবী। দুজনেরই সম্পর্ক রয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রের সঙ্গে, কিন্তু ছিন্নমস্তার তা নেই।কিংসলে বলেছেন, হিন্দু পুরাণে একাধিক রক্তপিপাসু, নগ্ন ও ভীষণা দেবী ও দানবীর উল্লেখ থাকলেও, ছিন্নমস্তাই একমাত্র দেবী যাঁকে ভয়াল নিজমুণ্ড-ছিন্নকারিণী রূপে কল্পনা করা হয়।
কিংবদন্তি ও শাস্ত্রোল্লেখ
বিভিন্ন স্তোত্রে ছিন্নমস্তাকে পঞ্চম মহাবিদ্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিংসলে বলেছেন, মহাবিদ্যার বর্ণনায় ও তালিকায় কালী, তারা ও ছিন্নমস্তাই সর্বপ্রধান। যদিও মহাবিদ্যার বাইরে তাঁর অস্তিত্ব নগণ্য।গুহ্যাতিগুহ্য তন্ত্র গ্রন্থে বিষ্ণুর দশাবতারের সঙ্গে দশমহাবিদ্যার সম্পর্ক প্রদর্শিত হয়েছে; এই গ্রন্থ মতে, নরসিংহ অবতারের উৎস ছিন্নমস্তা।[১৩] মুণ্ডমালা গ্রন্থে অনুরূপ একটি তালিকায় ছিন্নমস্তার সঙ্গে পরশুরামের তুলনা করা হয়েছে।
শাক্ত মহাভাগবত পুরাণ গ্রন্থে ছিন্নমস্তা সহ দশমহাবিদ্যার উৎপত্তি-সংক্রান্ত একটি উপাখ্যান রয়েছে। দক্ষের কন্যা দাক্ষায়ণী ছিলেন শিবের প্রথমা স্ত্রী। দক্ষ তাঁর যজ্ঞানুষ্ঠানে শিবকে নিমন্ত্রণ না জানালে, দাক্ষায়ণী অপমানিত বোধ করেন। তিনি বিনা আমন্ত্রণেই যজ্ঞে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে শিবকে পীড়াপীড়ি করতে থাকেন। কিন্তু শিব রাজি হন না। তখন দাক্ষায়ণী ভীষণা দশ মূর্তি ধারণ করে দশ দিক থেকে শিবকে ঘিরে ধরেন। এই দশ মূর্তিই দশমহাবিদ্যা নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। ছিন্নমস্তা পশ্চিমে শিবের ডানদিকে অবস্থান করেছিলেন।আর একটি কিংবদন্তি অনুসারে, সতী নন, শিবের দ্বিতীয়া পত্নী পার্বতীকে দশমহাবিদ্যার উৎস বলা হয়েছে। পার্বতী ছিলেন সতী অথবা প্রধানা মহাবিদ্যা কালীর অবতার। পার্বতী দশমহাবিদ্যার সাহায্যে শিবকে তাঁর পিতৃগৃহ ছেড়ে যেতে বাধা দেন। শিব পার্বতীর সঙ্গে থেকে থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই তিনি পার্বতীকে ত্যাগ করতে গিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় কালী তাঁকে জ্ঞান প্রদান করেন এবং নিরস্ত করেন।দেবীভাগবত পুরাণ মতে, দশমহাবিদ্যা দেবী শাকম্ভরীর যুদ্ধসঙ্গী ও রূপান্তর।
প্রাণতোষিণী তন্ত্র গ্রন্থে ছিন্নমস্তার জন্মসংক্রান্ত দুটি কাহিনি বিবৃত হয়েছে। একটি কাহিনি নারদ-পঞ্চরাত্র থেকে গৃহীত বলে দাবি করা হয়েছে। এই কাহিনি অনুযায়ী, একদা মন্দাকিনী নদীতে স্নানকালে পার্বতী কামার্ত হয়ে পড়েন। ফলে তাঁর গাত্রবর্ণ কালো হয়ে যায়। এই সময় তাঁর দুই সহচরী ডাকিনী ও বর্ণনী (এঁরা জয়া ও বিজয়া নামেও পরিচিত) ক্ষুধার্ত হয়ে দেবীর নিকট খাদ্য প্রার্থনা করতে থাকেন। পার্বতী গৃহে ফিরে তাঁদের খেতে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু সহচরীদের ক্ষুধার্ত অবস্থা দেখে কাতর হয়ে দয়ার্দ্রহৃদয় দেবী নিজ নখরাঘাতে স্বমস্তক ছিন্ন করে নিজ রক্ত দিয়ে তাঁদের ক্ষুণ্ণিবৃত্তি করেন। পরে তাঁরা গৃহে ফিরে আসেন। অপর কাহিনিটি প্রাণতোষিণী তন্ত্র গ্রন্থে স্বতন্ত্রতন্ত্র গ্রন্থ থেকে গৃহীত বলে দাবি করা হয়েছে। এই কাহিনিটি শিব নিজে বর্ণনা করেছেন: একদা তিনি ও তাঁর পত্নী চণ্ডিকা (পার্বতী) রতিসংগমে রত ছিলেন। চণ্ডিকা ছিলেন বিপরীত রতিতে। কিন্তু শিবের বীর্যস্খলনে তিনি ক্রুদ্ধা হলেন। তখন তাঁর দেহ থেকে ডাকিনী ও বর্ণনী নামে দুই সহচরীর জন্ম হল। কাহিনির অবশিষ্টাংশ পূর্বকথিত কাহিনিটির অনুরূপ। যদিও এই কাহিনিতে নদীটির নাম হল পুষ্পভদ্রা এবং ছিন্নমস্তার জন্মতিথিটিকে বলা হয়েছে বীররাত্রি। শক্তিসংগম তন্ত্র গ্রন্থে এই কাহিনিটি পুনঃকথিত হয়েছে।
একটি লোকশ্রুতি অনুযায়ী, দেবাসুর যুদ্ধে দেবগণ মহাশক্তির সাহায্য প্রার্থনা করলে দেবী প্রচণ্ড চণ্ডিকা দেবগণের সাহায্যার্থে উপস্থিত হন। সকল দৈত্য বধের পর ক্রোধন্মত্তা দেবী নিজ মস্তক কর্তন করে নিজ রক্ত পান করেন। শাক্তপ্রমোদ গ্রন্থে ছিন্নমস্তা শতনাম স্তোত্রে প্রচণ্ড চণ্ডিকা দেবী ছিন্নমস্তারই অপর নাম।অপর একটি লোকশ্রুতি অনুযায়ী, সমুদ্রমন্থনের সময় উত্থিত অমৃত দেবাসুরের মধ্যে বণ্টিত হলে, ছিন্নমস্তা অসুরদের ভাগটি পান করেন এবং তারপর অসুরদের অমৃত থেকে বঞ্চিত করতে স্বমস্তক ছিন্ন করেন।
ছিন্নমস্তা-সংক্রান্ত কিংবদন্তিগুলির মূল উপজীব্য বিষয় হল আত্মত্যাগ – মায়ের আত্মত্যাগ (প্রাণতোষিণী তন্ত্র গ্রন্থের কাহিনিদ্বয়) বা জগতের হিতার্থে আত্মত্যাগ (দ্বিতীয় জনশ্রুতি)। এই কিংবদন্তির অপর উপজীব্য হল যৌন কর্তৃত্ব স্থাপন (প্রাণতোষিণী তন্ত্র গ্রন্থের দ্বিতীয় কাহিনি) বা আত্মবিধ্বংসী ক্রোধ (প্রথম লোকশ্রুতি)।
মূর্তিতত্ত্ব
ছিন্নমস্তার গাত্রবর্ণ জবাফুলের ন্যায় লাল অথবা কোটিসূর্যের ন্যায় উজ্জ্বল। তিনি সাধারণত নগ্না এবং আলুলায়িত কুন্তলা। ছিন্নমস্তা ষোড়শী এবং পীনোন্নত পয়োধরা, তাঁর হৃদয়ের নিকট একটি নীলপদ্ম বিদ্যমান। তিনি নাগযজ্ঞোপবীত ধারণ করে থাকেন। তাঁর গলদেশে অন্যান্য অলংকারের সঙ্গে নরকরোটি বা ছিন্নমুণ্ডের মালা দোদুল্যমান। বাম হাতে তিনি নিজমুণ্ড ধারণ করে থাকেন। কোনো কোনো মূর্তিতে তিনি থালা বা নরকপালের উপর নিজমুণ্ড ধারণ করেন। দেবীর ডান হাতে একটি কাতরি থাকে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর মস্তক ছিন্ন করেন। ছিন্নমস্তকে মুকুট ও অন্যান্য অলংকার দেখা যায়। তাঁর কবন্ধ থেকে তিনটি রক্তধারা ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসতেও দেখা যায়। একটি রক্তধারা তাঁর এবং অপর দুটি তাঁর দুই যোগিনী সহচরীর মুখে প্রবেশ করে। তাঁর দুই সহচরী – বামে ডাকিনী ও ডানে বর্ণনী – উভয়েই নগ্না, জটাজুটধারিণী বা আলুলায়িত কুন্তলা, ত্রিনয়না, পীনোন্নত-পয়োধরা, নাগযজ্ঞোপবীতধারিণী, বাম হস্তে নরকপাল ও দক্ষিণ হস্তে কাতরিধারিণী। ডাকিনী কৃষ্ণবর্ণা; তিনি তমোগুণের প্রতীক এবং বর্ণনী রক্তবর্ণা, তিনি রজোগুণের প্রতীক। দক্ষিণ পদ প্রসারিত ও বামপদ ঈষৎ বঙ্কিম অবস্থায় ছিন্নমস্তা কাম ও রতির দেহের উপর যুদ্ধভঙ্গিমায় দণ্ডায়মানা। কাম ও রতি উভয়েই প্রেমের দেবতা। কাম যৌনকামনার প্রতীক। তাঁর দেহের উপর বিপরীত রতি ভঙ্গিমায় যৌনসংগমরত অবস্থায় রয়েছেন কামপত্নী রতি। কাম-রতি শায়িত রয়েছেন পদ্মের উপর এবং দেবীর পশ্চাদপটে রয়েছে শ্মশানঘাট। ছিন্নমস্তার এই জনপ্রিয় রূপটিই তন্ত্রসার ও ত্রিশক্তিতন্ত্র গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।
অনেক সময় দেবীর সহচরীগণ হাতে ছিন্নমুণ্ড (তাঁদের নিজেদের নয়) ধারণ করে থাকেন।কোথাও কোথাও কাম-রতির বদলে কৃষ্ণ ও রাধাকে দেবীর পদতলে দেখা যায়। কোনো কোনো মূর্তিতে যুগলের তলায় পদ্মের বদলে চিতাসজ্জা লক্ষিত হয়। কোথাও কোথাও যুগলকে ছাড়াই ছিন্নমস্তা মূর্তি কল্পিত হয়। কোনো মূর্তিতে আবার দেবীর তলায় তাঁর স্বামী শিবকে দেখা যায়; এই মূর্তিতে দেবী হাঁটু মুড়ে বসে শিবের সঙ্গে রতিসংগমরত অবস্থায় থাকেন।
ছিন্নমস্তার জনপ্রিয় মূর্তিকল্পটি পীতবর্ণা ছিন্নমস্তক বৌদ্ধ দেবী বজ্রযোগিনীর সমতুল্য। কেবল বজ্রযোগিনী মূর্তিকে যুগলকে দেখা যায় না এবং ছিন্নমস্তা রক্তবর্ণা।
ছিন্নমস্তা তন্ত্র গ্রন্থের বর্ণনা অনুযায়ী, দেবী কামদেবের উপর উপবিষ্টা, দণ্ডায়মানা নন। সেই সঙ্গে দেবী ত্রিনয়না এবং কপালে সর্পবেষ্টিত রত্নশোভিতা। তাঁর স্তনযুগল পদ্মবিভূষিত। তন্ত্রসার গ্রন্থের একটি বর্ণনা অনুযায়ী, দেবী নিরাকারা ও নিজ নাভিদেশে উপবিষ্টা। কথিত আছে, এই মূর্তিটি কেবল ধ্যানচক্ষেই দেখা সম্ভব।
কোনো কোনো বর্ণনায় ছিন্নমস্তা চতুর্ভূজা। এক্ষেত্রে দেবীর পদতলে যুগলকে দেখা যায় না। তিনি তৃণক্ষেত্রের উপর উপবিষ্টা। তাঁর দক্ষিণ হস্তদ্বয়ের উপরের হস্তে রক্তমাখা তরবারি ও নিচের হস্তে ব্রহ্মার ন্যায় একটি শ্মশ্রুমণ্ডিত ছিন্নমুণ্ড; বাম হস্তদ্বয়ের উপরের হস্তে নিজ ছিন্ন মুণ্ড এবং নিচের হস্তে রক্তময় নরকপাল। দুই নরকঙ্কাল তাঁর দুই সহচরী। তাঁরা রক্তপানরতা। দুটি শৃগাল দেবী ও ব্রহ্মার মুণ্ডের রক্তপান রত।
গবেষক ভ্যান কুইজের মতে, ছিন্নমস্তার মূর্তিকল্পে বীর ও ভয়ানক রসের প্রতিফলন ঘটেছে। যুগলমূর্তিটি শৃঙ্গার রসের প্রতিফলন। মূর্তির প্রধান বিষয় হল নিজ ছিন্নমুণ্ডের রক্ত উৎসর্গ ও পান এবং যুগল মর্দন।
প্রতীকতত্ত্ব ও তৎসম্পর্কিত বিষয়সমূহ
ছিন্নমস্তা রূপের অর্থ জীবন, মৃত্যু ও যৌনতা পরস্পর স্বাধীন। ছিন্নমস্তার মূর্তি একটি চিরন্তন সত্যের বাহক: \"জীবনকে বহন করে মৃত্যু, জীবন মৃত্যুর দ্বারা পুষ্ট হয়, এবং জীবনই মৃত্যুকে যাথার্থতা দান করে। এবং যৌনতার সর্বশেষ লক্ষ্য হল আরও জীবন সৃষ্টি করা। এই সব নতুন জীবনও তারপর নব নব জীবনকে বহন করার স্বার্থে জরাগ্রস্থ হয় এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুতে বিলীন হয়।\" পদ্ম ও যৌনসংগমরত যুগল জীবন ও জীবনসৃষ্টির আকুলতার প্রতীক। এরা ছিন্নমস্তক দেবীকে জীবনীশক্তি প্রদান করে। দেবীর কবন্ধ থেকে রক্তের নির্গমন মৃত্যু ও জীবনীশক্তি ক্ষয়ের প্রতীক। এই ক্ষয়িত শক্তি তাঁর সহচরী যোগিনীদের মুখে প্রবেশ করে তাঁদের পুষ্ট করে। গবেষক পি. পাল ছিন্নমস্তাকে ত্যাগ ও সৃষ্টির পুনর্নবীকরণ ধারণার সঙ্গে যুক্ত করেছেন। ছিন্নমস্তা নিজেকে ও নিজের রক্তকে উৎসর্গ করেছেন। সেই রক্ত তাঁর সহচরীগণ পান করে বিশ্বচরাচরকে পুষ্ট করেছেন। একটি স্তবে তাঁকে ত্যাগ, ত্যাগী ও ত্যাগ গ্রহণকারী বলা হয়েছে। কারণ তাঁর ছিন্নমস্তক একটি বলি।
কালীর ন্যায় অন্যান্য ভীষণা হিন্দু দেবীগণ দৈত্যদের মুণ্ড কর্তন করে থাকেন। তাঁরা নিজ মস্তক ছিন্ন করার প্রথার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ছিন্নমস্তার মূর্তিতে দেখা যায় এক বিপরীত মস্তক উৎসর্গের প্রথা। তিনি তাঁর নিজের মস্তক ভক্তদের ক্ষুণ্ণিবৃত্তির জন্য উৎসর্গ করেছেন। এই ভাবে তিনি দেবী রূপে জীবনদাত্রী। আবার কখনও কখনও যুগল মর্দন করে তিনি কালীর মতো জীবনহন্তা দেবী হয়ে ওঠেন।
ছিন্নমস্তা যৌনসংগমরত কামদেব ও রতিদেবীর উপর দণ্ডায়মানা। এর দুটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। এক পক্ষের মতে, এটি যৌনকামনার আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রতীক। অপর পক্ষের মতে, এর অর্থ দেবী যৌনশক্তির মূর্তিস্বরূপ। তাঁর যোগিনী ও মদনাতুরা (\"যিনি কামকে নিয়ন্ত্রণ করেন\") নামদুটি তাঁর যৌনশক্তি নিয়ন্ত্রণ ও দমনকারিণী যোগশক্তির পরিচায়ক। কোনো কোনো চিত্রকল্পে ছিন্নমস্তা কাম-রতির উপর উপবিষ্ট। এই চিত্রে দেবীর দমনকারিণী মূর্তি দেখা যায় না। এখানে কাম-রতি দেবীকে যৌনক্ষমতা প্রদান করেন। কোনো কোনো মূর্তিতে দেবীকে শিবের সঙ্গে সংগমরতা অবস্থাতেও দেখা যায়। ছিন্নমস্তার কামেশ্বরী ও রতিরাগবিবৃদ্ধিনী নামদুটি এবং তাঁর মন্ত্রে ক্লীঁ বীজের উল্লেখ (যা কামদেব ও কৃষ্ণের মন্ত্রেও উপস্থিত) এই তত্ত্বকে সমর্থন করে।
ছিন্নমস্তা তত্ত্ব গ্রন্থের লেখক আচার্য আনন্দ ঝা-র মতে, ছিন্নমস্তা যেহেতু যৌনকামনার উপর আত্মনিয়ন্ত্রণ, অপরের স্বার্থে বীরোচিত আত্মবলিদান ও মৃত্যুভয়হীনতার প্রতীক, সেহেতু সৈনিকদের ছিন্নমস্তা পূজা করা উচিত। নগ্নতা ও মস্তকহীনতা দেবীর সত্যরূপ ও \"আত্মসচেতনতাহীনতা\"-র প্রতীক। যুদ্ধে একাধিক দৈত্যবধ করার জন্য তিনি রণজৈত্রী নামে পরিচিত। এই নাম যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর প্রবল শক্তিমত্তারও পরিচায়ক।
ছিন্নমস্তা কুণ্ডলিনী শক্তি জাগরণেরও প্রতীক। যৌনসংগমরত যুগল মেরুদণ্ডের শেষ অস্থির উপর অবস্থিত মূলাধার চক্রের প্রতীক। কুণ্ডলিনী দেহের কেন্দ্রে সুষুম্না নদীপথে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মতালুতে অবস্থিত সহস্রারে আঘাত করে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, সুষুম্না দেবীর সহস্রারে এত জোরে আঘাত করে যে, দেবীর মস্তক ছিন্ন হয়ে যায়। ঊর্ধ্বমুখে রক্তস্রোত চক্রের গ্রন্থি ছিন্ন করার প্রতীক। এই গ্রন্থি মানুষকে দুঃখিত, অজ্ঞ ও দুর্বল করে। ছিন্নমস্তক তুরীয় চৈতন্যের প্রতীক। কুণ্ডলিনী যখন সহস্রারে অবস্থানকারী শিবের সঙ্গে মিলিত হয়, তখন তিনটি রক্তধারা অমৃতের ধারায় পরিণত হয়। অন্যমতে, ডাকিনী, যোগিনী ও ছিন্নমস্তা হলেন ইড়া, পিঙ্গলা ও সুষুম্না নামে তিনটি সূক্ষ্ম নদীর মুক্তধারার প্রতীক। সুষুম্না মূলধার ও সহস্রারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এটি মেরুদণ্ডের সমান্তরালে প্রবাহিত। ইড়া দক্ষিণ অণ্ড থেকে বাম নাসারন্ধ্র পর্যন্ত প্রবাহিত। শীতল চান্দ্র শক্তি ও মস্তিস্কের দক্ষিণ ভাগের সঙ্গে এটি সংযুক্ত। পিঙ্গল বাম অণ্ড থেকে দক্ষিণ নাসারন্ধ্র পর্যন্ত প্রবাহিত। তপ্ত সৌর শক্তি ও মস্তিস্কের বাম ভাগের সঙ্গে এটি সংযুক্ত।
নিজের মস্তক ছিন্ন করা মিথ্যা ভাব, অজ্ঞতা ও আমিত্ব অপসারণের প্রতীক। মস্তক ছিন্ন করেও জীবিত থাকা অলৌকিক শক্তি ও কুণ্ডলিনী জাগরণের প্রতীক। দেবী ও দুই যোগিনীর ত্রয়ীমূর্তি বস্তুর তিন অবস্থার দার্শনিক প্রতীক, যার সঙ্গে সৃষ্টিশক্তিরও সম্পর্ক বিদ্যমান।
পূজা
ছিন্নমস্তা হিন্দুসমাজে এক সুপরিচিত দেবী। বিভিন্ন দেবী মন্দিরের দশমহাবিদ্যার সঙ্গে তাঁর পূজা প্রচলিত। তবে একক দেবী হিসেবে তিনি খুব একটা জনপ্রিয় নন। তাঁর নিজস্ব মন্দিরের সংখ্যা হাতে গোনা। এককভাবে তাঁর সার্বজনীন পূজা সুপ্রচলিত নয়। তান্ত্রিক, যোগী ও সর্বত্যাগীগণ বীরাচারী তান্ত্রিক মতে তাঁর পূজা করে থাকেন। কিংসলের মতে দেবী ভীষণা এবং তাঁর পূজা করা বা তাঁর নিকটে যাওয়া বিপজ্জনক – এই রকম বিশ্বাস থাকায় তাঁর পূজা জনপ্রিয়তা পায়নি। ছিন্নমস্তার শতনাম ও সহস্রনাম স্তোত্রে দেবীর ভীষণা প্রকৃতি ও ক্রোধের উল্লেখ আছে। এই সকল নামে তাঁকে প্রেতসেবিতা ও রক্তপানকারিণী রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি নররক্ত ও নরমাংসে প্রীতা হন। দেহরোম, মাংস ও ভয়ংকর মন্ত্রে তাঁর পূজা করা হয়।
তন্ত্রসাধকগণ সিদ্ধি বা অলৌকিক ক্ষমতা লাভের জন্য ছিন্নমস্তার পূজা করেন।ছিন্নমস্তার মন্ত্র নারী বশীকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।তাঁর মন্ত্র কাউকে মন্ত্রচালিত করা বা কারোর ক্ষতি করার জন্যও ব্যবহার করা হয়। কাব্যশক্তি, সুস্থতা, শত্রুবিজয়, বিঘ্নোপসারণ, রাজপ্রসাদ লাভ, অন্যকে আকর্ষণ, শত্রুরাজ্য জয় ও মোক্ষলাভ – মহাবিদ্যা আরাধনার এই সকল উদ্দেশ্যেও ছিন্নমস্তার পূজা করা হয়।
তন্ত্রসার, শাক্ত প্রমোদ ও মন্ত্র মহোদধিহ (১৫৮৯ খ্রিষ্টাব্দ) নামক তন্ত্রগ্রন্থে ছিন্নমস্তা ও অন্যান্য মহাবিদ্যার পূজাপদ্ধতি, যন্ত্র এবং ধ্যানমন্ত্র সহ অন্যান্য মন্ত্রের উল্লেখ রয়েছে। তন্ত্রমতে, সাধককে নিজ নাভিতে যোনি চক্রের প্রতীক রক্তসূর্যচক্র কল্পনা করতে বলা হয়েছে। মনে করা হয়, এই চক্রের মধ্যেই ছিন্নমস্তার জনপ্রিয় রূপটির অবস্থান।তন্তসার গৃহস্থকে কেবল নিরাকার রূপেই ছিন্নমস্তার পূজা করতে বলেছেন। এই গ্রন্থে আরও বলা হয়েছে যে, যদি কোনো নারী মন্ত্রে ছিন্নমস্তাকে আবাহন জানান, তবে তিনি ডাকিনীতে পরিণত হন, স্বামী-পুত্র হারান এবং শেষে পরিপূর্ণ যোগিনী হন।শক্তিসংগম তন্ত্র গ্রন্থে কেবল বামমার্গে দেবীর পূজা করতে বলা হয়েছে। মন্ত্র মহোদধিহ গ্রন্থমতে, স্ত্রী ভিন্ন অপর নারীর সঙ্গে যৌনসংগম ছিন্নমস্তা পূজার অঙ্গ। শাক্ত প্রমোদ গ্রন্থেও পূর্বোক্ত মত সমর্থন করে যজ্ঞ ও রাত্রিকালে মদ্য ও মাংস যোগে দেবীর পূজার কথা বলা হয়েছে। কোনো কোনো স্তবে বলা হয়েছে, দেবী রক্তে সন্তুষ্ট হন। তাই তাঁর পূজায় রক্ত বলিদান করা হয়।শক্তিসংগম তন্ত্র মতে একমাত্র বীরেরাই বামমার্গে দেবীর পূজার অধিকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শাক্ত প্রমোদ গ্রন্থে বলা হয়েছে, সঠিক ভাবে দেবীর পূজা না করলে দেবী পূজকের মস্তক ছিন্ন করে রক্ত পান করেন। এই গ্রন্থে গৃহস্থ ও ত্যাগীর জন্য পৃথক পন্থায় ছিন্নমস্তার পূজার বর্ণনা রয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের চিন্তাপূর্ণী ছিন্নমস্তা মন্দির একটি শক্তিপীঠ। কথিত আছে, এই মন্দিরে সতীর কপাল পড়েছিল। দেবী এখানে ছিন্নমস্তিকা এবং কপাল উভয় রূপেই পূজিতা হন। বারাণসীর নিকটবর্তী রামনগরের ছিন্নমস্তা মন্দিরে তান্ত্রিকরা শবদেহ নিয়ে দেবীর পূজা করেন। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের (বৈদ্যনাথ) নিকটবর্তী নন্দন পর্বত এবং রাঁচিতে অন্যান্য মহাবিদ্যার সঙ্গে ছিন্নমস্তারও বেদী রয়েছে। অসমের কামাখ্যা মন্দির চত্বরেও অন্যান্য মহাবিদ্যার সঙ্গে ছিন্নমস্তার বেদী বিদ্যমান। পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর শহরে একটি বিখ্যাত ছিন্নমস্তা মন্দির রয়েছে। নেপালের কাঠমাণ্ডু উপত্যকা চাঙ্গু নারায়ণ মন্দিরের কাছে একটি ছিন্নমস্তা মন্দির রয়েছে। বারনার্ডের মতে, এই সকল মন্দিরগুলির মধ্যে প্রাচীনতমটি সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে নির্মিত।
5>B==|छिन्नमस्ता रहस्||
🌷हे माई सचियां जोतां वाली सब की चिंता दूर करने वाली चिंतपूर्णी छिन्नमस्ता देवी माता तेरी सदा ही जय जयकारा ऐ चिंतपूर्णी बोल सांचे दरबार की जय।
🌷👉श्री महाविद्या छिन्नमस्ता माँ चिन्तपूर्णी देवी योगमयी हैं ध्यान समाधी द्वारा इनको प्रसन्न किया जा सकता है इडा पिंगला सहित स्वयं छिन्नमस्ता माँ चिन्तपूर्णी देवी सुषुम्ना नाड़ी हैं जो कुण्डलिनी का स्थान हैं सहस्रार चक्र में पहुँच कर भी साधक बहुत समय तक उस पर स्थिर नहीं रह पाते हैं वह साधक की आन्तरिक और आध्यात्मिक शक्ति तथा साधना के स्वरूप पर निर्भर है कि वह सहस्रार में कितने समय तक रहन ता है उसके बाद वह फिर निम्नतम लोकों के सुखों में जा भटकता है पर जो अपने सहस्रार को पका लेते हैं वह पूर्ण ब्रह्म को प्राप्त कर अनन्त काल तक ऐश्वर्य सुखोपभोग करते हैं
🍀सहस्रार दोनों कनपटियों से 2-2 इंच अन्दर और भौहों से भी लगभग 3-3 इंच अन्दर मस्तिष्क के मध्य में “महाविवर” नामक महाछिद्र के ऊपर छोटे से पोले भाग में ज्योति-पुँज के रूप में अवस्थित है कुण्डलिनी साधना द्वारा इसी छिद्र को तोड़ कर ब्राह्मी स्थिति में प्रवेश करना पड़ता है इसलिये इसे “दशम द्वार” या ब्रह्मरंध्र भी कहते हैं ध्यान बिन्दु उपनिषद् में कहा है-
🌷कि मस्तक में जो मणि के समान प्रकाश है जो उसे जानते हैं वहीं योगी है तप्त स्वर्ण के समान विद्युत धारा-सी प्रकाशित वह मणि अग्नि स्थान से चार अंगुल ऊर्ध्व और मेढ़ स्थान के नीचे है इस स्थान पर पहुँचने की शक्यों का वर्णन करते हुए शास्त्रकार ने कहा है-तस्य सर्वेषु लोकेषु कामचारी भवति”
🌷अर्थात् वह परम विज्ञानी, त्रिकालदर्शी और सब कुछ कर सकने की सामर्थ्य प्राप्त कर लेता है वह चाहे जो कुछ करे उसे कोई पाप नहीं होता उसे कोई जीत नहीं सकता ब्रह्मरंध्र एक प्रकार से जीवात्मा का कार्यालय है इस दृश्य जगत में जो कुछ है और जहाँ तक हमारी दृष्टि नहीं पहुँच सकती उन सबकी प्राप्ति की प्रयोगशाला है
🌷भारतीय तत्त्वदर्शन के अनुसार यहाँ 17 तत्त्वों से संगठित ऐसे विलक्षण ज्योति पुँज विद्यमान् हैं जो दृश्य जगत में स्थूल नेत्रों से कहीं भी नहीं देखे जा सकते समस्त ज्ञानवाहक सूत्र और बात नाड़ियाँ यहीं से निकल कर सारे शरीर में फैलती हैं शून्य में प्रवेश करो : ‘आधारहीन, शाश्वत, निश्चल आकाश में प्रविष्ट होओ।’ वह तुम्हारे भीतर ही है अपनी तरफ देखो- न तो पीछे, न आगे कोई संबंध तुम्हारी आत्मा नहीं बन सकता तुम्हारे अतिरिक्त तुम्हारा कोई मित्र नहीं है तब तुम्हारे भीतर छिन्मस्ता का अनुभव प्रगट होगा आपने छिन्नमस्ता देवी का चित्र देखा होगा जिसमे उनके गर्दन पर सिर की बजाय खून की धार फूटती है और यही खून उनके ही हाथ में रखा हुआ उनका सिर पीता है ! मूर्ख टाइप लोगों के इस तरह के देवी देवताओं का अस्तित्व केवल मनगढ़न्त कल्पना मात्र लगता है और इसी सोच में ही उनकी पूरी जिंदगी पार हो जाती है और वो सच्चाई कभी जान ही नहीं पाते !
🌷👉वास्तव में देवी छिन्न मस्ता के गूढ़ रहस्य को जानने के लिए जब हम दुर्लभ हिन्दू धर्म के थोड़े बहुत बचे ग्रंथों को खंगालते हैं तब हम देवी की अथाह शक्ति की थोड़ी सी जानकारी मिलती है की देवी छिन्न मस्ता ही हर जीव के मूलाधार चक्र में विराजमान कुण्डलिनी शक्ति की मूर्त रूप हैं !
कुण्डलिनी महा शक्ति को जागृत करने के कई तरीकों में से एक है देवी छिन्न मस्ता को प्रसन्न करना !और जैसे माँ छिन्न मस्ता अपने ही शरीर का खून पी कर सबल रहती हैं उसी तरह कुण्डलिनी महा शक्ति जिस जीव के अन्दर रहती हैं उसी जीव के रक्त से ही पोषित होती हैं !
🌷👉देवी छिन्न मस्ता निर्वस्त्र रहतीं है जो इस बात का पर्याय है की कुण्डलिनी महा शक्ति पर किसी भी माया का पर्दा नहीं हो सकता है ! इसी माया का पर्दा उठाने के लिए ही तो दुनिया के सारे भक्त, तपस्वी, योगी दिन रात तपस्या रत रहते हैं !
🌷कुण्डलिनी जागरण कईं जन्मो की साधना से सिद्ध होने वाली साधना है और जीव एक योनि से मरकर दूसरे योनि में जन्म लेता है तब भी कुण्डलिनी शक्ति हमेशा उसके साथ बनी रहती है !
🌷कुण्डलिनी जागरण का प्रयास करने वाला साधक यदि जानबूझकर आनन्द के लिए मांस मछली अंडा खा ले तो कुण्डलिनी महा शक्ति की दिशा ऊपर उठने के बजाय निम्न हो जाती है और वो साधक का ही नाश कर देती है !
🌷कुण्डलिनी जागरण के बाद शुरू होता है असली दुनिया को जानना क्योंकि तब साधक अपने सूक्ष्म शरीर से पहुच जाता है महा स्थान में (कुछ ग्रंथों में महा स्थान को कृष्ण का शरीर कहा जाता है) और इस महा स्थान में समय का कोई अस्तित्व नहीं है तथा ये महा स्थान एक ऐसा गेट वे (रास्ता) है जिससे श्री कृष्ण के बनाये अनन्त ब्रह्मांडो में जाया जा सकता है !यहाँ पहुँच कर सभी साधकों की बुद्धि हैरान हो जाती है क्योंकि तब उनको समझ में आता है की भगवान कौन सी चीज है और उनकी ताकत कितनी अनन्त है ! इसी महा स्थान में सारे महर्षियों से मुलाकात होती है जो अमर है जैसे वशिष्ठ, विश्वामित्र, भृगु, लोमष ऋषि आदि ! ये सभी ऋषि एक ब्रह्माण्ड से निकल कर परोपकार करने के लिए दूसरे ब्रह्माण्ड में जाते हुए दिखाई देते है ! एक तरह से कहा जाय ये ऋषि भी पिछले कितने करोड़ साल से ईश्वर के पूरे रहस्य को देखना समझना चाहते हैं पर उनकी यात्रा अब भी अन्त हीन है क्योंकि ईश्वर आदि और अन्त रहित हैं !
🌷इसलिए आपने सुना होगा की ऋषि महर्षि हजारों साल से तपस्या में लीन रहते हैं इसका मतलब ये होता है की ये ऋषि अपनी चमड़े की आँखों को बंद कर, सूक्ष्म शरीर की सूक्ष्म आँखों से ईश्वर के अति सुखद साम्राज्य को पूरी तरह से देखने की कोशिश कर रहे है पर अभी तक उन्हें अपनी यात्रा का अन्त दिखा ही नहीं !
===================================================================
🌷इसलिए आपने सुना होगा की ऋषि महर्षि हजारों साल से तपस्या में लीन रहते हैं इसका मतलब ये होता है की ये ऋषि अपनी चमड़े की आँखों को बंद कर, सूक्ष्म शरीर की सूक्ष्म आँखों से ईश्वर के अति सुखद साम्राज्य को पूरी तरह से देखने की कोशिश कर रहे है पर अभी तक उन्हें अपनी यात्रा का अन्त दिखा ही नहीं !
===================================================================
6>इसी को कहते हैं आनन्द से सच्चिदानन्द की खोज करना !
आनन्द मिलता है ईश्वर दर्शन प्राप्त साधक को, पर सत्य, चित्त, आनन्द मिलता है जब साधक अपना अस्तित्व खोकर ईश्वरमय हो जाता है तब उस स्थिति में जीव खुद अपनी बनायीं हुई सारी सृष्टि को ईश्वर की तरह देखता, पालन और नाश करता है !
🌷इसलिए मानव शरीर मिलने पर कुण्डलिनी जागरण का प्रयास जरूर करना चाहिए ! और कुण्डलिनी जागरण के लिए सबसे आसान तरीकों में से है नियम से रोज कम से कम आधा घंटा कपाल भांति प्राणायाम करना ! शुरुवाती भूमिका प्राणायाम से बनती है और सही समय आने पर ईश्वर ऐसे अनुभवी गुरु से मुलाकात जरूर करवा देते है जिससे आगे की प्रक्रिया सफलता पूर्वक पूर्ण होती है !
धन्य है माँ से भी बढ़कर ममता वाले, पिता से भी बढ़कर जिम्मेदार, ईश्वर की जय हो !हे माता तेरी इच्छा के बिना इस सृष्टि मे एक तिनका तक नही हिल सकता परन्तु तुम तो ममता की ऐसी देवी हो की जब तुम्हारी सखी जया,विजया जब भूख से व्याकुल होकर तुम्हे पुकारने लगी की माता बड़ी भूख लगी है तो तुने उनकी पीड़ा से करूणा करके अपना ही सिर धड़ से अलग कर अपने रक्त धारा से स्वयं अपनी और उनकी तीन धाराओं से उनकी भूख मिटाई माता के गर्भ मे रक्त से ही शिशु का विकास होता है,तुने तो अपने भक्तों के लिए खुद को बलिदान कर दिया,अब बताओ सृष्टि मे कौन है,जो तेरी जैसी ममतामयी करूणा रखने वाली है चारों तरफ सब रोते है,तड़पते है कारण सभी माया से वशीभूत है,अज्ञान का पर्दा पड़ा है उस माया को छिन्न कर देती हो ...ओ माँ तुम धन्य हो,तु भक्तों के लिए कितना कष्ट सहती हो,जीव को माया से मुक्त कर देती हो।स्वार्थ,लोलुपता वश लोग साधना कम करते है दिखावा अधिक,पाखंड,भेदभाव बढ़ गया है,साधना क्षेत्र के बिहंगम दुर्लभ प्रयोग कम हो गया है साधक,सिद्ध,परम भक्त की जब कमी हो जाती है तो माता भी मुख मोड़ लेती है छिन्नमस्ता का एक भी सिद्ध साधक माता के समीप हो तो क्या मजाल जो ये असुर,दुष्ट आँख उठा कर देख सके भगवती छिन्नमस्ता का स्वरूप अत्यंत ही गोपनीय है इसे कोई अधिकारी साधक ही जान सकता है महाविद्याओं में इनका तीसरा स्थान है आद्या शक्ति अपने स्वरूप का वर्णन करते हुए कहती हैं कि मैं छिन्न शीश अवश्य हूं लेकिन अन्न के आगमन के रूप सिर के सन्धान (सिर के लगे रहने) से यज्ञ के रूप में प्रतिष्ठित हूं। जब सिर संधान रूप अन्न का आगमन बंद हो जाएगा तब उस समय मैं छिन्नमस्ता ही रह जाती हूं। इस महाविद्या का संबंध महाप्रलय से है। महाप्रलय का ज्ञान कराने वाली यह महाविद्या भगवती त्रिपुरसुंदरी का ही रौद्र रूप है। सुप्रसिद्ध पौराणिक हयग्रीवोपाख्यान का (जिसमें गणपति वाहन मूषक की कृपा से धनुष प्रत्यंचा भंग हो जाने के कारण सोते हुए विष्णु के सिर के कट जाने का निरूपण है) इसी छिन्नमस्ता से संबद्ध है।
🌷शिव शक्ति के विपरीत रति आलिंगन पर आप स्थित हैं। आप एक हाथ में खड्ग और दूसरे हाथ में मस्तक धारण किए हुए हैं अपने कटे हुए स्कन्ध से रक्त की जो धाराएं निकलती हैं, उनमें से एक को स्वयं पीती हैं और अन्य दो धाराओं से अपनी वर्णिनी और शाकिनी नाम की दो सहेलियों को तृप्त कर रही हैं इडा, पिंगला और सुषमा इन तीन नाडियों का संधान कर योग मार्ग में सिद्धि को प्रशस्त करती हैं देवी माँ का स्वत: सिद्ध महामंत्र है
🌷श्री महाविद्या छिन्नमस्ता महामंत्र ॐ श्रीं ह्रीं ह्रीं क्लीं ऐं वज्र वैरोचिनिये ह्रीं ह्रीं फट स्वाहा माँ छिन्नमस्ता यह विद्या बहुत ही तीव्र है ऐसा मैनें कई बार अनुभव किया है यह देवी शत्रु का तुरंत नाश करने वाली, वाक देने वाली, रोजगार में सफलता, नौकरी पद्दोंन्ति के लिए, कोर्ट के कैस से मुक्ति दिलाने मे सक्षम है और सरकार को आपके पक्ष मे करने वाली, कुंडिली जागरण मे सहायक, पति-पत्नी को तुरंत वश मे करने वाली चमत्कारी देवी है। इसकी साधना सावधान होकर करनी चाहिए क्योकि तीव्र होने के कारण रिजल्ट जल्दी ही मिल जाता है। इसके लिए आप रुद्राक्ष या काले हकीक की माला से कम से कम ग्यारह माला या बीस माला मंत्र जप करना चाहिए
🌷मंत्र- “श्रीं ह्रीं क्लीं ऐं वज्र वैरोचनीयै हूं हूं फट स्वाहा:” माँ छिन्नमस्ता महाविद्या का शाबर मन्त्र इसके जप से सारी चिंता दुःख रोग समाप्त हो जाते हैं
🌷सत का धर्म सत की काया, ब्रह्म अग्नि में योग जमाया काया तपाये जोगी (शिव गोरख) बैठा, नाभ कमल पर छिन्नमस्ता, चन्द सूर में उपजी सुष्मनी देवी, त्रिकुटी महल में फिरे बाला सुन्दरी, तन का मुन्डा हाथ में लिन्हा, दाहिने हाथ में खप्पर धार्या पी पी पीवे रक्त, बरसे त्रिकुट मस्तक पर अग्नि प्रजाली, श्वेत वर्णी मुक्त केशा कैची धारी देवी उमा की शक्ति छाया, प्रलयी खाये सृष्टि सारी चण्डी, चण्डी फिरे ब्रह्माण्डी भख भख बाला भख दुष्ट को मुष्ट जती, सती को रख, योगी घर जोगन बैठी, श्री शम्भुजती गुरु गोरखनाथजी ने भाखी छिन्नमस्ता जपो जाप, पाप कन्टन्ते आपो आप, जो जोगी करे सुमिरण पाप पुण्य से न्यारा रहे काल ना खाये
==================================================
7>মা তারা
🌷शिव शक्ति के विपरीत रति आलिंगन पर आप स्थित हैं। आप एक हाथ में खड्ग और दूसरे हाथ में मस्तक धारण किए हुए हैं अपने कटे हुए स्कन्ध से रक्त की जो धाराएं निकलती हैं, उनमें से एक को स्वयं पीती हैं और अन्य दो धाराओं से अपनी वर्णिनी और शाकिनी नाम की दो सहेलियों को तृप्त कर रही हैं इडा, पिंगला और सुषमा इन तीन नाडियों का संधान कर योग मार्ग में सिद्धि को प्रशस्त करती हैं देवी माँ का स्वत: सिद्ध महामंत्र है
🌷श्री महाविद्या छिन्नमस्ता महामंत्र ॐ श्रीं ह्रीं ह्रीं क्लीं ऐं वज्र वैरोचिनिये ह्रीं ह्रीं फट स्वाहा माँ छिन्नमस्ता यह विद्या बहुत ही तीव्र है ऐसा मैनें कई बार अनुभव किया है यह देवी शत्रु का तुरंत नाश करने वाली, वाक देने वाली, रोजगार में सफलता, नौकरी पद्दोंन्ति के लिए, कोर्ट के कैस से मुक्ति दिलाने मे सक्षम है और सरकार को आपके पक्ष मे करने वाली, कुंडिली जागरण मे सहायक, पति-पत्नी को तुरंत वश मे करने वाली चमत्कारी देवी है। इसकी साधना सावधान होकर करनी चाहिए क्योकि तीव्र होने के कारण रिजल्ट जल्दी ही मिल जाता है। इसके लिए आप रुद्राक्ष या काले हकीक की माला से कम से कम ग्यारह माला या बीस माला मंत्र जप करना चाहिए
🌷मंत्र- “श्रीं ह्रीं क्लीं ऐं वज्र वैरोचनीयै हूं हूं फट स्वाहा:” माँ छिन्नमस्ता महाविद्या का शाबर मन्त्र इसके जप से सारी चिंता दुःख रोग समाप्त हो जाते हैं
🌷सत का धर्म सत की काया, ब्रह्म अग्नि में योग जमाया काया तपाये जोगी (शिव गोरख) बैठा, नाभ कमल पर छिन्नमस्ता, चन्द सूर में उपजी सुष्मनी देवी, त्रिकुटी महल में फिरे बाला सुन्दरी, तन का मुन्डा हाथ में लिन्हा, दाहिने हाथ में खप्पर धार्या पी पी पीवे रक्त, बरसे त्रिकुट मस्तक पर अग्नि प्रजाली, श्वेत वर्णी मुक्त केशा कैची धारी देवी उमा की शक्ति छाया, प्रलयी खाये सृष्टि सारी चण्डी, चण्डी फिरे ब्रह्माण्डी भख भख बाला भख दुष्ट को मुष्ट जती, सती को रख, योगी घर जोगन बैठी, श्री शम्भुजती गुरु गोरखनाथजी ने भाखी छिन्नमस्ता जपो जाप, पाप कन्टन्ते आपो आप, जो जोगी करे सुमिरण पाप पुण्य से न्यारा रहे काल ना खाये
==================================================
7>মা তারা
তারা হিন্দু দেবী কালীর একটি বিশিষ্ট রূপ । ইনি দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা । কালীর মতোই তারা ভীষণা দেবী । তারার বি...
মা তারা
তারা হিন্দু দেবী কালীর একটি বিশিষ্ট রূপ। ইনি দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয়মহাবিদ্যা। কালীর মতোই তারা ভীষণা দেবী। তারার বিভিন্ন রূপান্তরউগ্রতারা, নীল সরস্বতী, কুরুকুল্লা তারা, খদির বাহিনী তারা, মহাশ্রীতারা, বশ্যতারা, সিতাতারা, ষড়ভূজ সিতাতারা, মহামায়া বিজয়বাহিনীতারা ইত্যাদি। বৌদ্ধধর্মেও তারাদেবীর পূজা প্রচলিত। তারার মূর্তিকল্পনাকালী অপেক্ষাও প্রাচীনতর। কোনো কোনো মতে তারা দুর্গা বা চণ্ডীররূপান্তর। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার তারাপীঠে অবস্থিত দেবীতারার মন্দির বিখ্যাত।
মূর্তিতত্ত্ব
তন্ত্রসারে দেবী তারার যে রূপ বর্ণিত হয়েছে তা নিম্নরূপ:
"তারা প্রত্যালীঢ়পদা অর্থাৎ শববক্ষে দক্ষিণপদ স্থাপিতা। ভয়ংকরী, মুণ্ডমালাভূষিতা, খর্বা,লম্বোদরী, ভীষণা, কটিতে ব্যাঘ্রচর্মাবৃতা, নবযৌবনা, পঞ্চমুদ্রা শোভিতা, চতুর্ভূজা, লোলজিহ্বা,মহাভীমা, বরদা, খড়্গ কাতরি দক্ষিণহস্তে ধৃতা, বামহস্তদ্বয়ে কপাল ও নীলপদ্ম, পিঙ্গলবর্ণএকজটাধারিণী, ললাটে অক্ষোভ্য প্রভাতসূর্যের মতো গোলাকার তিন নয়নশোভা, প্রজ্জ্বলিতচিতামধ্যে অবস্থিতা, ভীষণদন্তা, করালবদনা, নিজের আবেশে হাস্যমুখী, বিশ্বব্যাপ্ত জলেরমধ্যে শ্বেতপদ্মের উপর অবস্থিতা।"
তন্ত্রসারে তারার আরও একটি ধ্যানমন্ত্র বর্ণিত হয়েছে: "শ্যামবর্ণা ত্রিনয়না দ্বিভূজা, বরমুদ্রা ওপদ্মধারিণী, চতুর্দিকে বহুবর্ণা ও বহুরূপা শক্তির দ্বারা বেষ্টিতা, হাস্যমুখী মুক্তাভূষিতা,রত্নপাদুকায় পাদদ্বয় স্থাপনকারিণী তারাকে ধ্যান করবে।"বৃহদ্ধর্ম পুরাণে তারাকে কেবলশ্যামবর্ণা ও কালরূপিণী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।তন্ত্রসারে তারাকেই মহানীল সরস্বতী বলেউল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতচন্দ্র রায় তাঁর অন্নদামঙ্গল কাব্যে তারার যে রূপবর্ণনা করেছেন, তা নিম্নরূপ:
তারা রূপ ধরি সতী হইলা সম্মুখ।।
নীলবরণা লোলজিহ্বা করালবদনা। সর্পবান্ধা ঊর্দ্ধ এক জটাবিভূষণা।।
অর্দ্ধচন্দ্র পাঁচখানি শোভিত কপাল। ত্রিনয়ন লম্বোদর পরা বাঘছাল।।
নীল পদ্ম খড়্গ কাতি সমুণ্ড খর্পর। চারি হাতে শোভে আরোহণ শিবোপর।।
তারাপীঠের ব্রহ্মশিলায় খোদিত তারামূর্তিটি দ্বিভূজা, সর্পযজ্ঞোপবীতে ভূষিতা এবং তাঁর বামকোলে পুত্ররূপী শিব শায়িত।
=====================
8>ধূমাবতীঃ এক তান্ত্রিক দেবী
ধূমাবতী দশমহাবিদ্যার অন্যতমা এক তান্ত্রিক হিন্দু দেবী।ধূমাবতী হলেন সপ্তম মহাবিদ্যা। গুহ্যাতিগুহ্য তন্ত্র গ্রন্থে দশ মহাবিদ্যাকে বিষ্ণুর...
ধূমাবতীঃ এক তান্ত্রিক দেবী
ধূমাবতী দশমহাবিদ্যার অন্যতমা এক তান্ত্রিক হিন্দু দেবী।ধূমাবতী হলেন সপ্তম মহাবিদ্যা। গুহ্যাতিগুহ্য তন্ত্র গ্রন্থে দশ মহাবিদ্যাকে বিষ্ণুর দশ অবতারের উৎস বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই গ্রন্থ মতে মৎস্য অবতারের উৎস হলেন ধূমাবতী। মুণ্ডমালা গ্রন্থেও একটি অনুরূপ তালিকা রয়েছে; তবে উক্ত গ্রন্থ মতে বামন অবতারের উৎস হলেন ধূমাবতী। তিনি মহাশক্তির একটি ভীষণা রূপ। ধূমাবতী বৃদ্ধা, কুৎসিত বিধবার বেশে সজ্জিতা, এবং কাক ও চতুর্মাস ইত্যাদি হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী অমঙ্গলজনক বিষয়গুলির সঙ্গে সম্পর্কিতা। ধূমাবতীর প্রচলিত মূর্তিকল্পে তাঁকে অশ্ববিহীন রথ বা কাকপৃষ্ঠে আরূঢ়া অবস্থায় এবং সাধারণত শ্মশানচারিণীরূপে কল্পনা করা হয়।
বেদ বিশারদ গণপতি মুনি নিম্নলিখিত ভাষায় দেবীর বর্ণনা দিয়েছেন:
“ তিনি শূন্যরূপে প্রকীর্তিতা এবং চৈতন্যের বিলীন রূপ। সকল সত্ত্বা ব্রহ্মে লীন হলে সমগ্র জগত চরাচরকে গ্রাস করেন তিনি। তখন দার্শনিক-কবিরা তাঁকে মহাগরিমাসম্পন্না জ্যেষ্ঠা ধূমাবতী নামে অভিহিত করেন। তাঁর নিবাস নিদ্রা, স্মৃতিভ্রষ্টতা, মায়া ও মায়ায় আবদ্ধ জীবের মধ্যে। কিন্তু যোগীগণের মধ্যে তিনি সকল চিন্তা ধ্বংসকারিণী শক্তি এবং স্বয়ং সমাধি স্বরূপিণী। ”
—গণপতি মুনি, উমা সহস্রম্ ৩৮ , পৃ. ১৩—১৪,
ধূমাবতী প্রলয়ের প্রতীক। তিনিই সৃষ্টির পূর্বে ও প্রলয়ের পরে বিদ্যমান "মহাশূন্যের" মূর্তিস্বরূপ। ধূমাবতী সাধারণত অমঙ্গলকর বিষয়গুলির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যদিও তাঁর সহস্রনাম স্তোত্রে তাঁর কয়েকটি সদগুণেরও বর্ণনা করেছে। তিনি কোমলস্বভাবা ও বরদাত্রী। ধূমাবতী মহাগুরু; তিনি কল্যাণ ও অকল্যাণের বহু ঊর্ধ্বে স্থিত জগত চরাচর সম্পর্কে সর্বোচ্চ জ্ঞান প্রদান করেন। তাঁর কুৎসিত রূপটি প্রকৃতপক্ষে একটি রূপক; এই রূপ সাধককে বাইরের নকল সৌন্দর্যের পরিবর্তে জীবনের অন্তর্নিহিত সত্যটি অনুসন্ধান করতে ও জানতে শেখায়।
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, ধূমাবতী সিদ্ধি বা অলৌকিক ক্ষমতা প্রদান করেন; তিনি সকল বিপদ থেকে ভক্তকে উদ্ধার করেন এবং জ্ঞান ও মোক্ষফল সহ সকল অভীষ্ট বস্তু প্রদান করেন। শত্রুনাশের উদ্দেশ্যে তাঁর পূজা করা হয়। ধূমাবতীর পূজা আইবড়, বিধবা বা সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীদের পক্ষেই প্রশস্ত বলে মনে করা হয়। বারাণসীতে অবস্থিত ধূমাবতী মন্দিরে দেবী অমঙ্গলসূচক বিষয়গুলির ঊর্ধ্বে স্থানীয় রক্ষাকর্ত্রীর মর্যাদা লাভ করেছেন। এখানে বিবাহিত যুগলেও তাঁর পূজা দিয়ে থাকেন। যদিও ধূমাবতীর মন্দিরের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম, তা সত্ত্বেও শ্মশান বা বনাঞ্চলে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাঁর নিয়মিত পূজা হয়ে থাকে।
দশমহাবিদ্যার বাইরে ধূমাবতীর বিশেষ কোনো অস্তিত্ব নেই। মহাবিদ্যায় অন্তর্ভূক্তির পূর্বে তাঁর কোনো ঐতিহাসিক উল্লেখও পাওয়া যায় না।দারিদ্র্য, বিষন্নতা ও দুঃখকষ্টের দেবী রূপে ধূমাবতীর সঙ্গে মারী ও দুঃখের দেবী নির্ঋতি এবং মন্দভাগ্য ও দারিদ্র্যের দেবী অলক্ষ্মীর মিল পাওয়া যায়।কিনসলে দেবী জ্যেষ্ঠার সঙ্গেও ধূমাবতীর মিল খুঁজে পেয়েছেন।
বৈদিক দেবী নির্ঋতি মৃত্যু, জরা বা ক্ষয়, মন্দভাগ্য, ক্রোধ ও চাহিদার দেবী। তাঁকে দূরে রাখার জন্য তাঁর স্তুতি করা হত। নির্ঋতির মতো ধূমাবতীও অমঙ্গলসূচক বিষয় ও কঠোরতার দেবী। প্রাচীন হিন্দু দেবী জ্যেষ্ঠার মূর্তিকল্পটিও ধূমাবতীর অনুরূপ। ধূমাবতীর মতো তিনিও কৃষ্ণবর্ণা, কুৎসিত ও কাকবাহিনী। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, জ্যেষ্ঠা মঙ্গলসূচক কিছুই সহ্য করতে পারেন না। ধূমাবতীর মতো তিনিও ঝগড়া, কুস্থানে বাস করেন এবং কোপনস্বভাবা দেবী।সারদাতিলক তন্ত্র গ্রন্থের টীকাকার লক্ষ্মণ দেসিকা ধূমাবতীকে জ্যেষ্ঠার অপর রূপ বলে উল্লেখ করেছেন। দেবী অলক্ষ্মী ঐশ্বর্য, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী লক্ষ্মী বা শ্রীর ভগিনী ও বিপরীত শক্তি। অলক্ষ্মী ও ধূমাবতী দুজনেই সম্মার্জনী বা ঝাঁটা ধরে থাকেন এবং তাঁদের পতাকায় কাকের ছবি থাকে। দুজনেই ক্ষুধা, তৃষ্ণা, চাহিদা ও দারিদ্র্যের দেবী।
ধূমাবতীর সঙ্গে অপর তিন দেবীর কিছু মিল থাকলেও, কিছু অমিলও আছে। যেমন, তাঁরা কেউই ধূমাবতীর মতো বিধবার বেশে কল্পিত হন না বা তাঁদের কুৎসিত রূপকল্পের কোনো শাস্ত্রব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। আবার উক্ত তিন দেবীর নামও ধূমাবতীর নামস্তোত্রে অমিল। এছাড়া তাঁদের মধ্যে ধূমাবতীর যোদ্ধৃবেশ বা মহাবিদ্যারূপে তাঁর সদগুণগুলিও দেখা যায় না। ডেভিড কিনসলে মনে করেন, উক্ত তিন দেবী ধূমাবতীর পূর্বসূরি হলেও, তাঁরা ধূমাবতীর ঠিক "সমরূপীয়" নন। উল্লেখ্য, কিনসলের মতে, মহাবিদ্যার ধারণাটি দ্বাদশ শতাব্দীর আগে প্রচলিত ছিল না।
শক্তিসংগম তন্ত্র গ্রন্থে উল্লিখিত কাহিনি অনুযায়ী, সতী দক্ষের যজ্ঞকুণ্ডে আত্মবলিদানের উদ্দেশ্যে ঝাঁপ দিলে সতীর দগ্ধ দেহের কালো ধোঁয়া থেকে ধূমাবতী উত্থিতা হন। তিনি হলেন "সতীর দেহাবশেষ" এবং তাঁর অপমানিতা অবতার।প্রাণতোষিণী তন্ত্র গ্রন্থে ধূমাবতীর বিধবা বেশের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। একদা সতী শিবের কাছে অন্ন প্রার্থনা করেন। শিব তাঁকে অন্ন দিতে অস্বীকার করলে, সতী তাঁর প্রচণ্ড ক্ষুধার নিবৃত্তির জন্য শিবকেই ভক্ষণ করেন। শিব যখন তাঁকে নিষ্কৃতি দিতে অনুরোধ করেন, তখন সতী শিবকে পুনরায় উগরে দেন। এরপর শিব তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিধবার বেশ ধারণ করার অভিশাপ দেন।আর একটি লোকপ্রচলিত জনশ্রুতি অনুযায়ী, দুর্গা শুম্ভ ও নিশুম্ভ অসুরদ্বয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ধূমাবতীকে সৃষ্টি করেন। ধূমাবতী প্রাণঘাতী ধূমের সাহায্যে দৈত্যনাশ করেন।
শাক্ত মহাভাগবত পুরাণে দশমহাবিদ্যার উৎপত্তির কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। এই কাহিনি অনুযায়ী, দক্ষের যজ্ঞে নিমন্ত্রিত না হয়ে দক্ষকন্যা তথা শিবের প্রথমা স্ত্রী সতী অপমানিতা হন। তিনি বিনা আমন্ত্রণেই যজ্ঞে উপস্থিত থাকতে চাইলে, শিব বারণ করেন। সতী অনুনয়বিনয় করে শিবকে রাজি করানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হন না। তখন ক্রুদ্ধ হয়ে সতী দশমহাবিদ্যার রূপ ধারণ করে দশ দিক দিয়ে ঘিরে ধরেন। এই সময় ধূমাবতী দক্ষিণপূর্ব দিকে দণ্ডায়মান ছিলেন।অপর একটি কিংবদন্তিতেও অনুরূপ কাহিনি পাওয়া যায়; তবে এই মতে সতীর স্থলে প্রধান মহাবিদ্যা ও অপরাপর মহাবিদ্যাগণের উৎস কালীকে স্থাপন করা হয়েছে।দেবীভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, দশমহাবিদ্যা হলেন শাকম্ভরীর রূপভেদ ও সহযোদ্ধা।
প্রাণতোষিণী তন্ত্র ধূমাবতীর ধ্বংসাত্মিকা শক্তি ও প্রচণ্ড ক্ষুধার উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিধাতা শিবই তাঁর ক্ষুন্নিবৃত্তি করতে সক্ষম। এটি ধূমাবতীর বিধবাবেশী অমঙ্গলসূচক রূপ এবং তাঁর স্বামীভক্ষণকারী সত্ত্বার প্রতীক।
ধূমাবতী তন্ত্র গ্রন্থে তাঁকে বৃদ্ধা ও কুৎসিত বিধবার রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি শীর্ণকায়া, দীর্ঘাকার, রোগগ্রস্থা ও পাণ্ডুরবর্ণা। তিনি অশান্ত ও কুটিল হৃদয়। তাঁর দেহে অলংকারাদি নেই। তিনি পুরনো মলিন বস্ত্র পরিধান করে থাকেন। তিনি মুক্তকেশী। তাঁর চক্ষুদুটি ভয়ংকর, নাসিকা দীর্ঘ ও বক্র, তাঁর তীক্ষ্ণ দাঁতের কয়েকটি পড়ে গেছে, হাসলে তাঁকে ফোকলা মনে হয়। তাঁর কর্ণদ্বয় কুৎসিত ও অসম আকারবিশিষ্ট। তাঁর স্তন লম্বমান এবং তিনি এক হাতে একটি কুলো ধরে থাকেন এবং অপর হাতে বরমুদ্রা বা চিন্মুদ্রা দেখান। তিনি অশ্ববিহীন রথে আরূঢ়া এবং তাঁর পতাকায় কাকের ছবি থাকে। ধূমাবতী চতুরা। তিনি সর্বদা ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত অবস্থায় থাকেন। তিনি কলহের কারণ ও ভয় প্রদানকারিনী।
প্রপঞ্চসারাসার সমগ্র অনুযায়ী, ধূমাবতী কৃষ্ণবর্ণা ও নাগ অলংকারে ভূষিতা। তাঁর বস্ত্র শ্মশানক্ষেত্র থেকে সংগৃহীত ছিন্ন বস্ত্রখণ্ডে নির্মিত। তিনি দ্বিভূজা, শূল ও নরকপালধারিনী।কোনো কোনো মূর্তিকল্পে শূলের জায়গায় তরবারি থাকে। একই গ্রন্থের অপর একটি বর্ণনা অনুযায়ী, ধূমাবতী বৃদ্ধা, তাঁর চর্ম কুঞ্চিত, তিনি ক্রুদ্ধমুখ এবং মেঘশ্যামবর্ণা। তাঁর নাসিকা, চক্ষু ও কণ্ঠ কাকের ন্যায়। তিনি ঝাঁটা, কুলো, মশাল ও গদা ধারণ করে থাকেন। তিনি নিষ্ঠুরা ও তাঁর ভ্রু কুঞ্চিত। ধূমাবতী এলোকেশী ও তিনি ভিক্ষুকের বস্ত্রপরিহিতা। তাঁর স্তনযুগল শুষ্ক।তাঁর চুল পাকা, দাঁত ভাঙা ভাঙা ও বস্ত্র জীর্ণ ও ছিন্ন।
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে মোলারাম কর্তৃক অঙ্কিত কৃষ্ণবর্ণা ধূমাবতী। দেবী এখানে কুলো হাতে রথারূঢ়া; দুটি কালো কাল তাঁর রথ টানছেন; ধূমাবতী এই চিত্রে সালংকারা, যা প্রচলিত রূপকল্পের ব্যতিক্রম
কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধূমাবতী কাকবাহিনী ও ত্রিশূলধারিনী রূপে কল্পিত হন। তিনি মুণ্ডমালাধারিণী, তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রক্তবর্ণা, এবং তাঁর মাথার চুলা আলুলায়িত।কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনি মৃত্যুর দেবতা যমের মহিষশৃঙ্গ ধারণ করে। এটি মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের প্রতীক।
ধূমাবতী ভয়ংকরী, তাঁর বেশ যোদ্ধার বেশ। শাক্তপ্রমোদ অনুযায়ী, তিনি ভয়ংকর শব্দ করে হাড় চিবিয়ে খান। তাছাড়াও তিনি রণভেরী বাজিয়ে ভয়ংকর শব্দ করেন। তিনি নরকপালের মালা পরে থাকেন, চণ্ড ও মুণ্ডের হাড় চিবিয়ে ভক্ষণ করেন এবং রক্তের সঙ্গে মদ মিশিয়ে খান।
অবশ্য ধূমাবতীর রূপকল্পের কয়েকটি ব্যতিক্রমও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অষ্টাদশ শতাব্দীতে মোলারাম অঙ্কিত একটি চিত্রে দেবীকে দুটি শিকারী পক্ষীর দ্বারা বাহিত রথে আরূঢ়া মূর্তিতে দেখা যায়। এই মূর্তিতে তাঁর এক হাতে কুলো ও অপর হাতে বরদা মুদ্রা থাকলেও, তিনি যৌবনবতী, সুডৌলস্তনযুক্তা এবং স্বর্ণালঙ্কারভূষিতা।; যা তাঁর প্রচলিত মূর্তিকল্পের একেবারের বিপরীতধর্মী। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বারাণসীতে অঙ্কিত একটি চিত্রে দেবী ধূমাবতী কাকবাহনা, চতুর্ভূজা, ত্রিশূল, তরবারি, কুলো ও পাত্রহস্তা, কৃষ্ণবর্ণা, লম্বিতস্তনযুক্তা, শ্বেতবস্ত্রপরিহিতা ও শ্মশানচারিণী। এই ছবিতেও তিনি স্বর্ণালঙ্কারভূষিতা ও তাঁর নিম্নবস্ত্রে সোনার পাড়; যা বিধবার বেশের সঙ্গে বেমানান। অষ্টাদশ শতাব্দীর একটি নেপালি পুথিচিত্রে আবার ধূমাবতীর সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি মূর্তি দেখা যায়। দেবী এখানে সম্পূর্ণ নগ্না, উন্নতস্তনযুক্তা, মুক্তাহার ও মুকুট পরিহিতা, পদযুগল দুপাশে দিয়ে ময়ূরের উপর দণ্ডায়মানা, এবং একটি দর্পণে স্বীয় মুখমণ্ডল দর্শনরতা। তাঁর চতুর্পার্শ্বে অগ্নিবলয়, যা সম্ভবত শ্মশানচিতাগ্নির প্রতীক।
ধূমাবতী সর্বক্ষেত্রেই বিধবা রূপে কল্পিতা হন। তাই তিনিই একমাত্র মহাবিদ্যা, যাঁর স্বামী নেই। যদিও তিনি শিবেরই স্ত্রী ছিলেন; কিন্তু শিবকে তিনি ভক্ষণ করে ফেলেন এবং পরে শিব কর্তৃক পরিত্যক্তা হন। এই রূপে তিনি মহাবিশ্বের পুরুষকে ধ্বংস করে শূন্যের সঙ্গে বিরাজমান হন; কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর মহাশক্তি সত্ত্বাটি ক্ষুন্ন হয় না।অনেক গ্রন্থেই ধূমাবতীর সদাঅতৃপ্ত ক্ষুধা ও তৃষ্ণার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এটি তাঁর অতৃপ্ত কামনাবাসনার প্রতীক।
দেবীর অশ্ববিহীন রথারূঢ়া বিধবার বেশটি সমাজ ও জীবন থেকে নির্বাসিতা নারীর প্রতীক। তিনি "সকল দুর্ভাগ্য, অনাকর্ষণীয় ও অমঙ্গলের প্রতীক"।তিনি দরিদ্র, ভিখারিণী ও কুষ্ঠরোগাক্রান্তা। তিনি বাস করেন "জগতের ক্ষত", মরুভূমি, ভাঙা বাড়ি, দারিদ্র, ছেঁড়া কাঁথা, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, কলহ, সন্তানশোক, বন ও অন্যান্য বর্বর অধ্যুষিত অঞ্চলে।সাধারণত বিধবাদের অমঙ্গলজনক, বিপজ্জনক ও অশুভক্ষমতার অধিকারিণী বলে সন্দেহ করা হয়। তাই দিব্যবিধবা ধূমাবতীকেও সকলে ভয় করেন। ধূমাবতীকে কুটিল বৃদ্ধা বা ডাইনি বলে বর্ণনা করা হয়। তিনি চতুর ও কলহপ্রিয়া। এটি জীবনের ভয়ংকর দুঃখগুলির প্রতীক।
ব্যতিক্রমী চিত্রকলায় ধূমাবতী যৌবনবতী ও সালংকারা, তিনি যৌনেচ্ছা উদ্দীপনকারিণী, আকর্ষণীয়া অথচ অমঙ্গলময়ী বিধবা। তাঁর সহস্রনাম স্তোত্রে বলা হয়েছে যে, তিনি আনন্দপ্রদায়িনী, সর্বসুন্দরী ও মাল্য, অলংকার ও বস্ত্রভূষিতা। এই স্তোত্র অনুযায়ী, তিনি যৌনতার দেবী; রতি তাঁর রূপভেদ। উল্লেখ্য, রতি শব্দের আক্ষরিক অর্থ "যৌনসংগম" এবং এটি হিন্দু প্রেমের দেবীরও নাম। তিনি যৌনসংগম উপভোগ করেন; যেখানে যৌনক্রিয়া চলে, সেখানে উপস্থিত থাকেন এবং স্বয়ং যৌনাচারে অংশ নেন। তিনি মদ্যপান করতে ভালবাসেন এবং উন্মত্তা অবস্থায় থাকেন। এই কারণে মদ্যপেরা তাঁর পূজা করে। পঞ্চমকার সহযোগে তন্ত্রসাধনার সঙ্গেও তিনি সম্পৃক্তা থাকেন।
ধূমাবতী নারীর সমাজবিরোধী ও অমঙ্গলময় সত্ত্বার প্রতীক। তিনি লক্ষ্মীর বিপরীত শক্তি।অলক্ষ্মীর মতো ধূমাবতীও বর্ষাকালের চার মাসে (চতুর্মাস্য) পূজিতা হন। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এই সময় অশুভ জলশক্তি সূর্যালোককে আচ্ছন্ন করে রাখে এবং এই সময় বিষ্ণু নিদ্রা যান। এই সময় অন্ধকার রাজত্ব করে এবং আত্মা তাঁর নিজস্ব ঔজ্জ্বল্য হারায়। এই সময়টিকে অশুভ মনে করা হয় এবং বিবাহাদি কোনো শুভ কাজ এই সময় হয় না।
দেবীর মূর্তিকল্পে মৃত্যুর বাহক কাকের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন গ্রন্থাবলিতে উল্লিখিত তাঁর কাকের ন্যায় বৈশিষ্ট্যগুলি মৃত্যু ও অমঙ্গলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের প্রতীক। তাঁর মূর্তিকল্পে মৃত্যুর আর একটি প্রতীক হল শ্মশানক্ষেত্র ও চিতাগ্নির উপস্থিতি। সহস্রনাম স্তোত্র অনুযায়ী, ধূমাবতী শ্মশানবাসিনী, শবারূঢ়া, ভষ্মমণ্ডিতা ও শ্মশানচারীদের আশীর্বাদকারিণী। প্রপঞ্চসারাসার সমগ্র অনুযায়ী তিনি মৃতদেহের শরীর থেকে বস্ত্র সংগ্রহ করে তা পরিধান করেন।ধূমাবতী তমোগুণের প্রতীক, যা অজ্ঞতা ও অন্ধকারের সঙ্গে যুক্ত। তিনি মাংস ও মদ্য পছন্দ করেন, তামসিক প্রকৃতির।
নাম ও রূপের বাইরে, মানবীয় বর্গবিভাজনের বাইরে, একাকী ও অদ্বিতীয়া, প্রলয়রূপিণী তিনি (ধূমাবতী) সর্বোচ্চ জ্ঞান প্রকাশ করেন, যা আকারবিহীন, শুভাশুভ, শুদ্ধাশুদ্ধ ও মঙ্গল-অমঙ্গল-বিভেদরহিত।
নাম ও রূপের বাইরে, মানবীয় বর্গবিভাজনের বাইরে, একাকী ও অদ্বিতীয়া, প্রলয়রূপিণী তিনি (ধূমাবতী) সর্বোচ্চ জ্ঞান প্রকাশ করেন, যা আকারবিহীন, শুভাশুভ, শুদ্ধাশুদ্ধ ও মঙ্গল-অমঙ্গল-বিভেদরহিত।
কথিত আছে, ধূমাবতী মহাপ্রলয়ের সময় উপস্থিত হন। প্রলয়কালে উত্থিত প্রকাণ্ড কৃষ্ণ মেঘ তাঁর স্বরূপ। এই কারণে সহস্রনাম স্তোত্রে তাঁকে "প্রলয়রূপিণী", "প্রলয়মত্তা", "প্রলয়কারণস্বরূপিণী" ও "প্রলয়চারিণী" বলা হয়। অন্যমতে, তিনি মহাকালরূপী শিবের বিলোপের পরেও বিদ্যমান থাকেন। তাই তিনি "কালশক্তিস্বরূপিণী" এবং কালের বৃত্তের বাইরে অবস্থানকারিণী। ধূমাবতী মহাপ্রলয় বা শেষ প্রলয়ের এবং বিশ্ববিনাশের পর উত্থিত ধোঁয়ার প্রতীক।
"ধূমাবতী" নামটির অর্থ "ধূম্রময়ী"।কথিত আছে, পোড়ালে ধোঁয়া হয় না, এমন কিছু উৎসর্গ না করলে তিনি খুশি হন না। তিনি ধূপ ও চিতার ধোঁয়া পছন্দ করেন, যা ধ্বংসের প্রতীক। তিনি ধোঁয়ার আকারে বিহার করেন এবং যেখানে খুশি সেখানে যান।
ধূমাবতী সাধারণত অমঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলেও সহস্রনাম স্তোত্রে তাঁর কয়েকটি সদগুণেরও উল্লেখ রয়েছে। তিনি বরদাত্রী ও কোমলহৃদয়া। তাঁর স্তোত্রে বলা হয়েছে, তিনি নারীগণের মধ্যে বাস করেন এবং তাঁদের দ্বারা পূজিতা হন। এই স্তোত্রে তাঁকে সন্তানদাত্রীও বলা হয়েছে।
পূর্বপুরুষ বা পিতামহী সত্ত্বায় ধূমাবতী মহাগুরু ও পথনির্দেশকারিণী। তিনি জীবন ও মৃত্যু-সংক্রান্ত চরম সত্য জ্ঞান প্রদান করেন। যা অবশ্যম্ভাবী তা আচ্ছাদিত করে তাঁর ধোঁয়া। কিন্তু এর ফলে প্রকাশিত হয় "অজানা ও অরূপের" গুপ্ত সত্য। ফ্রলে বলেছেন, তাঁর বাইরের দরিদ্রবেশটি একটি মায়া-আচ্ছাদনমাত্র, যা তাঁর অন্তর্নিহিত সত্য রূপটিকে ঢেকে রাখে। তিনি প্রতীক সেই "সৌভাগ্যের যা দুর্ভাগ্যে ছদ্মবেশে আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়।"ধূমাবতী "যন্ত্রণার শক্তির" মূর্তরূপ। ধূমাবতীর দোষগুলি আসলে ধৈর্য, সহনশীলতা, ক্ষমাশীলতা ও বৈরাগ্যের মতো গুণগুলির জন্মদাতা। জীবনের দোষগুলি প্রকাশ না পেলে, সেই দোষের উত্তরণ ঘটে না এবং সত্যও মায়ার ধূম্রাচ্ছাদনের আড়ালেই থেকে যায়।
ধূমাবতীর বাইরের অমঙ্গলময় সত্ত্বা ও তাঁর ভয়ংকরী মূর্তিটি কামনাবাসনার নিবৃত্তিকে চরমপ্রাপ্তি মনে করার বিপদটি উদ্ঘাটন করে। কুলো শস্য বাছাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি বাইরের মায়া থেকে অন্তরের বাস্তবকে বেছে নেওয়ার প্রতীক। তাঁর কুৎসিত রূপ ভক্তকে এই শিক্ষাই দেয় যে, বাইরের চাকচিক্যময় রূপের বদলে অন্তর্নিহিত সত্যই মূল বস্তু।
ধূমাবতী সেই আদি অন্ধকার ও অজ্ঞানের মূর্তরূপ, যা থেকে মায়ার সংসারের সৃষ্টি। তিনি সৃষ্টির পূর্বে ও ধ্বংসের পরে এই অন্ধকার ও অজ্ঞানতার প্রতীক। এই অজ্ঞানতা, যা সর্বোচ্চ সত্যকে ঢেকে রাখে, তাও প্রয়োজনীয়। কারণ এই অজ্ঞানতার উপলব্ধি না থাকলে, সত্য জ্ঞান লাভ করা সম্ভবপর নয়। ধূমাবতী চৈতন্যের প্রাক-সৃষ্টি রূপ যোগনিদ্রা এবং যে আদি নিদ্রা বা মহাশূন্যে সকল সৃষ্টি মিলিত হয়ে ব্রহ্মে বিলীন হয়, তারও প্রতীক। এই মহাশূন্য শুদ্ধ চৈতন্য, চিত্তচাঞ্চল্যরোধকারী এবং নৈঃশব্দ।এমনকি ধূমাবতীর রোগসৃষ্টিকারী সত্ত্বাটিরও একটি ভাল দিক রয়েছে। রোগের মাধ্যমে তিনি দুষ্টকে শাস্তি দেন এবং জগৎ সংসারের স্থিতি বজায় রাখেন।ধূমাবতী হৃদপিণ্ড বা শরীরের মধ্যভাগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
কোনো কোনো মতে, ধূমাবতী কালীর বৃদ্ধা রূপ। এই রূপ কালীর কালোত্তীর্ণা সত্ত্বা ও অরূপ জীবনীশক্তির প্রতীক। অন্য এক মতে, ধূমাবতী হলেন শ্মশানকালীর অন্য রূপ। কালীকুল ঐতিহ্যে ধূমাবতী মহাশক্তির এক ভয়ংকরী রূপ হিসেবে কল্পিত হন।ধূমাবতীর নাম স্তোত্রে তাঁকে পার্বতী ও সতীর অংশ বলা হয়েছে এবং তাঁকে দানবদলনী রূপে বন্দনা করা হয়েছে।
ধূমাবতীকে অমঙ্গলের দেবী মনে করে সাধারণ ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলা হলেও, তাঁকে কোমলহৃদয়া এবং ভক্তের মনোবাঞ্ছাপূর্ণকারী বরদাত্রী রূপে বর্ণনাও করা হয়ে থাকে। অনেক স্থানেই ধূমাবতীকে সিদ্ধি বা অলৌকিক ক্ষমতার প্রদানকারিণী, বিপদ থেকে উদ্ধারকারিণী, সকল কামনা পূর্ণকারিণী এবং মোক্ষদাত্রীরূপে বর্ণনা করা হয়েছে।ধূমাবতী যে সকল অমঙ্গলজনক বিষয়গুলির দেবী, সেগুলি ঠেকাতে এবং সত্যের ধূম্রাচ্ছাদন উন্মোচন করতে তাঁর পূজা করা হয়।তিনি অপবিত্রতা, অমঙ্গলের প্রতীক ও সমাজবহির্ভূত বলে তাঁর পূজা করলে পূজক সমাজের নিত্যনৈমিত্তিক দ্বন্দ্বের বাইরে দৃষ্টিপাত করার শক্তি অর্জন করেন এবং সত্য জ্ঞান লাভ করতে সমর্থ হন।
যদিও বিবাহিত ব্যক্তিদের ধূমাবতীর পূজা করতে বারণ করা হয়। কথিত আছে, ধূমাবতীর পূজা করলে হৃদয়ে নির্জনতার পিপাসা বৃদ্ধি পায় এবং জাগতিক বিষয়ে বিতৃষ্ণা জাগে, যা আধ্যাত্মিক সাধনার সর্বোচ্চ বৈশিষ্ট্য। এই কারণে ধূমাবতীর পূজা সর্বত্যাগী ও পরিব্রাজক সন্ন্যাসীদের পক্ষে সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত। ধূমাবতীকে একাকী ব্যক্তিদের, বিশেষত বিধবাদের প্রতি পক্ষপাতী বলে বর্ণনা করা হয়। বিধবারাই একমাত্র তাঁর শক্তি সহ্য করতে পারেন বলে মনে করা হয়।
ধূমাবতীর মন্ত্রটি হল "ধূঁ ধূঁ ধূমাবতী স্বাহা"। এই মন্ত্রে তাঁর "ধূঁ" বীজমন্ত্রটিও অন্তর্ভুক্ত। এই মন্ত্রেই তাঁর পূজা হয়। কখনও কখনও যন্ত্রেও তাঁর পূজা করা হয়। ভক্তেরা অমঙ্গল ও মৃত্যুর হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে ধূমাবতীর পূজা করেন। ধূমাবতীর পূজায় পূজককে মন থেকে সকল চিন্তা মুছে ফেলে অচিন্ত্য অরূপের ধ্যান করতে হয়, এই মহাশূন্যরূপী অরূপেরই প্রতীক হলেন ধূমাবতী।
শক্তিসংগম তন্ত্র মতে, কোনো ব্যক্তিকে "উচাটন" বা নির্মূল করতে ধূমাবতীর পূজা করা যায়। পূজককে সেক্ষেত্রে জগত ও দেবীর মন্ত্রটিকে ধূসর রূপে কল্পনা করতে হবে। তাঁকে দাঁতে কালো রং করতে হবে, কালো পোষাক পরতে হবে, এবং অল্পাহার, ভূমিশয্যা ও ইন্দ্রিয়দমনের মতো কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হবে। এই পদ্ধতিটির "কাককর্ম"; অর্থাৎ, অপরের ক্ষতি করতে হলে তাঁকে "তাঁর মনকে কাকের ন্যায় করে তুলতে হবে"। অন্য একটি তন্ত্রগ্রন্থের মতে, পূজককে ধূমাবতীয় মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে শ্মশানক্ষেত্রে একটি কাক দগ্ধ করে শত্রুর ঘরে ছড়িয়ে দিতে হবে, তবেই সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।এই গ্রন্থে আরও বলা হয়েছে যে, ধূমাবতীকে কেবলমাত্র দক্ষিণমার্গেই পূজা করতে হবে।কালরুদ্র তন্ত্র গ্রন্থে, ধূমাবতীকে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে পূজা করার কথা বলে হলেও শাক্তপ্রমোদ গ্রন্থে সিদ্ধি অর্জন ও শত্রু বিনাশের জন্য তাঁর পূজার উল্লেখ রয়েছে।
রাত্রিকালে শ্মশানক্ষেত্রে ধূমাবতীর পূজা করা হয়। পূজককে নগ্নগাত্রে কেবলমাত্র কৌপিন পরিধান করে তাঁর পূজা করতে হয়। কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথি ধূমাবতীর পূজার পক্ষে প্রশস্ত। পূজককে পূজার দিন সারাদিন-সারারাত উপবাস করে মৌনী থাকতে হয়। এছাড়া তাঁদের শ্মশান, বন বা কোনো নির্জন স্থানে ভিজে কাপড়ে পাগড়ি মাথায় দিয়ে ধূমাবতীর মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে হোম করতে হয়।
ধূমাবতীর মন্দিরের সংখ্যা অত্যন্ত অল্প। বারাণসীর একটি মন্দিরে ধূমাবতী হলেন প্রধান দেবতা। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি ও গুয়াহাটির নিকটবর্তী কামাখ্যা মন্দিরের কাছে ধূমাবতীর ছোটো মন্দির রয়েছে। বারাণসীর মন্দিরটিকে শক্তিপীঠ বলে দাবি করা হয়। এই মন্দিরে দেবী রথারূঢ়া ও চতুর্ভূজা, তাঁর চার হাতে কুলো, ঝাঁটা, পাত্র ও অভয়মুদ্রা।এখানে ফল ও ফুল দিয়ে দেবীর পূজা করা হলেও মদ, ভাঙ, সিগারেট, মাংস, এমনকি রক্ত দিয়েও পূজা করা হয়ে থাকে।সন্ন্যাসী ও তান্ত্রিকরা এই মন্দিরে ধূমাবতীর পূজা করেন।দেবীর অমঙ্গলজনক সত্ত্বাটির জন্য কেবলমাত্র তান্ত্রিক বীরাচারেই দেবীর পূজা করা হয়।তবে এই মন্দিরে দেবী গ্রামদেবতা বা স্থানীয়দের রক্ষাকর্ত্রীরূপেও পূজিতা হন। এখানে বিবাহিত যুগলেও পূজা উৎসর্গ করে থাকেন।
================================
9>কল্কির রুপক দেবী মাতঙ্গী
দেবী মাতঙ্গী হল দশমহাবিদ্যার অন্যতম কারো মতে নবম মহাবিদ্যা। দেবী মূলতঃ স্বরস্বতী দেবীর তাত্রিক রুপ হিসাবেই চিহ্নিত হন । মাতঙ্গী দেবী সংগীত..
কল্কির রুপক দেবী মাতঙ্গী
দেবী মাতঙ্গী হল দশমহাবিদ্যার অন্যতম কারো মতে নবম মহাবিদ্যা। দেবী মূলতঃ স্বরস্বতী দেবীর তাত্রিক রুপ হিসাবেই চিহ্নিত হন । মাতঙ্গী দেবী সংগীত, কলা বিশেষত আর্টসের উপর আধিপত্য বিস্তার কারী । তাকে একজন চন্ডালিনী হিসাবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে । ভারত তন্ত্রসার ধ্যান মন্তে দেবীকে উচিষ্ঠা মাতঙ্গী হিসাবে দেখানো হয়েছে। এখানে মাতঙ্গী দেবীকে একটি মৃতদেহ উপর উপবিষ্ট এবং লাল জামা, লাল জহরত পরেন । দেবীর সম্পূর্ণরূপে বিকশিত স্তন সঙ্গে একটি অল্প বয়স্ক,( ষোল বছর বয়সী) কুমারী হিসাবে অভিহিত করা হয়। তিনি একহাতে একটি মস্তক এবং দুই হাতে একটি তরবারি বহন করেন। তার গায়ের রং নীল হিসাবে বর্ণনা করা হয় । তার কোমর পাতলা। তার কপাল ক্রিসেন্ট চাঁদ । তার তিনটি চোখ এবং হাস্যমুখে থাকেন । তিনি মণিরত্ন
পরিধান করেন এবং একটি অলংকার সজ্জিত সিংহাসনে বসেন।
Shyamaladandakam মতে, মাতঙ্গী একটি রুবি-খচিত বীনা বাজান এবং মিতভাষী । ধ্যান মন্ত্রতে চার হাত বিশিষ্ট কালো পান্না গাত্রবর্ণ , পুরো স্তন লাল কুমকুম পাউডারএ উদ্বর্তিত, এবং তার কপাল উপর একটি ক্রিসেন্ট চাঁদ সঙ্গে বর্ণনা করা হয়েছে। তাকে দেবী ত্রিপুরা সুন্দরীর মত প্রায়ই বর্ণনা করা হয় ।তার সবুজ গাত্রবর্ণ গভীর জ্ঞান সঙ্গে যুক্ত তাই প্রায়ই বক্তৃতায় প্রতিনিধিত্বমূলক, তার হাতে একটি তোতাপাখি দেখানো হয়। মুন্ডমালা নামের একটি গ্রন্থের দশমহাবিদ্যার অস্তিত্ব পাওয়া যায় মনে করা হয় যে বিষনুর দশ অবতারের প্রাথমিক রুপ। মাতঙ্গীকে শেষ অবতার কল্কির রুপক হিসাবেই মনে করা হয় । শক্তি ভাগবত পুরান অনুযায়ী দশমহাবিদ্যার যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তাতে দেবী মাতঙ্গীকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শিবকে আক্রমণ করতে দেখান হ
য়েছে।(গল্পটি অন্য মহাবিদ্যার আলোচনাতেও আছে দেখে নিতে অনুরোধ করছি) শক্তিসঙ্গমা তন্ত্রে উচ্ছিষ্টা মাতঙ্গীনীর উতপত্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, একবার দেবতা বি
ষ্ণু ও তার স্ত্রী লক্ষ্মী শিব এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী পার্বতীকে (সতীর পুনরায় দেহধারণ) পরিদর্শন করেন। তাদের খাবার খাওয়ার সময় তাদের খাদ্য অবশিষ্ট থাকে এবং সেখানে একটি সুন্দর কুমারীকে পড়ে থাকতে দেখেন । কিছু খাবার দেবতারা মাটিতেও ফেলেছিল । ঐ কুমারি অবশিষ্ট খাদ্য গ্রহন করেন বলে সেদিন থেকেই কুমারী উচ্ছিষ্টা মাতঙ্গীনী নামে পরিচিত হন। এই মাতঙ্গীনীকে দূষিত রাস্ট্রের সাথেও তুলনা করা হয়ে থাকে।মাতঙ্গী হচ্ছে সেই স্তবক যারা খাদ্য গ্রহন করে হাত-মুখ ধৌত করেনা পুনরায় খাদ্য গ্রহন করে মূলধারার হিন্দুধর্মে এ ধরনের অভ্যাসকে নিষিদ্ধ করা হয়।সে কারনেই ঋতুবতী কন্যাদেরকে মুল পূজার থেকে দূরে রাখা হয় তাছাড়াও মাসিকের দাগ লাগা কোন কাপড়কেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নেপালে মাতঙ্গী সম্প্রদায় রয়েছে যারা ময়লা জামা-কাপড়ই শুধু নয় তারা বলির পশুর থেকেও কাপড় সংগ্রহ করে থাকে।যা মূলধারার হিন্দুধর্মে কোনমতেই গ্রহনযোগ্য না। নেপালে এদেরকে ট্যাবু হিসাবে চিহ্নিত করা হয় । তবে কোথাও কোথাও রাজ-মাতঙ্গী পূজা উদযাপিত হতে পারে । উচ্ছিস্ট মাতঙ্গী পূজা ও হয়ে থাকে । বাংলাদেশেও মাতঙ্গী পূজা হতে পারে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত নই। দেবী মাতঙ্গী হল দশমহাবিদ্যার অন্যতম কারো মতে নবম মহাবিদ্যা। দেবী মূলতঃ স্বরস্বতী দেবীর তাত্রিক রুপ হিসাবেই চিহ্নিত হন । মাতঙ্গী দেবী সংগীত, কলা বিশেষত আর্টসের উপর আধিপত্য বিস্তার কারী । তাকে একজন চন্ডালিনী হিসাবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে । ভারত তন্ত্রসার ধ্যান মন্তে দেবীকে উচিষ্ঠা মাতঙ্গী হিসাবে দেখানো হয়েছে। এখানে মাতঙ্গী দেবীকে একটি মৃতদেহ উপর উপবিষ্ট এবং লাল জামা, লাল জহরত পরেন । দেবীর সম্পূর্ণরূপে বিকশিত স্তন সঙ্গে একটি অল্প বয়স্ক,( ষোল বছর বয়সী) কুমারী হিসাবে অভিহিত করা হয়। তিনি একহাতে একটি মস্তক এবং দুই হাতে একটি তরবারি বহন করেন। তার গায়ের রং নীল হিসাবে বর্ণনা করা হয় । তার কোমর পাতলা। তার কপাল ক্রিসেন্ট চাঁদ । তার তিনটি চোখ এবং হাস্যমুখে থাকেন । তিনি মণিরত্ন পরিধান করেন এবং একটি অলংকার সজ্জিত সিংহাসনে বসেন। Shyamaladandakam মতে, মাতঙ্গী একটি রুবি-খচিত বীনা বাজান এবং মিতভাষী । ধ্যান মন্ত্রতে চার হাত বিশিষ্ট কালো পান্না গাত্রবর্ণ , পুরো স্তন লাল কুমকুম পাউডারএ উদ্বর্তিত, এবং তার কপাল উপর একটি ক্রিসেন্ট চাঁদ সঙ্গে বর্ণনা করা হয়েছে। তাকে দেবী ত্রিপুরা সুন্দরীর মত প্রায়ই বর্ণনা করা হয় ।তার সবুজ গাত্রবর্ণ গভীর জ্ঞান সঙ্গে যুক্ত তাই প্রায়ই বক্তৃতায় প্রতিনিধিত্বমূলক, তার হাতে একটি তোতাপাখি দেখানো হয়। মুন্ডমালা নামের একটি গ্রন্থের দশমহাবিদ্যার অস্তিত্ব পাওয়া যায় মনে করা হয় যে বিষনুর দশ অবতারের প্রাথমিক রুপ। মাতঙ্গীকে শেষ অবতার কল্কির রুপক হিসাবেই মনে করা হয় । শক্তি ভাগবত পুরান অনুযায়ী দশমহাবিদ্যার যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তাতে দেবী মাতঙ্গীকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শিবকে আক্রমণ করতে দেখান হয়েছে।(গল্পটি অন্য মহাবিদ্যার আলোচনাতেও আছে দেখে নিতে অনুরোধ করছি) শক্তিসঙ্গমা তন্ত্রে উচ্ছিষ্টা মাতঙ্গীনীর উতপত্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, একবার দেবতা বিষ্ণু ও তার স্ত্রী লক্ষ্মী শিব এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী পার্বতীকে (সতীর পুনরায় দেহধারণ) পরিদর্শন করেন। তাদের খাবার খাওয়ার সময় তাদের খাদ্য অবশিষ্ট থাকে এবং সেখানে একটি সুন্দর কুমারীকে পড়ে থাকতে দেখেন । কিছু খাবার দেবতারা মাটিতেও ফেলেছিল । ঐ কুমারি অবশিষ্ট খাদ্য গ্রহন করেন বলে সেদিন থেকেই কুমারী উচ্ছিষ্টা মাতঙ্গীনী নামে পরিচিত হন। এই মাতঙ্গীনীকে দূষিত রাস্ট্রের সাথেও তুলনা করা হয়ে থাকে।মাতঙ্গী হচ্ছে সেই স্তবক যারা খাদ্য গ্রহন করে হাত-মুখ ধৌত করেনা পুনরায় খাদ্য গ্রহন করে মূলধারার হিন্দুধর্মে এ ধরনের অভ্যাসকে নিষিদ্ধ করা হয়।সে কারনেই ঋতুবতী কন্যাদেরকে মুল পূজার থেকে দূরে রাখা হয় তাছাড়াও মাসিকের দাগ লাগা কোন কাপড়কেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নেপালে মাতঙ্গী সম্প্রদায় রয়েছে যারা ময়লা জামা-কাপড়ই শুধু নয় তারা বলির পশুর
থেকেও কাপড় সংগ্রহ করে থাকে।যা মূলধারার হিন্দুধর্মে কোনমতেই গ্রহনযোগ্য না। নেপালে এদেরকে ট্যাবু হিসাবে চিহ্নিত করা হয় । তবে কোথাও কোথাও রাজ-মাতঙ্গী পূজা উদযাপিত হতে পারে । উচ্ছিস্ট মাতঙ্গী পূজা ও হয়ে থাকে । বাংলাদেশেও মাতঙ্গী পূজা হতে পারে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত নই।
================================
10>कालिका माता के 7 रहस्य जानें और सुख पाएं...
मां दुर्गा ने कई जन्म लिए थे। उनमें से दो जन्मों की कथाएं ज्यादा प्रसिद्ध हैं। पहला, जब उन्होंने राजा दक्ष के यहां सती के रूप में जन्म लिया था और फिर वे यज्ञ की आग में कूदकर भस्म हो गई थीं। दूसरा, जब उन्होंने पर्वतराज हिमालय की पुत्री के रूप में जन्म लिया, तब वे पार्वती कहलाईं।
दक्ष प्रजापति ब्रह्मा के पुत्र थे। उनकी दत्तक पुत्री थीं सती, जिन्होंने तपस्या करके शिव को अपना पति बनाया, लेकिन शिव की जीवनशैली दक्ष को बिलकुल ही नापसंद थी। शिव और सती का अत्यंत सुखी दांपत्य जीवन था, पर शिव को बेइज्जत करने का खयाल दक्ष के दिल से नहीं गया था। इसी मंशा से उन्होंने एक यज्ञ का आयोजन किया जिसमें शिव और सती को छोड़कर सभी देवी-देवताओं को निमंत्रित किया।
जब सती को इसकी सूचना मिली तो उन्होंने उस यज्ञ में जाने की ठान ली। शिव से अनुमति मांगी, तो उन्होंने साफ मना कर दिया। उन्होंने कहा कि जब हमें बुलाया ही नहीं है, तो हम क्यों जाएं? सती ने कहा कि मेरे पिता हैं तो मैं तो बिन बुलाए भी जा सकती हूं। लेकिन शिव ने उन्हें वहां जाने से मना किया तो माता सती को क्रोध आ गया और क्रोधित होकर वे कहने लगीं- 'मैं दक्ष यज्ञ में जाऊंगी और उसमें अपना हिस्सा लूंगी, नहीं तो उसका विध्वंस कर दूंगी।'
वे पिता और पति के इस व्यवहार से इतनी आहत हुईं कि क्रोध से उनकी आंखें लाल हो गईं। वे उग्र-दृष्टि से शिव को देखने लगीं। उनके होंठ फड़फड़ाने लगे। फिर उन्होंने भयानक अट्टहास किया। शिव भयभीत हो गए। वे इधर-उधर भागने लगे। उधर क्रोध से सती का शरीर जलकर काला पड़ गया।
उनके इस विकराल रूप को देखकर शिव तो भाग चले लेकिन जिस दिशा में भी वे जाते वहां एक-न-एक भयानक देवी उनका रास्ता रोक देतीं। वे दसों दिशाओं में भागे और 10 देवियों ने उनका रास्ता रोका और अंत में सभी काली में मिल गईं। हारकर शिव सती के सामने आ खड़े हुए। उन्होंने सती से पूछा- 'कौन हैं ये?'
सती ने बताया- 'ये मेरे 10 रूप हैं। आपके सामने खड़ी कृष्ण रंग की काली हैं, आपके ऊपर नीले रंग की तारा हैं, पश्चिम में छिन्नमस्ता, बाएं भुवनेश्वरी, पीठ के पीछे बगलामुखी, पूर्व-दक्षिण में द्यूमावती, दक्षिण-पश्चिम में त्रिपुर सुंदरी, पश्चिम-उत्तर में मातंगी तथा उत्तर-पूर्व में षोडशी हैं और मैं खुद भैरवी रूप में अभयदान देने के लिए आपके सामने खड़ी हूं।’ माता का यह विकराल रूप देख शिव कुछ भी नहीं कह पाए और वे दक्ष यज्ञ में चली गईं।
महाकाल की काली। '
কল্কির রুপক দেবী মাতঙ্গী
দেবী মাতঙ্গী হল দশমহাবিদ্যার অন্যতম কারো মতে নবম মহাবিদ্যা। দেবী মূলতঃ স্বরস্বতী দেবীর তাত্রিক রুপ হিসাবেই চিহ্নিত হন । মাতঙ্গী দেবী সংগীত, কলা বিশেষত আর্টসের উপর আধিপত্য বিস্তার কারী । তাকে একজন চন্ডালিনী হিসাবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে । ভারত তন্ত্রসার ধ্যান মন্তে দেবীকে উচিষ্ঠা মাতঙ্গী হিসাবে দেখানো হয়েছে। এখানে মাতঙ্গী দেবীকে একটি মৃতদেহ উপর উপবিষ্ট এবং লাল জামা, লাল জহরত পরেন । দেবীর সম্পূর্ণরূপে বিকশিত স্তন সঙ্গে একটি অল্প বয়স্ক,( ষোল বছর বয়সী) কুমারী হিসাবে অভিহিত করা হয়। তিনি একহাতে একটি মস্তক এবং দুই হাতে একটি তরবারি বহন করেন। তার গায়ের রং নীল হিসাবে বর্ণনা করা হয় । তার কোমর পাতলা। তার কপাল ক্রিসেন্ট চাঁদ । তার তিনটি চোখ এবং হাস্যমুখে থাকেন । তিনি মণিরত্ন
পরিধান করেন এবং একটি অলংকার সজ্জিত সিংহাসনে বসেন।
Shyamaladandakam মতে, মাতঙ্গী একটি রুবি-খচিত বীনা বাজান এবং মিতভাষী । ধ্যান মন্ত্রতে চার হাত বিশিষ্ট কালো পান্না গাত্রবর্ণ , পুরো স্তন লাল কুমকুম পাউডারএ উদ্বর্তিত, এবং তার কপাল উপর একটি ক্রিসেন্ট চাঁদ সঙ্গে বর্ণনা করা হয়েছে। তাকে দেবী ত্রিপুরা সুন্দরীর মত প্রায়ই বর্ণনা করা হয় ।তার সবুজ গাত্রবর্ণ গভীর জ্ঞান সঙ্গে যুক্ত তাই প্রায়ই বক্তৃতায় প্রতিনিধিত্বমূলক, তার হাতে একটি তোতাপাখি দেখানো হয়। মুন্ডমালা নামের একটি গ্রন্থের দশমহাবিদ্যার অস্তিত্ব পাওয়া যায় মনে করা হয় যে বিষনুর দশ অবতারের প্রাথমিক রুপ। মাতঙ্গীকে শেষ অবতার কল্কির রুপক হিসাবেই মনে করা হয় । শক্তি ভাগবত পুরান অনুযায়ী দশমহাবিদ্যার যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তাতে দেবী মাতঙ্গীকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শিবকে আক্রমণ করতে দেখান হ
য়েছে।(গল্পটি অন্য মহাবিদ্যার আলোচনাতেও আছে দেখে নিতে অনুরোধ করছি) শক্তিসঙ্গমা তন্ত্রে উচ্ছিষ্টা মাতঙ্গীনীর উতপত্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, একবার দেবতা বি
ষ্ণু ও তার স্ত্রী লক্ষ্মী শিব এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী পার্বতীকে (সতীর পুনরায় দেহধারণ) পরিদর্শন করেন। তাদের খাবার খাওয়ার সময় তাদের খাদ্য অবশিষ্ট থাকে এবং সেখানে একটি সুন্দর কুমারীকে পড়ে থাকতে দেখেন । কিছু খাবার দেবতারা মাটিতেও ফেলেছিল । ঐ কুমারি অবশিষ্ট খাদ্য গ্রহন করেন বলে সেদিন থেকেই কুমারী উচ্ছিষ্টা মাতঙ্গীনী নামে পরিচিত হন। এই মাতঙ্গীনীকে দূষিত রাস্ট্রের সাথেও তুলনা করা হয়ে থাকে।মাতঙ্গী হচ্ছে সেই স্তবক যারা খাদ্য গ্রহন করে হাত-মুখ ধৌত করেনা পুনরায় খাদ্য গ্রহন করে মূলধারার হিন্দুধর্মে এ ধরনের অভ্যাসকে নিষিদ্ধ করা হয়।সে কারনেই ঋতুবতী কন্যাদেরকে মুল পূজার থেকে দূরে রাখা হয় তাছাড়াও মাসিকের দাগ লাগা কোন কাপড়কেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নেপালে মাতঙ্গী সম্প্রদায় রয়েছে যারা ময়লা জামা-কাপড়ই শুধু নয় তারা বলির পশুর থেকেও কাপড় সংগ্রহ করে থাকে।যা মূলধারার হিন্দুধর্মে কোনমতেই গ্রহনযোগ্য না। নেপালে এদেরকে ট্যাবু হিসাবে চিহ্নিত করা হয় । তবে কোথাও কোথাও রাজ-মাতঙ্গী পূজা উদযাপিত হতে পারে । উচ্ছিস্ট মাতঙ্গী পূজা ও হয়ে থাকে । বাংলাদেশেও মাতঙ্গী পূজা হতে পারে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত নই। দেবী মাতঙ্গী হল দশমহাবিদ্যার অন্যতম কারো মতে নবম মহাবিদ্যা। দেবী মূলতঃ স্বরস্বতী দেবীর তাত্রিক রুপ হিসাবেই চিহ্নিত হন । মাতঙ্গী দেবী সংগীত, কলা বিশেষত আর্টসের উপর আধিপত্য বিস্তার কারী । তাকে একজন চন্ডালিনী হিসাবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে । ভারত তন্ত্রসার ধ্যান মন্তে দেবীকে উচিষ্ঠা মাতঙ্গী হিসাবে দেখানো হয়েছে। এখানে মাতঙ্গী দেবীকে একটি মৃতদেহ উপর উপবিষ্ট এবং লাল জামা, লাল জহরত পরেন । দেবীর সম্পূর্ণরূপে বিকশিত স্তন সঙ্গে একটি অল্প বয়স্ক,( ষোল বছর বয়সী) কুমারী হিসাবে অভিহিত করা হয়। তিনি একহাতে একটি মস্তক এবং দুই হাতে একটি তরবারি বহন করেন। তার গায়ের রং নীল হিসাবে বর্ণনা করা হয় । তার কোমর পাতলা। তার কপাল ক্রিসেন্ট চাঁদ । তার তিনটি চোখ এবং হাস্যমুখে থাকেন । তিনি মণিরত্ন পরিধান করেন এবং একটি অলংকার সজ্জিত সিংহাসনে বসেন। Shyamaladandakam মতে, মাতঙ্গী একটি রুবি-খচিত বীনা বাজান এবং মিতভাষী । ধ্যান মন্ত্রতে চার হাত বিশিষ্ট কালো পান্না গাত্রবর্ণ , পুরো স্তন লাল কুমকুম পাউডারএ উদ্বর্তিত, এবং তার কপাল উপর একটি ক্রিসেন্ট চাঁদ সঙ্গে বর্ণনা করা হয়েছে। তাকে দেবী ত্রিপুরা সুন্দরীর মত প্রায়ই বর্ণনা করা হয় ।তার সবুজ গাত্রবর্ণ গভীর জ্ঞান সঙ্গে যুক্ত তাই প্রায়ই বক্তৃতায় প্রতিনিধিত্বমূলক, তার হাতে একটি তোতাপাখি দেখানো হয়। মুন্ডমালা নামের একটি গ্রন্থের দশমহাবিদ্যার অস্তিত্ব পাওয়া যায় মনে করা হয় যে বিষনুর দশ অবতারের প্রাথমিক রুপ। মাতঙ্গীকে শেষ অবতার কল্কির রুপক হিসাবেই মনে করা হয় । শক্তি ভাগবত পুরান অনুযায়ী দশমহাবিদ্যার যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তাতে দেবী মাতঙ্গীকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শিবকে আক্রমণ করতে দেখান হয়েছে।(গল্পটি অন্য মহাবিদ্যার আলোচনাতেও আছে দেখে নিতে অনুরোধ করছি) শক্তিসঙ্গমা তন্ত্রে উচ্ছিষ্টা মাতঙ্গীনীর উতপত্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, একবার দেবতা বিষ্ণু ও তার স্ত্রী লক্ষ্মী শিব এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী পার্বতীকে (সতীর পুনরায় দেহধারণ) পরিদর্শন করেন। তাদের খাবার খাওয়ার সময় তাদের খাদ্য অবশিষ্ট থাকে এবং সেখানে একটি সুন্দর কুমারীকে পড়ে থাকতে দেখেন । কিছু খাবার দেবতারা মাটিতেও ফেলেছিল । ঐ কুমারি অবশিষ্ট খাদ্য গ্রহন করেন বলে সেদিন থেকেই কুমারী উচ্ছিষ্টা মাতঙ্গীনী নামে পরিচিত হন। এই মাতঙ্গীনীকে দূষিত রাস্ট্রের সাথেও তুলনা করা হয়ে থাকে।মাতঙ্গী হচ্ছে সেই স্তবক যারা খাদ্য গ্রহন করে হাত-মুখ ধৌত করেনা পুনরায় খাদ্য গ্রহন করে মূলধারার হিন্দুধর্মে এ ধরনের অভ্যাসকে নিষিদ্ধ করা হয়।সে কারনেই ঋতুবতী কন্যাদেরকে মুল পূজার থেকে দূরে রাখা হয় তাছাড়াও মাসিকের দাগ লাগা কোন কাপড়কেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নেপালে মাতঙ্গী সম্প্রদায় রয়েছে যারা ময়লা জামা-কাপড়ই শুধু নয় তারা বলির পশুর
থেকেও কাপড় সংগ্রহ করে থাকে।যা মূলধারার হিন্দুধর্মে কোনমতেই গ্রহনযোগ্য না। নেপালে এদেরকে ট্যাবু হিসাবে চিহ্নিত করা হয় । তবে কোথাও কোথাও রাজ-মাতঙ্গী পূজা উদযাপিত হতে পারে । উচ্ছিস্ট মাতঙ্গী পূজা ও হয়ে থাকে । বাংলাদেশেও মাতঙ্গী পূজা হতে পারে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত নই।
================================
10>कालिका माता के 7 रहस्य जानें और सुख पाएं...
मां दुर्गा ने कई जन्म लिए थे। उनमें से दो जन्मों की कथाएं ज्यादा प्रसिद्ध हैं। पहला, जब उन्होंने राजा दक्ष के यहां सती के रूप में जन्म लिया था और फिर वे यज्ञ की आग में कूदकर भस्म हो गई थीं। दूसरा, जब उन्होंने पर्वतराज हिमालय की पुत्री के रूप में जन्म लिया, तब वे पार्वती कहलाईं।
दक्ष प्रजापति ब्रह्मा के पुत्र थे। उनकी दत्तक पुत्री थीं सती, जिन्होंने तपस्या करके शिव को अपना पति बनाया, लेकिन शिव की जीवनशैली दक्ष को बिलकुल ही नापसंद थी। शिव और सती का अत्यंत सुखी दांपत्य जीवन था, पर शिव को बेइज्जत करने का खयाल दक्ष के दिल से नहीं गया था। इसी मंशा से उन्होंने एक यज्ञ का आयोजन किया जिसमें शिव और सती को छोड़कर सभी देवी-देवताओं को निमंत्रित किया।
जब सती को इसकी सूचना मिली तो उन्होंने उस यज्ञ में जाने की ठान ली। शिव से अनुमति मांगी, तो उन्होंने साफ मना कर दिया। उन्होंने कहा कि जब हमें बुलाया ही नहीं है, तो हम क्यों जाएं? सती ने कहा कि मेरे पिता हैं तो मैं तो बिन बुलाए भी जा सकती हूं। लेकिन शिव ने उन्हें वहां जाने से मना किया तो माता सती को क्रोध आ गया और क्रोधित होकर वे कहने लगीं- 'मैं दक्ष यज्ञ में जाऊंगी और उसमें अपना हिस्सा लूंगी, नहीं तो उसका विध्वंस कर दूंगी।'
वे पिता और पति के इस व्यवहार से इतनी आहत हुईं कि क्रोध से उनकी आंखें लाल हो गईं। वे उग्र-दृष्टि से शिव को देखने लगीं। उनके होंठ फड़फड़ाने लगे। फिर उन्होंने भयानक अट्टहास किया। शिव भयभीत हो गए। वे इधर-उधर भागने लगे। उधर क्रोध से सती का शरीर जलकर काला पड़ गया।
उनके इस विकराल रूप को देखकर शिव तो भाग चले लेकिन जिस दिशा में भी वे जाते वहां एक-न-एक भयानक देवी उनका रास्ता रोक देतीं। वे दसों दिशाओं में भागे और 10 देवियों ने उनका रास्ता रोका और अंत में सभी काली में मिल गईं। हारकर शिव सती के सामने आ खड़े हुए। उन्होंने सती से पूछा- 'कौन हैं ये?'
सती ने बताया- 'ये मेरे 10 रूप हैं। आपके सामने खड़ी कृष्ण रंग की काली हैं, आपके ऊपर नीले रंग की तारा हैं, पश्चिम में छिन्नमस्ता, बाएं भुवनेश्वरी, पीठ के पीछे बगलामुखी, पूर्व-दक्षिण में द्यूमावती, दक्षिण-पश्चिम में त्रिपुर सुंदरी, पश्चिम-उत्तर में मातंगी तथा उत्तर-पूर्व में षोडशी हैं और मैं खुद भैरवी रूप में अभयदान देने के लिए आपके सामने खड़ी हूं।’ माता का यह विकराल रूप देख शिव कुछ भी नहीं कह पाए और वे दक्ष यज्ञ में चली गईं।
महाकाल की काली। '
काली' का अर्थ है समय और काल। काल, जो सभी को अपने में निगल जाता है। भयानक अंधकार और श्मशान की देवी। वेद अनुसार 'समय ही आत्मा है, आत्मा ही समय है'। मां कालिका की उत्पत्ति धर्म की रक्षा और पापियों-राक्षसों का विनाश करने के लिए हुई है।
काली को माता जगदम्बा की महामाया कहा गया है। मां ने सती और पार्वती के रूप में जन्म लिया था। सती रूप में ही उन्होंने 10 महाविद्याओं के माध्यम से अपने 10 जन्मों की शिव को झांकी दिखा दी थी।
नाम : माता कालिका
शस्त्र : त्रिशूल और तलवार
वार : शुक्रवार
दिन : अमावस्या
ग्रंथ : कालिका पुराण
मंत्र : ॐ ह्रीं श्रीं क्रीं परमेश्वरि कालिके स्वाहा
दुर्गा का एक रूप : माता कालिका 10 महाविद्याओं में से एक
मां काली के 4 रूप हैं- दक्षिणा काली, शमशान काली, मातृ काली और महाकाली।
राक्षस वध : माता ने महिषासुर, चंड, मुंड, धूम्राक्ष, रक्तबीज, शुम्भ, निशुम्भ आदि राक्षसों के वध किए थे।माता कालिका के प्रसिद्ध तीन मंदिर
कलियुग में 3 देवता जाग्रत कहे गए हैं- हनुमान, कालिका और भैरव। कालिका की उपासना जीवन में सुख, शांति, शक्ति, विद्या देने वाली बताई गई है। मां कालिका की भक्ति का प्रभाव व्यावहारिक जीवन में मानसिक, शारीरिक और सांसारिक बुराइयों के अंत के रूप में दिखाई देता है जिससे किसी भी इंसान के तनाव, भय और कलह का नाश हो जाता है।
हिन्दू धर्म में सबसे जागृत देवी हैं मां कालिका। मां कालिका को खासतौर पर बंगाल और असम में पूजा जाता है। 'काली' शब्द का अर्थ काल और काले रंग से है। 'काल' का अर्थ समय। मां काली को देवी दुर्गा की 10 महाविद्याओं में से एक माना जाता है।
विशेष : कालिका के दरबार में जो एक बार चला जाता है उसका नाम-पता दर्ज हो जाता है। यहां यदि दान मिलता है तो दंड भी। आशीर्वाद मिलता है तो शाप भी। यदि आप कालिका के दरबार में जो भी वादा करने आएं, उसे पूरा जरूर करें। जो भी मन्नत के बदले को करने का वचन दें, उसे पूरा जरूर करें अन्यथा कालिका माता रुष्ट हो सकती हैं। जो एकनिष्ठ, सत्यवादी और वचन का पक्का है समझो उसका काम भी तुरंत होगा।
दुखों को तुरंत दूर करतीं काली :
काली को माता जगदम्बा की महामाया कहा गया है। मां ने सती और पार्वती के रूप में जन्म लिया था। सती रूप में ही उन्होंने 10 महाविद्याओं के माध्यम से अपने 10 जन्मों की शिव को झांकी दिखा दी थी।
नाम : माता कालिका
शस्त्र : त्रिशूल और तलवार
वार : शुक्रवार
दिन : अमावस्या
ग्रंथ : कालिका पुराण
मंत्र : ॐ ह्रीं श्रीं क्रीं परमेश्वरि कालिके स्वाहा
दुर्गा का एक रूप : माता कालिका 10 महाविद्याओं में से एक
मां काली के 4 रूप हैं- दक्षिणा काली, शमशान काली, मातृ काली और महाकाली।
राक्षस वध : माता ने महिषासुर, चंड, मुंड, धूम्राक्ष, रक्तबीज, शुम्भ, निशुम्भ आदि राक्षसों के वध किए थे।माता कालिका के प्रसिद्ध तीन मंदिर
कलियुग में 3 देवता जाग्रत कहे गए हैं- हनुमान, कालिका और भैरव। कालिका की उपासना जीवन में सुख, शांति, शक्ति, विद्या देने वाली बताई गई है। मां कालिका की भक्ति का प्रभाव व्यावहारिक जीवन में मानसिक, शारीरिक और सांसारिक बुराइयों के अंत के रूप में दिखाई देता है जिससे किसी भी इंसान के तनाव, भय और कलह का नाश हो जाता है।
हिन्दू धर्म में सबसे जागृत देवी हैं मां कालिका। मां कालिका को खासतौर पर बंगाल और असम में पूजा जाता है। 'काली' शब्द का अर्थ काल और काले रंग से है। 'काल' का अर्थ समय। मां काली को देवी दुर्गा की 10 महाविद्याओं में से एक माना जाता है।
विशेष : कालिका के दरबार में जो एक बार चला जाता है उसका नाम-पता दर्ज हो जाता है। यहां यदि दान मिलता है तो दंड भी। आशीर्वाद मिलता है तो शाप भी। यदि आप कालिका के दरबार में जो भी वादा करने आएं, उसे पूरा जरूर करें। जो भी मन्नत के बदले को करने का वचन दें, उसे पूरा जरूर करें अन्यथा कालिका माता रुष्ट हो सकती हैं। जो एकनिष्ठ, सत्यवादी और वचन का पक्का है समझो उसका काम भी तुरंत होगा।
दुखों को तुरंत दूर करतीं काली :
10 महाविद्याओं में से साधक महाकाली की साधना को सबसे शक्तिशाली और प्रभावशाली मानते हैं, जो किसी भी कार्य का तुरंत परिणाम देती हैं। साधना को सही तरीके से करने से साधकों को अष्टसिद्धि प्राप्त होती है। काली की पूजा या साधना के लिए किसी गुरु या जानकार व्यक्ति की मदद लेना जरूरी है।
महाकाली को खुश करने के लिए उनकी फोटो या प्रतिमा के साथ महाकाली के मंत्रों का जाप भी किया जाता है। इस पूजा में महाकाली यंत्र का प्रयोग भी किया जाता है। इसी के साथ चढ़ावे आदि की मदद से भी मां को खुश करने की कोशिश की जाती है। अगर पूरी श्रद्धा से मां की उपासना की जाए तो आपकी सारी मनोकामनाएं पूर्ण हो सकती हैं। अगर मां प्रसन्न हो जाती हैं तो मां के आशीर्वाद से आपका जीवन बहुत ही सुखद हो जाता है।
कालरात्रि और काली :
महाकाली को खुश करने के लिए उनकी फोटो या प्रतिमा के साथ महाकाली के मंत्रों का जाप भी किया जाता है। इस पूजा में महाकाली यंत्र का प्रयोग भी किया जाता है। इसी के साथ चढ़ावे आदि की मदद से भी मां को खुश करने की कोशिश की जाती है। अगर पूरी श्रद्धा से मां की उपासना की जाए तो आपकी सारी मनोकामनाएं पूर्ण हो सकती हैं। अगर मां प्रसन्न हो जाती हैं तो मां के आशीर्वाद से आपका जीवन बहुत ही सुखद हो जाता है।
कालरात्रि और काली :
दुर्गा के 9 रूपों में 7वां रूप हैं देवी कालरात्रि का इसलिए नवरात्र के 7वें दिन मां कालरात्रि की पूजा होती है। कालरात्रि माता गले में विद्युत की माला धारण करती हैं। इनके बाल खुले हुए हैं और गर्दभ की सवारी करती हैं, जबकि काली नरमुंड की माला पहनती हैं और हाथ में खप्पर और तलवार लेकर चलती हैं।
काली माता के हाथ में कटा हुआ सिर है जिससे रक्त टपकता रहता है। भयंकर रूप होते हुए भी माता भक्तों के लिए कल्याणकारी हैं। कालरात्रि माता को काली और शुभंकरी भी कहा जाता है।
कालरात्रि माता के विषय में कहा जाता है कि यह दुष्टों के बाल पकड़कर खड्ग से उसका सिर काट देती हैं। रक्तबीज से युद्घ करते समय मां काली ने भी इसी प्रकार से रक्तबीज का वध किया था
जीवनरक्षक मां काली :
काली माता के हाथ में कटा हुआ सिर है जिससे रक्त टपकता रहता है। भयंकर रूप होते हुए भी माता भक्तों के लिए कल्याणकारी हैं। कालरात्रि माता को काली और शुभंकरी भी कहा जाता है।
कालरात्रि माता के विषय में कहा जाता है कि यह दुष्टों के बाल पकड़कर खड्ग से उसका सिर काट देती हैं। रक्तबीज से युद्घ करते समय मां काली ने भी इसी प्रकार से रक्तबीज का वध किया था
जीवनरक्षक मां काली :
माता काली की पूजा या भक्ति करने वालों को माता सभी तरह से निर्भीक और सुखी बना देती हैं। वे अपने भक्तों को सभी तरह की परेशानियों से बचाती हैं।
* लंबे समय से चली आ रही बीमारी दूर हो जाती हैं।
* ऐसी बीमारियां जिनका इलाज संभव नहीं है, वह भी काली की पूजा से समाप्त हो जाती हैं।
* काली के पूजक पर काले जादू, टोने-टोटकों का प्रभाव नहीं पड़ता।
* हर तरह की बुरी आत्माओं से माता काली रक्षा करती हैं।
* कर्ज से छुटकारा दिलाती हैं।
* बिजनेस आदि में आ रही परेशानियों को दूर करती हैं।
* जीवनसाथी या किसी खास मित्र से संबंधों में आ रहे तनाव को दूर करती हैं।
* बेरोजगारी, करियर या शिक्षा में असफलता को दूर करती हैं।
* कारोबार में लाभ और नौकरी में प्रमोशन दिलाती हैं।
* हर रोज कोई न कोई नई मुसीबत खड़ी होती हो तो काली इस तरह की घटनाएं भी रोक देती हैं।
* शनि-राहु की महादशा या अंतरदशा, शनि की साढ़े साती, शनि का ढइया आदि सभी से काली रक्षा करती हैं।
*पितृदोष और कालसर्प दोष जैसे दोषों को दूर करती हैं।
कालिका का यह अचूक मंत्र है। इससे माता जल्द से सुन लेती हैं, लेकिन आपको इसके लिए सावधान रहने की जरूरत है। आजमाने के लिए मंत्र का इस्तेमाल न करें। यदि आप काली के भक्त हैं तो ही करें।
मंत्र -------:
ॐ नमो काली कंकाली महाकाली मुख सुन्दर जिह्वा वाली,
चार वीर भैरों चौरासी, चार बत्ती पूजूं पान ए मिठाई,
* लंबे समय से चली आ रही बीमारी दूर हो जाती हैं।
* ऐसी बीमारियां जिनका इलाज संभव नहीं है, वह भी काली की पूजा से समाप्त हो जाती हैं।
* काली के पूजक पर काले जादू, टोने-टोटकों का प्रभाव नहीं पड़ता।
* हर तरह की बुरी आत्माओं से माता काली रक्षा करती हैं।
* कर्ज से छुटकारा दिलाती हैं।
* बिजनेस आदि में आ रही परेशानियों को दूर करती हैं।
* जीवनसाथी या किसी खास मित्र से संबंधों में आ रहे तनाव को दूर करती हैं।
* बेरोजगारी, करियर या शिक्षा में असफलता को दूर करती हैं।
* कारोबार में लाभ और नौकरी में प्रमोशन दिलाती हैं।
* हर रोज कोई न कोई नई मुसीबत खड़ी होती हो तो काली इस तरह की घटनाएं भी रोक देती हैं।
* शनि-राहु की महादशा या अंतरदशा, शनि की साढ़े साती, शनि का ढइया आदि सभी से काली रक्षा करती हैं।
*पितृदोष और कालसर्प दोष जैसे दोषों को दूर करती हैं।
कालिका का यह अचूक मंत्र है। इससे माता जल्द से सुन लेती हैं, लेकिन आपको इसके लिए सावधान रहने की जरूरत है। आजमाने के लिए मंत्र का इस्तेमाल न करें। यदि आप काली के भक्त हैं तो ही करें।
मंत्र -------:
ॐ नमो काली कंकाली महाकाली मुख सुन्दर जिह्वा वाली,
चार वीर भैरों चौरासी, चार बत्ती पूजूं पान ए मिठाई,
अब बोलो काली की दुहाई।
इस मंत्र का प्रतिदिन 108 बार जाप करने से आर्थिक लाभ मिलता है। इससे धन संबंधित परेशानी दूर हो जाती है। माता काली की कृपा से सब काम संभव हो जाते हैं। 15 दिन में एक बार किसी भी मंगलवार या शुक्रवार के दिन काली माता को मीठा पान व मिठाई का भोग लगाते रहें।
रक्तबीज का वध :
इस मंत्र का प्रतिदिन 108 बार जाप करने से आर्थिक लाभ मिलता है। इससे धन संबंधित परेशानी दूर हो जाती है। माता काली की कृपा से सब काम संभव हो जाते हैं। 15 दिन में एक बार किसी भी मंगलवार या शुक्रवार के दिन काली माता को मीठा पान व मिठाई का भोग लगाते रहें।
रक्तबीज का वध :
ब्रह्माजी के शरीर से ब्राह्मी, विष्णु से वैष्णवी, महेश से महेश्वरी और अम्बिका से चंडिका प्रकट हुईं। पलभर में सारा आकाश असंख्य देवियों से आच्छादित हो उठा। ब्राह्मणी ने अपने कमंडल से जल छिड़का जिससे राक्षस तेजहीन होने लगे, वैष्णवी अपने चक्र, महेश्वरी अपने त्रिशूल से, इन्द्राणी वज्र से और सभी देवियां अपने अपने आयुधों से आक्रमण कर रही थीं। राक्षस सेना भागने लगीं।
तब रक्तबीज ने राक्षसों को धिक्कारा कि वे स्त्रियों से डरकर भाग रहे हैं? रक्तबीज हमला करने आया, तो इन्द्राणी ने उस पर शक्ति चलाई जिससे उसका सर कट गया और रक्त भूमि पर गिरा। किंतु पूर्व वरदान के प्रभाव से उस रक्त से फिर एक रक्तबीज उठ खड़ा हुआ और अट्टहास करने लगा। जैसे ही शक्तियां उसे मारतीं, उसके रक्त से और असुर उठ खड़े होते। जल्द ही असंख्य रक्तबीज सब और दिखने लगे।
मां चंडिका ने श्रीकाली से कहा कि इसका रक्त भूमि पर गिरने से रोकना होगा जिससे और रक्तबीज न जन्में। देवी काली ने कहा कि आप सब इन्हें मारें, मैं एक बूंद रक्त भी भूमि पर न पड़ने दूंगी। और ऐसा ही हुआ भी, जल्द ही सारे नए रक्तबीज युद्ध में मारे गए। तब रक्तबीज समझ गया कि काली उसे पुनर्जीवित नहीं होने दे रही हैं, तो वह चंडिका को मारने दौड़ा। तब चंडिका ने उसे मार दिया और काली ने रक्त को भूमि पर न गिरने दिया। देवता चंडिका की जय-जयकार करने लगे।
महाकाली की उत्पत्ति कथा :
तब रक्तबीज ने राक्षसों को धिक्कारा कि वे स्त्रियों से डरकर भाग रहे हैं? रक्तबीज हमला करने आया, तो इन्द्राणी ने उस पर शक्ति चलाई जिससे उसका सर कट गया और रक्त भूमि पर गिरा। किंतु पूर्व वरदान के प्रभाव से उस रक्त से फिर एक रक्तबीज उठ खड़ा हुआ और अट्टहास करने लगा। जैसे ही शक्तियां उसे मारतीं, उसके रक्त से और असुर उठ खड़े होते। जल्द ही असंख्य रक्तबीज सब और दिखने लगे।
मां चंडिका ने श्रीकाली से कहा कि इसका रक्त भूमि पर गिरने से रोकना होगा जिससे और रक्तबीज न जन्में। देवी काली ने कहा कि आप सब इन्हें मारें, मैं एक बूंद रक्त भी भूमि पर न पड़ने दूंगी। और ऐसा ही हुआ भी, जल्द ही सारे नए रक्तबीज युद्ध में मारे गए। तब रक्तबीज समझ गया कि काली उसे पुनर्जीवित नहीं होने दे रही हैं, तो वह चंडिका को मारने दौड़ा। तब चंडिका ने उसे मार दिया और काली ने रक्त को भूमि पर न गिरने दिया। देवता चंडिका की जय-जयकार करने लगे।
महाकाली की उत्पत्ति कथा :
श्रीमार्कण्डेय पुराण एवं श्रीदुर्गा सप्तशती के अनुसार काली मां की उत्पत्ति जगत जननी मां अम्बा के ललाट से हुई थी।
कथा के अनुसार शुम्भ-निशुम्भ दैत्यों के आतंक का प्रकोप इस कदर बढ़ चुका था कि उन्होंने अपने बल, छल एवं महाबली असुरों द्वारा देवराज इन्द्र सहित अन्य समस्त देवतागणों को निष्कासित कर स्वयं उनके स्थान पर आकर उन्हें प्राणरक्षा हेतु भटकने के लिए छोड़ दिया। दैत्यों द्वारा आतंकित देवों को ध्यान आया कि महिषासुर के इन्द्रपुरी पर अधिकार कर लिया है, तब दुर्गा ने ही उनकी मदद की थी। तब वे सभी दुर्गा का आह्वान करने लगे।
उनके इस प्रकार आह्वान से देवी प्रकट हुईं एवं शुम्भ-निशुम्भ के अति शक्तिशाली असुर चंड तथा मुंड दोनों का एक घमासान युद्ध में नाश कर दिया। चंड-मुंड के इस प्रकार मारे जाने एवं अपनी बहुत सारी सेना का संहार हो जाने पर दैत्यराज शुम्भ ने अत्यधिक क्रोधित होकर अपनी संपूर्ण सेना को युद्ध में जाने की आज्ञा दी तथा कहा कि आज छियासी उदायुद्ध नामक दैत्य सेनापति एवं कम्बु दैत्य के चौरासी सेनानायक अपनी वाहिनी से घिरे युद्ध के लिए प्रस्थान करें। कोटिवीर्य कुल के पचास, धौम्र कुल के सौ असुर सेनापति मेरे आदेश पर सेना एवं कालक, दौर्हृद, मौर्य व कालकेय असुरों सहित युद्ध के लिए कूच करें। अत्यंत क्रूर दुष्टाचारी असुर राज शुंभ अपने साथ सहस्र असुरों वाली महासेना लेकर चल पड़ा।
उसकी भयानक दैत्यसेना को युद्धस्थल में आता देखकर देवी ने अपने धनुष से ऐसी टंकार दी कि उसकी आवाज से आकाश व समस्त पृथ्वी गूंज उठी। पहाड़ों में दरारें पड़ गईं। देवी के सिंह ने भी दहाड़ना प्रारंभ किया, फिर जगदम्बिका ने घंटे के स्वर से उस आवाज को दुगना बढ़ा दिया। धनुष, सिंह एवं घंटे की ध्वनि से समस्त दिशाएं गूंज उठीं। भयंकर नाद को सुनकर असुर सेना ने देवी के सिंह को और मां काली को चारों ओर से घेर लिया। तदनंतर असुरों के संहार एवं देवगणों के कष्ट निवारण हेतु परमपिता ब्रह्माजी, विष्णु, महेश, कार्तिकेय, इन्द्रादि देवों की शक्तियों ने रूप धारण कर लिए एवं समस्त देवों के शरीर से अनंत शक्तियां निकलकर अपने पराक्रम एवं बल के साथ मां दुर्गा के पास पहुंचीं।
तत्पश्चात समस्त शक्तियों से घिरे शिवजी ने देवी जगदम्बा से कहा-
कथा के अनुसार शुम्भ-निशुम्भ दैत्यों के आतंक का प्रकोप इस कदर बढ़ चुका था कि उन्होंने अपने बल, छल एवं महाबली असुरों द्वारा देवराज इन्द्र सहित अन्य समस्त देवतागणों को निष्कासित कर स्वयं उनके स्थान पर आकर उन्हें प्राणरक्षा हेतु भटकने के लिए छोड़ दिया। दैत्यों द्वारा आतंकित देवों को ध्यान आया कि महिषासुर के इन्द्रपुरी पर अधिकार कर लिया है, तब दुर्गा ने ही उनकी मदद की थी। तब वे सभी दुर्गा का आह्वान करने लगे।
उनके इस प्रकार आह्वान से देवी प्रकट हुईं एवं शुम्भ-निशुम्भ के अति शक्तिशाली असुर चंड तथा मुंड दोनों का एक घमासान युद्ध में नाश कर दिया। चंड-मुंड के इस प्रकार मारे जाने एवं अपनी बहुत सारी सेना का संहार हो जाने पर दैत्यराज शुम्भ ने अत्यधिक क्रोधित होकर अपनी संपूर्ण सेना को युद्ध में जाने की आज्ञा दी तथा कहा कि आज छियासी उदायुद्ध नामक दैत्य सेनापति एवं कम्बु दैत्य के चौरासी सेनानायक अपनी वाहिनी से घिरे युद्ध के लिए प्रस्थान करें। कोटिवीर्य कुल के पचास, धौम्र कुल के सौ असुर सेनापति मेरे आदेश पर सेना एवं कालक, दौर्हृद, मौर्य व कालकेय असुरों सहित युद्ध के लिए कूच करें। अत्यंत क्रूर दुष्टाचारी असुर राज शुंभ अपने साथ सहस्र असुरों वाली महासेना लेकर चल पड़ा।
उसकी भयानक दैत्यसेना को युद्धस्थल में आता देखकर देवी ने अपने धनुष से ऐसी टंकार दी कि उसकी आवाज से आकाश व समस्त पृथ्वी गूंज उठी। पहाड़ों में दरारें पड़ गईं। देवी के सिंह ने भी दहाड़ना प्रारंभ किया, फिर जगदम्बिका ने घंटे के स्वर से उस आवाज को दुगना बढ़ा दिया। धनुष, सिंह एवं घंटे की ध्वनि से समस्त दिशाएं गूंज उठीं। भयंकर नाद को सुनकर असुर सेना ने देवी के सिंह को और मां काली को चारों ओर से घेर लिया। तदनंतर असुरों के संहार एवं देवगणों के कष्ट निवारण हेतु परमपिता ब्रह्माजी, विष्णु, महेश, कार्तिकेय, इन्द्रादि देवों की शक्तियों ने रूप धारण कर लिए एवं समस्त देवों के शरीर से अनंत शक्तियां निकलकर अपने पराक्रम एवं बल के साथ मां दुर्गा के पास पहुंचीं।
तत्पश्चात समस्त शक्तियों से घिरे शिवजी ने देवी जगदम्बा से कहा-
‘मेरी प्रसन्नता हेतु तुम इस समस्त दानव दलों का सर्वनाश करो।’ तब देवी जगदम्बा के शरीर से भयानक उग्र रूप धारण किए चंडिका देवी शक्ति रूप में प्रकट हुईं। उनके स्वर में सैकड़ों गीदड़ों की भांति आवाज आती थी।
असुरराज शुम्भ-निशुम्भ क्रोध से भर उठे। वे देवी कात्यायनी की ओर युद्ध हेतु बढ़े। अत्यंत क्रोध में चूर उन्होंने देवी पर बाण, शक्ति, शूल, फरसा, ऋषि आदि अस्त्रों-शस्त्रों द्वारा प्रहार प्रारंभ किया। देवी ने अपने धनुष से टंकार की एवं अपने बाणों द्वारा उनके समस्त अस्त्रों-शस्त्रों को काट डाला, जो उनकी ओर बढ़ रहे थे। मां काली फिर उनके आगे-आगे शत्रुओं को अपने शूलादि के प्रहार द्वारा विदीर्ण करती हुई व खट्वांग से कुचलती हुईं समस्त युद्धभूमि में विचरने लगीं। सभी राक्षसों चंड मुंडादि को मारने के बाद उसने रक्तबीज को भी मार दिया।
शक्ति का यह अवतार एक रक्तबीज नामक राक्षस को मारने के लिए हुआ था। फिर शुम्भ-निशुंभ का वध करने के बाद बाद भी जब काली मां का गुस्सा शांत नहीं हुआ, तब उनके गुस्से को शांत करने के लिए भगवान शिव उनके रास्ते में लेट गए और काली मां का पैर उनके सीने पर पड़ गया। शिव पर पैर रखते ही माता का क्रोध शांत होने लगा।
==========================================
11>दस महाविद्याओं में एक का नाम बगुला मुखी है।
दस महाविद्याओं में एक का नाम बगुला मुखी है। वेदों में इनका नाम बल्गामुखी है। इनकी आराधना मात्र से साधक के सारे संकट दूर हो जाते हैं, शत्रु परास्त होते हैं और श्री वृद्धि होती है। बगलामुखी का जप साधारण व्यक्ति भी कर सकता है, लेकिन इनकी तंत्र उपासना किसी योग्य व्यक्ति के सान्निध्य में ही करनी चाहिए। देवी के अर्गला स्तोत्र का पाठ करने मात्र से इनकी आराधना हो जाती है। साधक को पीले वस्त्र (बिना सिले) पहनकर पीले आसन पर बैठकर सरसों के तेल का दीपक जलाकर पीली सरसों से यज्ञ करना चाहिए। इससे उसके सारे मनोरथ पूर्ण होंगे और शत्रु परास्त होंगे। यह महारुद्र की शक्ति हैं।
इस शक्ति की आराधना करने से साधक के शत्रुओं का शमन तथा कष्टों का निवारण होता है। यों तो बगलामुखी देवी की उपासना सभी कार्यों में सफलता प्रदान करती है, परंतु विशेष रूप से युद्ध, विवाद, शास्त्रार्थ, मुकदमे, और प्रतियोगिता में विजय प्राप्त करने, अधिकारी या मालिक को अनुकूल करने, अपने ऊपर हो रहे अकारण अत्याचार से बचने और किसी को सबक सिखाने के लिए बगलामुखी देवी का वैदिक अनुष्ठान सर्वश्रेष्ठ, प्रभावी एवं उपयुक्त होता है। असाध्य रोगों से छुटकारा पाने, बंधनमुक्त होने, संकट से उद्धार पाने और नवग्रहों के दोष से मुक्ति के लिए भी इस मंत्र की साधना की जा सकती है।
कृत युग में पूरे संसार को नष्ट करने वाला तूफान उठा, उसे देख जगत रक्षक श्री हरि भगवान विष्णु चिंतातुर हुए और सौराष्ट्र में स्थित हरिद्रा सरोवर के समीप जाकर उन्होंने तपस्या की। उनकी तपस्या से महात्रिपुर संुदरी प्रसन्न होकर देवी बगला के रूप में प्रकट हुईं तथा तूफान को शांत किया। इन्हीं की शक्ति पर तीनों लोक टिके हुए हैं। विष्णु पत्नी सारे जगत की अधिष्ठान ब्रह्म स्वरूप हैं। तंत्र में शक्ति के इसी रूप को ‘‘श्री बगलामुखी’’ महाविद्या कहा गया है। वैदिक एवं पौराणिक शास्त्रों में श्री बगलामुखी महाविद्या का वर्णन अनेक स्थलों पर मिलता है। शत्रु के विनाश के लिए जो कृत्य विशेष को भूमि में गाड़ देते हैं, उनका नाश करने वाली महाशक्ति श्री बगलामुखी ही हैं।
श्री बगला देवी को शक्ति भी कहा गया है। सत्य काली च श्री विद्या कमला भुवनेश्वरी। सिद्ध विद्या महेशनि त्रिशक्तिर्बगला शिवे।। मंत्र महार्णव के अनुसार इस मंत्र का एक लाख जप करने से पुरश्चरण होता है। अन्य तंत्र ग्रंथों के अनुसार पुरश्चरण के लिए सवा लाख जप का विधान है। भेरूतंत्र के अनुसार यह मंत्र दस हजार के जप से ही सिद्ध हो जाता है। इसका जप नित्य नियत संख्या में ही करना चाहिए। जप का दशांश हवन, तर्पण और मार्जन कर ब्राह्मण तथा कन्या भोजन कराना चाहिए। पुरश्चरण 21 दिनों में सरलतापूर्वक संपन्न हो सकता है। प्राणी के शरीर में एक अथर्वा नाम का प्राण सूत्र भी होता है। प्राणरूप होने से हम इसे स्थूल रूप से देखने में असमर्थ होते हैं। यह एक प्रकार की वायरलेस टेलीग्राफी है। हजारों योजन दूर रहने वाले आत्मीय के दुख से हमारा चिŸा जिस परोक्ष शक्ति के माध्यम से व्याकुल हो जाता है, उसी परोक्ष सूत्र का नाम अथर्वा है। इस शक्ति सूत्र के माध्यम से हजारांे किमी दूर स्थित व्यक्ति से संपर्क संभव है। दूसरे अथर्वागिरा में अभिचार प्रयोग होता है। इसका उसी अथर्वा सूत्र से संबंध है। अथर्वा सूत्र रूपी इसी महाशक्ति का नाम बल्गामुखी है। उपासना: बगलामुखी की साधना में साधना के नियमों को जानना तथा उनका पालन करना अत्यंत आवश्यक है। साधना किसी प्रवीण गुरु से दीक्षा लेकर ही करनी चाहिए। बगलामुखी साधना के लिए ‘’वीर राजी’’ विशेष सिद्धिप्रदा मानी गई है। यदि सूर्य मकर राशिस्थ हो, मंगलवार को चतुर्दशी हो तो उसे वीर राजी कहा जाता है। इसी राजी में अर्द्धरात्रि के समय देवी श्री बगलामुखी प्रकट हुई थीं।
माता की उपासना में पीले वस्त्र, हल्दी की माला, पीला आसन, पीला नैवेद्य और पीले पुष्प से पूजन करने का महत्व है।
* मां बगलामुखी पीतवर्ण के वस्त्र, आभूषण, माला धारण किए हुए रहती हैं। इनके एक हाथ में शत्रु की जिव्हा और दूसरे हाथ में मुग्दर होता है।
* इनकी साधना से श्रद्धालु शत्रु भय से मुक्त हो जाता है। मां बगलामुखी 10 महाविद्याओं में से एक हैं। प्राय: इनकी साधना वाक् सिद्धि के लिए की जाती है। मां बगलामुखी को कलयुग में शक्तिशाली देवियों में से एक देवी के रूप में जाना जाता है।
जिनकी उपासना से समस्त कार्यों में आने वाले विघ्न-बाधाएं दूर होकर, संकट टल जाते हैं। इतना ही नहीं मनुष्य को साहस, पराक्रम आदि की प्राप्ति होती है।
: धार्मिक मान्यताओ के अनुसार वैशाख माह में शुक्ल पक्ष की अष्टमी को माँ बगलामुखी का अवतरण दिवस कहा जाता है। जिस कारण इस तिथि को बगलामुखी जयंती मनाई जाती है । इस वर्ष 14 मई को बगलामुखी जयंती है । साधक को इस दिन माँ बगलामुखी की निमित्त पूजा-अर्चना एवम व्रत करना चाहिए। माता बगलामुखी की कृपा से शत्रु का नाश होता है एवम साधक के जीवन से हर प्रकार की बाधा दूर होती है।
बगलामुखी कथा
हिन्दू धर्म के अनुसार एक बार सतयुग में ब्रह्माण्ड को नष्ट करने वाला तूफान उतपन्न हुआ, जिससे समस्त लोको में हाहाकार मच गया और समस्त लोक के लोग संकट में आ गए। इस संकट की समस्या में भगवान विष्णु जी चिंतित हो गए। जब भगवान विष्णु जी को कोई उपाय ना सुझा तो उन्होंने शिवजी को स्मरण किया। तब भगवान शिवजी ने कहा कि यदि कोई इस विनाश को रोक सकता है तो वो शक्ति रूप है। आप उनकी शरण में जाएँ। तत्पश्चात, भगवान विष्णु जी ने कठिन तपस्या करके शक्ति रूप देवी को प्रसन्न किया। तदोपरांत माता बगलामुखी देवी प्रकट होकर समस्त लोकों को इस संकट से उबारा। अतः इस दिन से समस्त लोको में माता बगलामुखी का प्रादुर्भाव हुआ।
माता बगलामुखी व्रत पूजन विधि
इस दिन प्रातः काल उठे, नियत कर्मो से निवृत होकर पीले रंग का वस्त्र धारण करें। धार्मिक ग्रंथो के अनुसार व्रती को साधना अकेले मंदिर में अथवा किसी सिद्ध पुरुष के साथ बैठकर माता बगलामुखी की पूजा करनी चाहिए। पूजा की दिशा पूर्व में होना चाहिए। पूर्व दिशा में उस स्थान को जहाँ पर पूजा करना है। उसे सर्वप्रथम गंगाजल से पवित्र कर ले। तत्पश्चात उस स्थान पर एक चौकी रख उस पर माता बगलामुखी की प्रतिमूर्ति को स्थापित करें। तत्पश्चात आचमन कर हाथ धोए, आसन पवित्र करे। माता बगलामुखी व्रत का संकलप हाथ में पीले चावल, हरिद्रा, एवम पीले फूल तथा दक्षिणा लेकर करें। माता की पूजा धुप, दीप, अगरबत्ती एवम विशेष में पीले फल, पीले फूल, पीले लड्डू का प्रसाद चढ़ा कर करना चाहिए। व्रत के दिन व्रती को निराहार रहना चाहिए। रात्रि में फलाहार कर सकते है। अगले दिन पूजा करने के पश्चात भोजन ग्रहण करे। इस प्रकार माता बगलामुखी की कथा सम्पन्न हुई। प्रेम से बोलिए माता बगलामुखी की जय।
====================================================================
12>माँ बगलामुखी
माँ बगलामुखी रोग शोक और शत्रु को समूल नष्ट कर देती है,,प्रबल से प्रबल शत्रु भी इनके साधक और उपासको के आगे पानी भरते हैं,और कोई इनके उपासको का बाल भी बंका नही कर सकता है, कलियुग में इनकी साधना उपासना तुरंत फलदायी होती है तथा यह विजय की देवी हैं इनके भक्त कभी पराजय का मुंह नही देखते,देश के जाने माने अधिकांश राजनेता और राजनीती करने वाले व्यक्ति इनके उपासक है, जो अपनी चुनाव विजय तथा शत्रुओ के पराभव के लिए गुप्त रूप से इनके तांत्रिक अनुष्ठान हवन पूजन आदि कराते हैं,
इनके हवन में पिसी हुई शुद्ध हल्दी,मालकांगनी, काले तिल,गूगल,पीली हरताल,पीली सरसो, नीम का तेल, सरसो का तेल,बेर की लकड़ी,सूखी साबुत लाल मिर्च आदि भिन्न 2 सामग्रियों का उपयोग भिन्न 2 कामनाओ के लिए किया जाता है
तांत्रिक पद्धति से किया गया माँ बगलामुखी का पूजन त्वरित और तीव्र परिणाम देता है
व्यक्ति को अपने जीवन में माँ बगलामुखी(ब्रह्मास्त्र विद्या) का एक बार आश्रय लेकर इनकी शक्ति का प्रमाण और परिणाम अवश्य देखना चाहिए!
यदि आप के भी शत्रु औकात से बाहर हों दुश्मन आप पर भारी पड़ रहे हों, पानी सर के ऊपर से गुज़र रहा हो व्यापर बिलकुल ठप हो गया हो, उच्च अधिकारी उत्पीड़न कर रहे हो,भुत प्रेत उपद्रव कर रहे हो कही से कोई आशा की किरण नही नज़र आ रही हो कोई मार्ग नही सूझ रहा हो तो आप भी माँ बगलामुखी की साधना पूजा हवन अर्चना करके माँ की कृपा प्राप्त करे और अपने गुप्त प्रत्यक्ष सूक्ष्म स्थूल समस्त शत्रुओ को माँ की कृपा से नष्ट करते हुए विषम परिस्थितियों पर विजय प्राप्त करते हुए माँ की शक्ति का अनुभव करें,
--------see Diary page 104
असुरराज शुम्भ-निशुम्भ क्रोध से भर उठे। वे देवी कात्यायनी की ओर युद्ध हेतु बढ़े। अत्यंत क्रोध में चूर उन्होंने देवी पर बाण, शक्ति, शूल, फरसा, ऋषि आदि अस्त्रों-शस्त्रों द्वारा प्रहार प्रारंभ किया। देवी ने अपने धनुष से टंकार की एवं अपने बाणों द्वारा उनके समस्त अस्त्रों-शस्त्रों को काट डाला, जो उनकी ओर बढ़ रहे थे। मां काली फिर उनके आगे-आगे शत्रुओं को अपने शूलादि के प्रहार द्वारा विदीर्ण करती हुई व खट्वांग से कुचलती हुईं समस्त युद्धभूमि में विचरने लगीं। सभी राक्षसों चंड मुंडादि को मारने के बाद उसने रक्तबीज को भी मार दिया।
शक्ति का यह अवतार एक रक्तबीज नामक राक्षस को मारने के लिए हुआ था। फिर शुम्भ-निशुंभ का वध करने के बाद बाद भी जब काली मां का गुस्सा शांत नहीं हुआ, तब उनके गुस्से को शांत करने के लिए भगवान शिव उनके रास्ते में लेट गए और काली मां का पैर उनके सीने पर पड़ गया। शिव पर पैर रखते ही माता का क्रोध शांत होने लगा।
==========================================
11>दस महाविद्याओं में एक का नाम बगुला मुखी है।
दस महाविद्याओं में एक का नाम बगुला मुखी है। वेदों में इनका नाम बल्गामुखी है। इनकी आराधना मात्र से साधक के सारे संकट दूर हो जाते हैं, शत्रु परास्त होते हैं और श्री वृद्धि होती है। बगलामुखी का जप साधारण व्यक्ति भी कर सकता है, लेकिन इनकी तंत्र उपासना किसी योग्य व्यक्ति के सान्निध्य में ही करनी चाहिए। देवी के अर्गला स्तोत्र का पाठ करने मात्र से इनकी आराधना हो जाती है। साधक को पीले वस्त्र (बिना सिले) पहनकर पीले आसन पर बैठकर सरसों के तेल का दीपक जलाकर पीली सरसों से यज्ञ करना चाहिए। इससे उसके सारे मनोरथ पूर्ण होंगे और शत्रु परास्त होंगे। यह महारुद्र की शक्ति हैं।
इस शक्ति की आराधना करने से साधक के शत्रुओं का शमन तथा कष्टों का निवारण होता है। यों तो बगलामुखी देवी की उपासना सभी कार्यों में सफलता प्रदान करती है, परंतु विशेष रूप से युद्ध, विवाद, शास्त्रार्थ, मुकदमे, और प्रतियोगिता में विजय प्राप्त करने, अधिकारी या मालिक को अनुकूल करने, अपने ऊपर हो रहे अकारण अत्याचार से बचने और किसी को सबक सिखाने के लिए बगलामुखी देवी का वैदिक अनुष्ठान सर्वश्रेष्ठ, प्रभावी एवं उपयुक्त होता है। असाध्य रोगों से छुटकारा पाने, बंधनमुक्त होने, संकट से उद्धार पाने और नवग्रहों के दोष से मुक्ति के लिए भी इस मंत्र की साधना की जा सकती है।
कृत युग में पूरे संसार को नष्ट करने वाला तूफान उठा, उसे देख जगत रक्षक श्री हरि भगवान विष्णु चिंतातुर हुए और सौराष्ट्र में स्थित हरिद्रा सरोवर के समीप जाकर उन्होंने तपस्या की। उनकी तपस्या से महात्रिपुर संुदरी प्रसन्न होकर देवी बगला के रूप में प्रकट हुईं तथा तूफान को शांत किया। इन्हीं की शक्ति पर तीनों लोक टिके हुए हैं। विष्णु पत्नी सारे जगत की अधिष्ठान ब्रह्म स्वरूप हैं। तंत्र में शक्ति के इसी रूप को ‘‘श्री बगलामुखी’’ महाविद्या कहा गया है। वैदिक एवं पौराणिक शास्त्रों में श्री बगलामुखी महाविद्या का वर्णन अनेक स्थलों पर मिलता है। शत्रु के विनाश के लिए जो कृत्य विशेष को भूमि में गाड़ देते हैं, उनका नाश करने वाली महाशक्ति श्री बगलामुखी ही हैं।
श्री बगला देवी को शक्ति भी कहा गया है। सत्य काली च श्री विद्या कमला भुवनेश्वरी। सिद्ध विद्या महेशनि त्रिशक्तिर्बगला शिवे।। मंत्र महार्णव के अनुसार इस मंत्र का एक लाख जप करने से पुरश्चरण होता है। अन्य तंत्र ग्रंथों के अनुसार पुरश्चरण के लिए सवा लाख जप का विधान है। भेरूतंत्र के अनुसार यह मंत्र दस हजार के जप से ही सिद्ध हो जाता है। इसका जप नित्य नियत संख्या में ही करना चाहिए। जप का दशांश हवन, तर्पण और मार्जन कर ब्राह्मण तथा कन्या भोजन कराना चाहिए। पुरश्चरण 21 दिनों में सरलतापूर्वक संपन्न हो सकता है। प्राणी के शरीर में एक अथर्वा नाम का प्राण सूत्र भी होता है। प्राणरूप होने से हम इसे स्थूल रूप से देखने में असमर्थ होते हैं। यह एक प्रकार की वायरलेस टेलीग्राफी है। हजारों योजन दूर रहने वाले आत्मीय के दुख से हमारा चिŸा जिस परोक्ष शक्ति के माध्यम से व्याकुल हो जाता है, उसी परोक्ष सूत्र का नाम अथर्वा है। इस शक्ति सूत्र के माध्यम से हजारांे किमी दूर स्थित व्यक्ति से संपर्क संभव है। दूसरे अथर्वागिरा में अभिचार प्रयोग होता है। इसका उसी अथर्वा सूत्र से संबंध है। अथर्वा सूत्र रूपी इसी महाशक्ति का नाम बल्गामुखी है। उपासना: बगलामुखी की साधना में साधना के नियमों को जानना तथा उनका पालन करना अत्यंत आवश्यक है। साधना किसी प्रवीण गुरु से दीक्षा लेकर ही करनी चाहिए। बगलामुखी साधना के लिए ‘’वीर राजी’’ विशेष सिद्धिप्रदा मानी गई है। यदि सूर्य मकर राशिस्थ हो, मंगलवार को चतुर्दशी हो तो उसे वीर राजी कहा जाता है। इसी राजी में अर्द्धरात्रि के समय देवी श्री बगलामुखी प्रकट हुई थीं।
माता की उपासना में पीले वस्त्र, हल्दी की माला, पीला आसन, पीला नैवेद्य और पीले पुष्प से पूजन करने का महत्व है।
* मां बगलामुखी पीतवर्ण के वस्त्र, आभूषण, माला धारण किए हुए रहती हैं। इनके एक हाथ में शत्रु की जिव्हा और दूसरे हाथ में मुग्दर होता है।
* इनकी साधना से श्रद्धालु शत्रु भय से मुक्त हो जाता है। मां बगलामुखी 10 महाविद्याओं में से एक हैं। प्राय: इनकी साधना वाक् सिद्धि के लिए की जाती है। मां बगलामुखी को कलयुग में शक्तिशाली देवियों में से एक देवी के रूप में जाना जाता है।
जिनकी उपासना से समस्त कार्यों में आने वाले विघ्न-बाधाएं दूर होकर, संकट टल जाते हैं। इतना ही नहीं मनुष्य को साहस, पराक्रम आदि की प्राप्ति होती है।
: धार्मिक मान्यताओ के अनुसार वैशाख माह में शुक्ल पक्ष की अष्टमी को माँ बगलामुखी का अवतरण दिवस कहा जाता है। जिस कारण इस तिथि को बगलामुखी जयंती मनाई जाती है । इस वर्ष 14 मई को बगलामुखी जयंती है । साधक को इस दिन माँ बगलामुखी की निमित्त पूजा-अर्चना एवम व्रत करना चाहिए। माता बगलामुखी की कृपा से शत्रु का नाश होता है एवम साधक के जीवन से हर प्रकार की बाधा दूर होती है।
बगलामुखी कथा
हिन्दू धर्म के अनुसार एक बार सतयुग में ब्रह्माण्ड को नष्ट करने वाला तूफान उतपन्न हुआ, जिससे समस्त लोको में हाहाकार मच गया और समस्त लोक के लोग संकट में आ गए। इस संकट की समस्या में भगवान विष्णु जी चिंतित हो गए। जब भगवान विष्णु जी को कोई उपाय ना सुझा तो उन्होंने शिवजी को स्मरण किया। तब भगवान शिवजी ने कहा कि यदि कोई इस विनाश को रोक सकता है तो वो शक्ति रूप है। आप उनकी शरण में जाएँ। तत्पश्चात, भगवान विष्णु जी ने कठिन तपस्या करके शक्ति रूप देवी को प्रसन्न किया। तदोपरांत माता बगलामुखी देवी प्रकट होकर समस्त लोकों को इस संकट से उबारा। अतः इस दिन से समस्त लोको में माता बगलामुखी का प्रादुर्भाव हुआ।
माता बगलामुखी व्रत पूजन विधि
इस दिन प्रातः काल उठे, नियत कर्मो से निवृत होकर पीले रंग का वस्त्र धारण करें। धार्मिक ग्रंथो के अनुसार व्रती को साधना अकेले मंदिर में अथवा किसी सिद्ध पुरुष के साथ बैठकर माता बगलामुखी की पूजा करनी चाहिए। पूजा की दिशा पूर्व में होना चाहिए। पूर्व दिशा में उस स्थान को जहाँ पर पूजा करना है। उसे सर्वप्रथम गंगाजल से पवित्र कर ले। तत्पश्चात उस स्थान पर एक चौकी रख उस पर माता बगलामुखी की प्रतिमूर्ति को स्थापित करें। तत्पश्चात आचमन कर हाथ धोए, आसन पवित्र करे। माता बगलामुखी व्रत का संकलप हाथ में पीले चावल, हरिद्रा, एवम पीले फूल तथा दक्षिणा लेकर करें। माता की पूजा धुप, दीप, अगरबत्ती एवम विशेष में पीले फल, पीले फूल, पीले लड्डू का प्रसाद चढ़ा कर करना चाहिए। व्रत के दिन व्रती को निराहार रहना चाहिए। रात्रि में फलाहार कर सकते है। अगले दिन पूजा करने के पश्चात भोजन ग्रहण करे। इस प्रकार माता बगलामुखी की कथा सम्पन्न हुई। प्रेम से बोलिए माता बगलामुखी की जय।
====================================================================
12>माँ बगलामुखी
माँ बगलामुखी रोग शोक और शत्रु को समूल नष्ट कर देती है,,प्रबल से प्रबल शत्रु भी इनके साधक और उपासको के आगे पानी भरते हैं,और कोई इनके उपासको का बाल भी बंका नही कर सकता है, कलियुग में इनकी साधना उपासना तुरंत फलदायी होती है तथा यह विजय की देवी हैं इनके भक्त कभी पराजय का मुंह नही देखते,देश के जाने माने अधिकांश राजनेता और राजनीती करने वाले व्यक्ति इनके उपासक है, जो अपनी चुनाव विजय तथा शत्रुओ के पराभव के लिए गुप्त रूप से इनके तांत्रिक अनुष्ठान हवन पूजन आदि कराते हैं,
इनके हवन में पिसी हुई शुद्ध हल्दी,मालकांगनी, काले तिल,गूगल,पीली हरताल,पीली सरसो, नीम का तेल, सरसो का तेल,बेर की लकड़ी,सूखी साबुत लाल मिर्च आदि भिन्न 2 सामग्रियों का उपयोग भिन्न 2 कामनाओ के लिए किया जाता है
तांत्रिक पद्धति से किया गया माँ बगलामुखी का पूजन त्वरित और तीव्र परिणाम देता है
व्यक्ति को अपने जीवन में माँ बगलामुखी(ब्रह्मास्त्र विद्या) का एक बार आश्रय लेकर इनकी शक्ति का प्रमाण और परिणाम अवश्य देखना चाहिए!
यदि आप के भी शत्रु औकात से बाहर हों दुश्मन आप पर भारी पड़ रहे हों, पानी सर के ऊपर से गुज़र रहा हो व्यापर बिलकुल ठप हो गया हो, उच्च अधिकारी उत्पीड़न कर रहे हो,भुत प्रेत उपद्रव कर रहे हो कही से कोई आशा की किरण नही नज़र आ रही हो कोई मार्ग नही सूझ रहा हो तो आप भी माँ बगलामुखी की साधना पूजा हवन अर्चना करके माँ की कृपा प्राप्त करे और अपने गुप्त प्रत्यक्ष सूक्ष्म स्थूल समस्त शत्रुओ को माँ की कृपा से नष्ट करते हुए विषम परिस्थितियों पर विजय प्राप्त करते हुए माँ की शक्ति का अनुभव करें,
==========================================================
--------see Diary page 104